সম্পাদকীয়
দেশে মোট ১০৮টি বেসরকারিঅনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯৯টিতে। এই ৯৯টির মধ্যে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সমস্যায় কণ্টকিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। গত বৃহস্পতিবার ইউজিসির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সমস্যা কণ্টকিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি বলেছে, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে সঠিক তথ্য যাচাই করে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করে ইউজিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউ অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন-নির্ধারিত আসনসংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে কোনো আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হলে তার দায়দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউজিসি দায় শেষ করলেও প্রশ্ন হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইনকানুন তথা নীতিনিয়ম মেনে চলছে কি না, সেটা দেখার এবং তদারকি করার দায়দায়িত্ব তাহলে কার? একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে ভর্তি হতে যাওয়া আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত? কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন শর্ত লঙ্ঘন করছে, কার কোন বিষয়ে অনুমোদন নেই, তা কি একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে জানা-বোঝা সম্ভব?
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার পেছনে মূলত ব্যবসায়িক মনোভাবই থাকে। শিক্ষাবিস্তার, শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা কিংবা শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত করার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যতটা না, তার চেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে মুনাফার প্রতি। নানাভাবে তদবির করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনীয়তার কথা না ভেবে একের পর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে একধরনের জট তৈরি করা হয়েছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার আগেই সক্ষমতার বিষয়গুলো নজরে রাখার দায়িত্ব যেসব সরকারি বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের, তারা তা যথাযথভাবে করে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শর্ত মানতে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে স্বস্তি খুঁজতে চাইলে চলবে কেন?
শিক্ষার মান বৃদ্ধির দিকে নজর না দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়ে চমক সৃষ্টির একটি প্রবণতা আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। আমাদের দেশের একসময়ের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই যেখানে মানের প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে, সেখানে এতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন—সে প্রশ্ন তোলাই যায়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগ বছরের পর বছর বিভিন্ন শর্ত ভঙ্গ করে, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার পদে নিয়োগ না দিয়ে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় না এনে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে ইউজিসি প্রকৃত অর্থে নিজেদের অসহায়ত্বই প্রকাশ করল।
দেশে মোট ১০৮টি বেসরকারিঅনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯৯টিতে। এই ৯৯টির মধ্যে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সমস্যায় কণ্টকিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। গত বৃহস্পতিবার ইউজিসির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সমস্যা কণ্টকিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি বলেছে, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে সঠিক তথ্য যাচাই করে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করে ইউজিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউ অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন-নির্ধারিত আসনসংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে কোনো আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হলে তার দায়দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউজিসি দায় শেষ করলেও প্রশ্ন হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইনকানুন তথা নীতিনিয়ম মেনে চলছে কি না, সেটা দেখার এবং তদারকি করার দায়দায়িত্ব তাহলে কার? একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে ভর্তি হতে যাওয়া আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত? কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন শর্ত লঙ্ঘন করছে, কার কোন বিষয়ে অনুমোদন নেই, তা কি একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে জানা-বোঝা সম্ভব?
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার পেছনে মূলত ব্যবসায়িক মনোভাবই থাকে। শিক্ষাবিস্তার, শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা কিংবা শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত করার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যতটা না, তার চেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে মুনাফার প্রতি। নানাভাবে তদবির করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনীয়তার কথা না ভেবে একের পর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে একধরনের জট তৈরি করা হয়েছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার আগেই সক্ষমতার বিষয়গুলো নজরে রাখার দায়িত্ব যেসব সরকারি বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের, তারা তা যথাযথভাবে করে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শর্ত মানতে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে স্বস্তি খুঁজতে চাইলে চলবে কেন?
শিক্ষার মান বৃদ্ধির দিকে নজর না দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়ে চমক সৃষ্টির একটি প্রবণতা আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। আমাদের দেশের একসময়ের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই যেখানে মানের প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে, সেখানে এতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন—সে প্রশ্ন তোলাই যায়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগ বছরের পর বছর বিভিন্ন শর্ত ভঙ্গ করে, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার পদে নিয়োগ না দিয়ে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় না এনে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে ইউজিসি প্রকৃত অর্থে নিজেদের অসহায়ত্বই প্রকাশ করল।
অনেকেরই সংশয় ছিল। কারও কিছুটা হালকা, কারও আবার গভীর। কেউ কেউ শঙ্কিতও ছিলেন। দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে। এদের সবার সেই সব সংশয় ও শঙ্কা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ফলে দেশের শাসনব্যবস্থার গণতান্ত্রিক রূপান্তরকামী সাধারণ মানুষের জন্য তা হয়ে উঠেছে অশনিসংকেত। হ্যাঁ, এই কথাগুলো হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয়
১৭ ঘণ্টা আগেন্যায়বিচার, সংস্কার ও বৈষম্য বিলোপের দাবি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অনেকেই অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) নেতার উন্মুক্ত চাঁদাবাজির ঘটনা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের সর্বসাধারণের মনে একটা প্রশ্ন সব সময়ই ঘুরপাক খায়—ভগবান যেহেতু অজ, তাহলে তাঁর আবার জন্ম কিসের? এই প্রশ্নের উত্তর ভগবান নিজেই গীতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি অজ অর্থাৎ জন্মরহিত হওয়া সত্ত্বেও এই জড়জগতে জন্মগ্রহণ করেন। কেন তিনি জন্মগ্রহণ
১৭ ঘণ্টা আগেএকসময় ভরা মৌসুমে এ দেশের সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনতে পারত। কিন্তু অনেক বছর থেকে ইলিশ শুধু উচ্চবিত্ত মানুষেরাই কিনতে পারছে। বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় এর আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে নেই ইলিশ। এখন ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম বাড়া নিয়ে ১৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ
১৭ ঘণ্টা আগে