সম্পাদকীয়
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ‘স্বপ্নডানা’ নামের কথিত এক এনজিওর বিরুদ্ধে সহস্রাধিক দরিদ্র মানুষের প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছে অল্প টাকায় ঘর পাওয়ার লোভ যেন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার! তাই বুঝি দেশের প্রান্তিক মানুষের আর্থিক দুর্দশা নিয়ে খেলেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।
আজকের পত্রিকায় এই নিয়ে রোববার প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের মরান্দিরপাড় গ্রামে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর ‘স্বপ্নডানা’ তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এর পরিচালক সায়মন বিশ্বাস এবং বরিশাল বিভাগীয় প্রধান রিচার্ড রায় এলিও। তাঁরা কয়েকজন মাঠকর্মীর মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে ঘর ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ১ হাজার ৭৬১ জনের কাছ থেকে ৭৭ লাখ ৫ হাজার ২৮০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাঠকর্মীরা প্রতিজনের কাছ থেকে আধা পাকা ঘর দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা এবং চাল, ডাল, আটা, চিনি ও তেল দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার ৪০ টাকা করে নিয়েছেন। মাঠকর্মীরা সেসব টাকা যথাসময়ে বিকাশের মাধ্যমে সায়মন বিশ্বাসকে বিশ্বাস করেই পাঠিয়েছেন। অথচ এখন তিনি টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করছেন।
প্রতারণার বিষয়টি মাঠকর্মীরাও জানতেন না। স্থানীয় সমাজসেবা অফিসের বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে, এনজিওটির রেজিস্ট্রেশন ভুয়া এবং প্রতিষ্ঠানটি আইনগতভাবে বৈধ নয়। তাহলে কীভাবে এত দিন তারা এত বড় অর্থনৈতিক প্রতারণা চালিয়ে গেল?
এখানে প্রশাসনিক তদারকি ও নজরদারির অভাব পরিষ্কার। এনজিও কার্যক্রম পরিচালনার আগে যদি সঠিক তদন্ত ও তদারকির ব্যবস্থা করা হতো, তবে এ রকম একটি প্রতারণা সম্ভব হতো না। দেশে সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা এনজিও কার্যক্রম তদারকের দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সমাজসেবা দপ্তর তখনই নড়েচড়ে বসে, যখন মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে দরজায় কড়া নাড়ে। এর আগপর্যন্ত এসব তদারক প্রতিষ্ঠান নীরব দর্শক হয়ে থাকে।
এই ঘটনা আমাদের জানান দেয়, কীভাবে দারিদ্র্যের যন্ত্রণা মানুষের বিবেককে দুর্বল করে ফেলে। আধা পাকা ঘর, খাদ্যসামগ্রী বা অল্প টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষের অসহায়ত্বের ফাঁক দিয়ে একদল প্রতারক তাদের শেষ সম্বলও কেড়ে নিচ্ছে। এই চিত্র নতুন নয়, বরং প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষ, যারা সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।
এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়ানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছিল, যা তারা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এনজিওটির কার্যক্রম প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল বলে মাঠকর্মীরা এখন বলছেন। তবে কেন তা আগে চোখে পড়েনি বা কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি, তা-ই বড় প্রশ্ন।
এখন শুধু এই ঘটনার সমালোচনা করাই যথেষ্ট নয়। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। নয়তো দারিদ্র্যের শিকার মানুষগুলোর জীবন থেকে আশা আর বিশ্বাসের শেষ অস্তিত্বটুকুও মুছে যাবে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ‘স্বপ্নডানা’ নামের কথিত এক এনজিওর বিরুদ্ধে সহস্রাধিক দরিদ্র মানুষের প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছে অল্প টাকায় ঘর পাওয়ার লোভ যেন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার! তাই বুঝি দেশের প্রান্তিক মানুষের আর্থিক দুর্দশা নিয়ে খেলেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।
আজকের পত্রিকায় এই নিয়ে রোববার প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের মরান্দিরপাড় গ্রামে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর ‘স্বপ্নডানা’ তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এর পরিচালক সায়মন বিশ্বাস এবং বরিশাল বিভাগীয় প্রধান রিচার্ড রায় এলিও। তাঁরা কয়েকজন মাঠকর্মীর মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে ঘর ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ১ হাজার ৭৬১ জনের কাছ থেকে ৭৭ লাখ ৫ হাজার ২৮০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাঠকর্মীরা প্রতিজনের কাছ থেকে আধা পাকা ঘর দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা এবং চাল, ডাল, আটা, চিনি ও তেল দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার ৪০ টাকা করে নিয়েছেন। মাঠকর্মীরা সেসব টাকা যথাসময়ে বিকাশের মাধ্যমে সায়মন বিশ্বাসকে বিশ্বাস করেই পাঠিয়েছেন। অথচ এখন তিনি টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করছেন।
প্রতারণার বিষয়টি মাঠকর্মীরাও জানতেন না। স্থানীয় সমাজসেবা অফিসের বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে, এনজিওটির রেজিস্ট্রেশন ভুয়া এবং প্রতিষ্ঠানটি আইনগতভাবে বৈধ নয়। তাহলে কীভাবে এত দিন তারা এত বড় অর্থনৈতিক প্রতারণা চালিয়ে গেল?
এখানে প্রশাসনিক তদারকি ও নজরদারির অভাব পরিষ্কার। এনজিও কার্যক্রম পরিচালনার আগে যদি সঠিক তদন্ত ও তদারকির ব্যবস্থা করা হতো, তবে এ রকম একটি প্রতারণা সম্ভব হতো না। দেশে সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা এনজিও কার্যক্রম তদারকের দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সমাজসেবা দপ্তর তখনই নড়েচড়ে বসে, যখন মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে দরজায় কড়া নাড়ে। এর আগপর্যন্ত এসব তদারক প্রতিষ্ঠান নীরব দর্শক হয়ে থাকে।
এই ঘটনা আমাদের জানান দেয়, কীভাবে দারিদ্র্যের যন্ত্রণা মানুষের বিবেককে দুর্বল করে ফেলে। আধা পাকা ঘর, খাদ্যসামগ্রী বা অল্প টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষের অসহায়ত্বের ফাঁক দিয়ে একদল প্রতারক তাদের শেষ সম্বলও কেড়ে নিচ্ছে। এই চিত্র নতুন নয়, বরং প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষ, যারা সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।
এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়ানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছিল, যা তারা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এনজিওটির কার্যক্রম প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল বলে মাঠকর্মীরা এখন বলছেন। তবে কেন তা আগে চোখে পড়েনি বা কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি, তা-ই বড় প্রশ্ন।
এখন শুধু এই ঘটনার সমালোচনা করাই যথেষ্ট নয়। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। নয়তো দারিদ্র্যের শিকার মানুষগুলোর জীবন থেকে আশা আর বিশ্বাসের শেষ অস্তিত্বটুকুও মুছে যাবে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১০ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১ দিন আগে