সম্পাদকীয়
মায়া, মমতা, ভালোবাসা অমূল্য পরশপাথর। মনের ভেতরের এই সংবেদনশীল অনুভূতির টানেই পরিবার, সমাজ ও দেশে দেশে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধন গড়ে উঠেছে। শত মহামারি, যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানির মধ্যেও তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি বলেই পৃথিবী আজও বাসযোগ্য। শেষ পর্যন্ত মানুষই সব। তাই মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সহায়তায় এগিয়ে আসে।
এখন বিশ্বব্যাপী যে করোনা মহামারি, তার চেয়ে কঠিন মৃত্যুযুদ্ধ আর কী হতে পারে! বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশ যেখানে জীবনরক্ষাকারী আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পর্যাপ্ত চিকিৎসাসামগ্রী নেই; সেখানে সরকারের একার পক্ষে বিপুল জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া আসলেই কঠিন। বাংলাদেশে করোনার আঘাতের প্রথম থেকেই ভেন্টিলেটর, আইসিইউ উপকরণের সংকট ছিল। সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও খুব যে সহজলভ্য হয়েছে, তা নয়। এখন দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে কোনো আইসিইউ খালি নেই। পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর নেই। শ্বাস না নিতে পেরে অসহায়ের মতো নিদারুণ কষ্টে জীবন দিচ্ছে অনেক মানুষ।
সংক্রমণ শুধুই বাড়ছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হলে সামনে কী পরিণতি হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আশঙ্কা করা যায়, তখন চিকিৎসা খাতে আরও করুণ দৃশ্য দেখতে হতে পারে। ঠিক এমন সময়েই একটি স্বস্তির খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী কয়েকজন চিকিৎসক বাংলাদেশের জন্য ২৫০টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছেন।
ভেন্টিলেটরগুলো এরই মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে এখন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ ও অনাবাসী বাংলাদেশি জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভেন্টিলেটরগুলো বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর সঙ্গে আরও রয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসক। বাংলাদেশের গরিব ও দুস্থ করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমেরিকার বাঙালি চিকিৎসকদের গড়া সংগঠন অপশিনি বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সহযোগিতায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এসব পোর্টেবল ভেন্টিলেটর।
প্রতিটি ভেন্টিলেটরের দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। দামে যা-ই হোক, এই দুঃসময়ে তাঁরা সুদূর আমেরিকা থেকে দেশের মানুষের টানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এ জন্য অবশ্যই তাঁরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একই সঙ্গে আমাদের দেশেও এ রকম অসংখ্য ধনী মানুষ আছেন, যাঁরা চাইলে একা কিংবা কয়েকজন একসঙ্গে এ রকম আইসিইউ ভেন্টিলেটর দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পারেন। সরকারের একার পক্ষে সব দিক সামাল দেওয়া সত্যি কঠিন। বিদেশে বসে প্রবাসীরা যদি এমন উদ্যোগ নিতে পারেন, তবে দেশের ভেতরে সরকারের কাছ থেকে নানান সুযোগ-সুবিধা নেওয়া ধনী বা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও এ মহৎ কাজে সরকার ও মানুষের পাশে থাকতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। দুঃসময়েই মায়া, মমতা, ভালোবাসার প্রকাশ বোঝা যায়। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
মায়া, মমতা, ভালোবাসা অমূল্য পরশপাথর। মনের ভেতরের এই সংবেদনশীল অনুভূতির টানেই পরিবার, সমাজ ও দেশে দেশে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধন গড়ে উঠেছে। শত মহামারি, যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানির মধ্যেও তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি বলেই পৃথিবী আজও বাসযোগ্য। শেষ পর্যন্ত মানুষই সব। তাই মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সহায়তায় এগিয়ে আসে।
এখন বিশ্বব্যাপী যে করোনা মহামারি, তার চেয়ে কঠিন মৃত্যুযুদ্ধ আর কী হতে পারে! বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশ যেখানে জীবনরক্ষাকারী আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পর্যাপ্ত চিকিৎসাসামগ্রী নেই; সেখানে সরকারের একার পক্ষে বিপুল জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া আসলেই কঠিন। বাংলাদেশে করোনার আঘাতের প্রথম থেকেই ভেন্টিলেটর, আইসিইউ উপকরণের সংকট ছিল। সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও খুব যে সহজলভ্য হয়েছে, তা নয়। এখন দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে কোনো আইসিইউ খালি নেই। পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর নেই। শ্বাস না নিতে পেরে অসহায়ের মতো নিদারুণ কষ্টে জীবন দিচ্ছে অনেক মানুষ।
সংক্রমণ শুধুই বাড়ছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হলে সামনে কী পরিণতি হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আশঙ্কা করা যায়, তখন চিকিৎসা খাতে আরও করুণ দৃশ্য দেখতে হতে পারে। ঠিক এমন সময়েই একটি স্বস্তির খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী কয়েকজন চিকিৎসক বাংলাদেশের জন্য ২৫০টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছেন।
ভেন্টিলেটরগুলো এরই মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে এখন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ ও অনাবাসী বাংলাদেশি জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভেন্টিলেটরগুলো বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর সঙ্গে আরও রয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসক। বাংলাদেশের গরিব ও দুস্থ করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমেরিকার বাঙালি চিকিৎসকদের গড়া সংগঠন অপশিনি বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সহযোগিতায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এসব পোর্টেবল ভেন্টিলেটর।
প্রতিটি ভেন্টিলেটরের দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। দামে যা-ই হোক, এই দুঃসময়ে তাঁরা সুদূর আমেরিকা থেকে দেশের মানুষের টানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এ জন্য অবশ্যই তাঁরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একই সঙ্গে আমাদের দেশেও এ রকম অসংখ্য ধনী মানুষ আছেন, যাঁরা চাইলে একা কিংবা কয়েকজন একসঙ্গে এ রকম আইসিইউ ভেন্টিলেটর দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পারেন। সরকারের একার পক্ষে সব দিক সামাল দেওয়া সত্যি কঠিন। বিদেশে বসে প্রবাসীরা যদি এমন উদ্যোগ নিতে পারেন, তবে দেশের ভেতরে সরকারের কাছ থেকে নানান সুযোগ-সুবিধা নেওয়া ধনী বা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও এ মহৎ কাজে সরকার ও মানুষের পাশে থাকতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। দুঃসময়েই মায়া, মমতা, ভালোবাসার প্রকাশ বোঝা যায়। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
৩ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
৩ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগে