সম্পাদকীয়
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অসুস্থ গরু জবাই করে, সেই গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। এ কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। আমাদের এই দেশে খানিকটা প্রোটিন খাওয়া যে অনেকের কাছেই বিলাসিতা, সে কথা কে না জানে! পৃথিবীর সবচেয়ে কম প্রোটিন খায় যে দেশগুলো, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ফলে, অর্ধেকের কম দামে সুন্দরগঞ্জে যখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন সে মাংস কেনার লোভ সামলাতে পারেননি অনেকে। কিন্তু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত এই গরুগুলো যে খাওয়ার অযোগ্য, সেটা তাঁদের জানা ছিল না।
আজকের পত্রিকার সারা দেশ পাতায় ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ দিনে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই সুন্দরগঞ্জেই মারা গেছে অর্ধশতাধিক গরু-ছাগল। অসুস্থ গরু-ছাগল দ্রুত জবাই করা হচ্ছে। যাঁরা গরুর মাংস কাটছেন, তাঁদের শরীরেও হচ্ছে ফোড়া। যারা খাচ্ছে, তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মাংস থেকে অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। রোগ ঠেকাতে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থ পশু জবাই না করার জন্যও সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
বিচিত্র এ দেশ আমাদের। এখানে এমনিতেই সাধারণ মানুষের আয় কম বলে তারা মাছ, মাংস, ডিম, দুধ কিনে খেতে পারে না। চাল আর ডাল কিনতেই তাদের ট্যাঁকে টান পড়ে। পেট ভরে সাদা ভাত খেতে পারলেই তাদের মন ভরে। তাই বিজ্ঞানীরা যতই প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলুন না কেন, মরিচ ডলে বড় এক থালা ভাত খেতে পারলেই যেন তৃপ্তির সন্ধান পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক কারণেই মাছ-মাংসের দিকে হাত বাড়াতে পারে না দরিদ্র মানুষ। তাই উচ্চমানের প্রোটিন থেকে যায় অধরা। এ কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা মাত্রার নিচে রয়েছে আমাদের প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ। এসব কারণেই হয়তো সুন্দরগঞ্জের মানুষের জীবনে অসুন্দর এক রোগ নেমে এসেছে।
বক্তৃতা বা নীতিকথা দিয়ে দারিদ্র্য দূর হবে না। জনকল্যাণমুখী রাজনীতি, গ্রামীণ জীবনের চাহিদা-জোগানে সামঞ্জস্য রাখা, উৎপাদিত খাদ্য বা পণ্যের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করা, প্রয়োজনে দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো—এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হলে দরিদ্র মানুষ বাঁচবে। তখন তাকে যদি বলা হয়, দিনে কতটা প্রোটিন খাওয়া উচিত, তবেই সে ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। প্রোটিন কেনার মুরোদ যখন নেই, তখন শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ যদি কেউ দেয়, তাহলে তা হবে অরণ্যে রোদন।
অচিরেই যেন অসুস্থ গরু জবাই করা নিষিদ্ধ হয়, এ জন্য সুন্দরগঞ্জে প্রচারণা চালাতে হবে। কেউ যেন এ রকম মাংস না কেনেন, সে ব্যাপারেও এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিতে হবে। যারা ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, সরকারি উদ্যোগেই তাদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা অবৈধভাবে অসুস্থ গবাদিপশু বিক্রি করছেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ বিপদ থেকে রক্ষা পাক সুন্দরগঞ্জের মানুষ—এই আমাদের প্রত্যাশা।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অসুস্থ গরু জবাই করে, সেই গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। এ কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। আমাদের এই দেশে খানিকটা প্রোটিন খাওয়া যে অনেকের কাছেই বিলাসিতা, সে কথা কে না জানে! পৃথিবীর সবচেয়ে কম প্রোটিন খায় যে দেশগুলো, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ফলে, অর্ধেকের কম দামে সুন্দরগঞ্জে যখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন সে মাংস কেনার লোভ সামলাতে পারেননি অনেকে। কিন্তু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত এই গরুগুলো যে খাওয়ার অযোগ্য, সেটা তাঁদের জানা ছিল না।
আজকের পত্রিকার সারা দেশ পাতায় ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ দিনে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই সুন্দরগঞ্জেই মারা গেছে অর্ধশতাধিক গরু-ছাগল। অসুস্থ গরু-ছাগল দ্রুত জবাই করা হচ্ছে। যাঁরা গরুর মাংস কাটছেন, তাঁদের শরীরেও হচ্ছে ফোড়া। যারা খাচ্ছে, তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মাংস থেকে অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। রোগ ঠেকাতে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থ পশু জবাই না করার জন্যও সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
বিচিত্র এ দেশ আমাদের। এখানে এমনিতেই সাধারণ মানুষের আয় কম বলে তারা মাছ, মাংস, ডিম, দুধ কিনে খেতে পারে না। চাল আর ডাল কিনতেই তাদের ট্যাঁকে টান পড়ে। পেট ভরে সাদা ভাত খেতে পারলেই তাদের মন ভরে। তাই বিজ্ঞানীরা যতই প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলুন না কেন, মরিচ ডলে বড় এক থালা ভাত খেতে পারলেই যেন তৃপ্তির সন্ধান পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক কারণেই মাছ-মাংসের দিকে হাত বাড়াতে পারে না দরিদ্র মানুষ। তাই উচ্চমানের প্রোটিন থেকে যায় অধরা। এ কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা মাত্রার নিচে রয়েছে আমাদের প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ। এসব কারণেই হয়তো সুন্দরগঞ্জের মানুষের জীবনে অসুন্দর এক রোগ নেমে এসেছে।
বক্তৃতা বা নীতিকথা দিয়ে দারিদ্র্য দূর হবে না। জনকল্যাণমুখী রাজনীতি, গ্রামীণ জীবনের চাহিদা-জোগানে সামঞ্জস্য রাখা, উৎপাদিত খাদ্য বা পণ্যের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করা, প্রয়োজনে দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো—এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হলে দরিদ্র মানুষ বাঁচবে। তখন তাকে যদি বলা হয়, দিনে কতটা প্রোটিন খাওয়া উচিত, তবেই সে ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। প্রোটিন কেনার মুরোদ যখন নেই, তখন শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ যদি কেউ দেয়, তাহলে তা হবে অরণ্যে রোদন।
অচিরেই যেন অসুস্থ গরু জবাই করা নিষিদ্ধ হয়, এ জন্য সুন্দরগঞ্জে প্রচারণা চালাতে হবে। কেউ যেন এ রকম মাংস না কেনেন, সে ব্যাপারেও এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিতে হবে। যারা ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, সরকারি উদ্যোগেই তাদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা অবৈধভাবে অসুস্থ গবাদিপশু বিক্রি করছেন, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ বিপদ থেকে রক্ষা পাক সুন্দরগঞ্জের মানুষ—এই আমাদের প্রত্যাশা।
দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু সবকিছুই পুঁজিবাদের দুঃশাসনের অধীনেই; বাস্তবতা হচ্ছে, একমাত্র ক্ষমতা-বদল ভিন্ন তেমন কোনো রদবদল ঘটেনি। সবই আগের নিয়মে বহাল রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে আরও অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বরং বলা যায়, পুঁজিবাদের চেহারার আরও উন্মোচন ঘটেছে। তালেবান বিতাড়নের নামে আফগানিস্তান দখল করা হয়েছে, কি
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আজ এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের পথে। আমরা দেখতে পাই, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে এআই হয়ে উঠেছে এই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। ২০২৪ সালে সংসদে পাস হওয়া পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংক গাইডলাইন শাখাহীন অ্যাপনির্ভর ব্যাংকিংয়ের নতুন কাঠামো তৈরি করেছ
২ ঘণ্টা আগেএকটি দেশের তরুণ প্রজন্ম হলো তার ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক। তরুণেরা আসলে দেশের প্রাণশক্তি, তাদের হাতে লুকিয়ে থাকে দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। কিন্তু যখন সেই তরুণেরা কাজ পায় না, তখন তাদের স্বপ্নগুলো যেন ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো নিঃশেষ হয়ে যায়। শিক্ষিত হয়েও যখন হাতে কাজ নেই, তখন হতাশা, দুশ্চিন্তা আর অস
৩ ঘণ্টা আগেরাজনীতির মাঠে অশালীন শব্দ ব্যবহার করলে আর মিথ্যা কথা বললে জনপ্রিয়তা বাড়ে—এ রকম বক্তব্যসহ সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের লেখা একটি উপসম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের আজকের পত্রিকায়। ব্যাপারটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক।
১ দিন আগে