সম্পাদকীয়
এটা সুখবরই বটে। একটু হলেও ওদের জন্য তা স্বস্তিদায়ক। অতিদরিদ্র, দিনমজুর, গরিব-অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন খাতের জন্য মোট ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্যাকেজটি এই সংকটকালে বেশ আশাজাগানিয়া।
বলা হয়েছে, এসব প্যাকেজের আওতায় দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকসহ ১৭ লাখের বেশি অসহায় মানুষ জনপ্রতি নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। শহর এলাকায় নিম্ন আয়ের জনসাধারণের জন্য ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি খাতে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসব শ্রেণির অসহায় মানুষ। তাঁদের অনেকে কাজ হারিয়েছেন। কেউ এক বেলা খাবার জোগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। বিপন্নপ্রায় এসব মানুষের পাশে বেসরকারি বা সচ্ছল ব্যক্তি খাতকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এমনকি বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছ থেকে নীতিসহায়তা নিয়ে বিপুল মুনাফা লাভকারী প্রতিষ্ঠানকেও তাদের সিএসআর বা প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও খুব একটা সহায়তার হাত বাড়াতে দেখা যায়নি। করোনায় কিছু কিছু খাত টিকে থাকার লড়াই করছে সন্দেহ নেই; তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই এই সংকটেও ভালো ব্যবসা করছে। তারা সরকার থেকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক প্রণোদনাও পেয়েছে। তাদের এই বিপন্ন মানুষের পাশে সংবেদনশীল হয়ে সাড়া দিতে দেখা যায়নি। অবশেষে শেষ ভরসাস্থল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সাড়া দিয়েছেন। বরাবরের মতো তিনিই বিপুল একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ালেন।
তবে যতই প্রণোদনা দেওয়া হোক না কেন, এর বিতরণব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক আছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী দফায় দফায় অর্থ ও খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন। তা সত্যিকার অর্থে অনেক সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছায়নি। সমাজের একশ্রেণির প্রভাবশালী, দলীয় জনপ্রতিনিধি নানান অনিয়ম করে তার একটি অংশ নিজেদের পকেটে পুরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদার, মানবিক ও সৎ উদ্দেশ্যকে তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এই সম্প্রতি ঘরহীন দরিদ্র মানুষের জন্য ঘর বানিয়ে দেওয়া প্রকল্পেও আমরা তা দেখেছি।
কথা হলো, কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে শেষ পর্যন্ত সরকারই অসহায়দের পাশে থাকবে–এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শতভাগ সংবেদনশীলতার সঙ্গেই সাড়া দিয়েছেন। তবে এখন দেখতে হবে, গরিবের হক যেন কতিপয় লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর সমাজের মুখচেনা দলীয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর পকেটে না যায়–তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরাই এবার এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়াবেন, তাঁদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কারণ, এটা জনগণেরই টাকা। এ টাকা সত্যিকার অর্থে যাঁরা এ মুহূর্তে খাবার পাচ্ছেন না, চলতে পারছেন না–তাঁদের হাতে পৌঁছানোর জন্য যা করণীয় সব করতে হবে। এমনিতে দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাওয়া যাবে না, আবার সরকার এগিয়ে এলে তার সুফলও সুবিধাভোগীরা পাবেন না–এটা হতে পারে না।
এটা সুখবরই বটে। একটু হলেও ওদের জন্য তা স্বস্তিদায়ক। অতিদরিদ্র, দিনমজুর, গরিব-অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন খাতের জন্য মোট ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্যাকেজটি এই সংকটকালে বেশ আশাজাগানিয়া।
বলা হয়েছে, এসব প্যাকেজের আওতায় দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকসহ ১৭ লাখের বেশি অসহায় মানুষ জনপ্রতি নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। শহর এলাকায় নিম্ন আয়ের জনসাধারণের জন্য ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি খাতে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসব শ্রেণির অসহায় মানুষ। তাঁদের অনেকে কাজ হারিয়েছেন। কেউ এক বেলা খাবার জোগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। বিপন্নপ্রায় এসব মানুষের পাশে বেসরকারি বা সচ্ছল ব্যক্তি খাতকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এমনকি বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছ থেকে নীতিসহায়তা নিয়ে বিপুল মুনাফা লাভকারী প্রতিষ্ঠানকেও তাদের সিএসআর বা প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও খুব একটা সহায়তার হাত বাড়াতে দেখা যায়নি। করোনায় কিছু কিছু খাত টিকে থাকার লড়াই করছে সন্দেহ নেই; তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই এই সংকটেও ভালো ব্যবসা করছে। তারা সরকার থেকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক প্রণোদনাও পেয়েছে। তাদের এই বিপন্ন মানুষের পাশে সংবেদনশীল হয়ে সাড়া দিতে দেখা যায়নি। অবশেষে শেষ ভরসাস্থল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সাড়া দিয়েছেন। বরাবরের মতো তিনিই বিপুল একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ালেন।
তবে যতই প্রণোদনা দেওয়া হোক না কেন, এর বিতরণব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক আছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী দফায় দফায় অর্থ ও খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন। তা সত্যিকার অর্থে অনেক সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছায়নি। সমাজের একশ্রেণির প্রভাবশালী, দলীয় জনপ্রতিনিধি নানান অনিয়ম করে তার একটি অংশ নিজেদের পকেটে পুরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদার, মানবিক ও সৎ উদ্দেশ্যকে তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এই সম্প্রতি ঘরহীন দরিদ্র মানুষের জন্য ঘর বানিয়ে দেওয়া প্রকল্পেও আমরা তা দেখেছি।
কথা হলো, কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে শেষ পর্যন্ত সরকারই অসহায়দের পাশে থাকবে–এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শতভাগ সংবেদনশীলতার সঙ্গেই সাড়া দিয়েছেন। তবে এখন দেখতে হবে, গরিবের হক যেন কতিপয় লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর সমাজের মুখচেনা দলীয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর পকেটে না যায়–তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরাই এবার এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়াবেন, তাঁদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কারণ, এটা জনগণেরই টাকা। এ টাকা সত্যিকার অর্থে যাঁরা এ মুহূর্তে খাবার পাচ্ছেন না, চলতে পারছেন না–তাঁদের হাতে পৌঁছানোর জন্য যা করণীয় সব করতে হবে। এমনিতে দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাওয়া যাবে না, আবার সরকার এগিয়ে এলে তার সুফলও সুবিধাভোগীরা পাবেন না–এটা হতে পারে না।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১৫ ঘণ্টা আগেদেশে নারী জাগরণ অভূতপূর্ব। এটা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না। বীরকন্যা প্রীতিলতা, বেগম রোকেয়া থেকে জাহানারা ইমামে এর উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ শাসিত হয়েছে নারীর অধীনে। এরশাদের পতনের পর সরাসরি সামরিক শাসনের অবসান হলে খালেদা জিয়া দেশ শাসনে আসেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুদিন পরেই বৃষ্টিতে নাজেহাল হয়ে ওঠা মানুষদের এমনটাই মনে হবে। বাইরে হয়তো রোদ তখন তেমন কড়া নয়, আবার কড়াও হতে পারে, শেফালির শাখে বিহগ-বিহগী কে জানে কী গেয়ে যাবে!
১৬ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছোট্ট গ্রাম সাড়ে পাঁচআনি। এখানেই বড় হচ্ছে সোহান—মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের এক বিস্ময়বালক, যার পায়ের জাদু দেখে বিস্মিত হচ্ছে দেশজুড়ে মানুষ।
১৬ ঘণ্টা আগে