সম্পাদকীয়
আমাদের দেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা স্বাভাবিকভাবে ঘটছে, নাকি কারও ইশারায়, তা জানা খুব জরুরি হয়ে উঠেছে। একই দিনে এত বেশি সংবাদের জন্ম হচ্ছে এবং সংবাদগুলো দেশকে অস্থিরতার দিকে যেভাবে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে মনে হয়, সত্যিকারের কাজের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। দেশের জনগণ এই অস্থিরতার কারণে ভালো কোনো পরিবর্তন আসছে কি না, সে ব্যাপারে ক্রমেই সন্দিহান হয়ে উঠছে।
একই দিনে বেশ কিছু বিষয় ঘটেছে, যা আলোচনার যোগ্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি পোস্ট, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপি নেতাদের অবস্থান, বিএনপির মহাসচিবের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারসহ নানা ঘটনায় বিতিকিচ্ছির হয়ে আছে রাজনৈতিক অঙ্গন। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, রাজনৈতিক পালাবদলের পর যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের জনগণ একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে চেয়েছিল, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো দিশা দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি কথামালার রাজনীতিতে আটকে থাকছে দেশ?
যেসব বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে কম। ৮ মের যে ঘটনাগুলোর উল্লেখ করা হলো, তাতে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন অভিমুখে দেশের কোনো রোডম্যাপের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না, যদি থেকে থাকে, তাহলে কীভাবে তিনি ইমিগ্রেশন পার হলেন, আর নিষেধাজ্ঞা না থাকলে কেন তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না—এ প্রশ্নেরই তো বিহিত করতে হবে সবার আগে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনতে পারলে তিনি পদ ছেড়ে দেবেন। দোষটা কী, সেটাই তো সবার আগে নির্ধারণ করতে হবে। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে অবশ্যই তা উদ্ঘাটন করতে হবে। আর বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে জনগণকে বোঝাতে হবে প্রকৃত ঘটনা।
শিক্ষার্থীদের নতুন দল এনসিপির নেতা-কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করেছেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত শক্তি ছিল সমীহ করার মতো। কিন্তু ৯ মাস পরে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সাড়ম্বরে এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর তাদের সভাগুলো ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে কেন, তা নিয়ে তারা জরিপ করতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এসব সরকারের সঙ্গে এনসিপির মিলিত সাজানো নাটক। বিএনপির মহাসচিব যে বলেছেন, গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি, সে ব্যাপারে এনসিপি নেতাদের মতামতও জানা দরকার। এই সরকারকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্ষমতায় রাখার একটা কৌশল নিয়ে দাবার ঘুঁটি সাজাচ্ছে কেউ—এমন একটা সন্দেহও কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করাই-বা কী ইঙ্গিত দেয়?
এই বিতিকিচ্ছি অবস্থা থেকে কবে পরিত্রাণ পাবে জনগণ?
আমাদের দেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা স্বাভাবিকভাবে ঘটছে, নাকি কারও ইশারায়, তা জানা খুব জরুরি হয়ে উঠেছে। একই দিনে এত বেশি সংবাদের জন্ম হচ্ছে এবং সংবাদগুলো দেশকে অস্থিরতার দিকে যেভাবে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে মনে হয়, সত্যিকারের কাজের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। দেশের জনগণ এই অস্থিরতার কারণে ভালো কোনো পরিবর্তন আসছে কি না, সে ব্যাপারে ক্রমেই সন্দিহান হয়ে উঠছে।
একই দিনে বেশ কিছু বিষয় ঘটেছে, যা আলোচনার যোগ্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি পোস্ট, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপি নেতাদের অবস্থান, বিএনপির মহাসচিবের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারসহ নানা ঘটনায় বিতিকিচ্ছির হয়ে আছে রাজনৈতিক অঙ্গন। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, রাজনৈতিক পালাবদলের পর যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের জনগণ একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে চেয়েছিল, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো দিশা দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি কথামালার রাজনীতিতে আটকে থাকছে দেশ?
যেসব বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে কম। ৮ মের যে ঘটনাগুলোর উল্লেখ করা হলো, তাতে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন অভিমুখে দেশের কোনো রোডম্যাপের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না, যদি থেকে থাকে, তাহলে কীভাবে তিনি ইমিগ্রেশন পার হলেন, আর নিষেধাজ্ঞা না থাকলে কেন তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না—এ প্রশ্নেরই তো বিহিত করতে হবে সবার আগে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনতে পারলে তিনি পদ ছেড়ে দেবেন। দোষটা কী, সেটাই তো সবার আগে নির্ধারণ করতে হবে। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে অবশ্যই তা উদ্ঘাটন করতে হবে। আর বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে জনগণকে বোঝাতে হবে প্রকৃত ঘটনা।
শিক্ষার্থীদের নতুন দল এনসিপির নেতা-কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করেছেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত শক্তি ছিল সমীহ করার মতো। কিন্তু ৯ মাস পরে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সাড়ম্বরে এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর তাদের সভাগুলো ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে কেন, তা নিয়ে তারা জরিপ করতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এসব সরকারের সঙ্গে এনসিপির মিলিত সাজানো নাটক। বিএনপির মহাসচিব যে বলেছেন, গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি, সে ব্যাপারে এনসিপি নেতাদের মতামতও জানা দরকার। এই সরকারকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্ষমতায় রাখার একটা কৌশল নিয়ে দাবার ঘুঁটি সাজাচ্ছে কেউ—এমন একটা সন্দেহও কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করাই-বা কী ইঙ্গিত দেয়?
এই বিতিকিচ্ছি অবস্থা থেকে কবে পরিত্রাণ পাবে জনগণ?
চারদিক থেকে যেন রাজ্যের এক অস্থিতিশীলতা আমাদের ঘিরে ধরেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কোনোভাবে স্থিতিশীল বলে গণ্য করা যায় না। তার ওপর পূর্ব সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে মিয়ানমারকে ঘিরে।
৫ ঘণ্টা আগেবর্তমানে আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অন্যায়, অবক্ষয় ও অমানবিকতার মুখোমুখি হচ্ছি। প্রতিদিন নানা প্রচারমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে হত্যা, ধর্ষণ, দুর্নীতি, প্রতারণা, পারিবারিক সহিংসতা ও সামাজিক বৈষম্যের খবর। এসব দেখে আমরা আতঙ্কিত হই, বিরক্ত হই, মাঝে মাঝে প্রতিবাদও করি। তবে একটু গভীরভাবে ভাবলেই বোঝা যায়...
১৩ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ৯ মাস পূর্ণ হয়েছে। মেঘে মেঘে বেলা অনেক হয়েছে। ৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীন হয়েছি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী অনেক হয়েছেন। তাঁরা প্রশাসনিকভাবে অনেকটা অভিজ্ঞ হয়ে উঠছেন। প্রথম দিকে তাঁদের নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ ভালো কিছু দেখতে চেয়েছিল।
১৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ তিন বছর নেগোসিয়েশনের পর ৬ মে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভারত এমন একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হয়, যেটিকে উভয় দেশই ‘ল্যান্ডমার্ক ট্রেড ডিল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বাড়তি ট্যারিফ আরোপের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিকে মারাত্মক একটা ঝাঁকুনি দিয়েছেন, তখন এমন চুক্তি ভারত ও যুক্তরাজ্য উভয়
২ দিন আগে