আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতকে শুল্ক আরোপ ‘শাস্তি’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি দাবি করলেন, এই শাস্তির পর ভারতকে তেলের গ্রাহক হিসেবে আর পাবে না রাশিয়া। গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প এ মন্তব্য করেছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল) কেনা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর তিনি হয়তো আর এ ধরনের অতিরিক্ত শুল্ক (সেকেন্ডারি ট্যারিফ) আরোপ করবেন না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল। ইউক্রেনে যুদ্ধে শেষ করার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনে থাকে তাদের ওপরও দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছিল। চীন ও ভারত রাশিয়ার প্রধান দুই তেল ক্রেতা দেশ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলশ্রুতিতে গত মাসে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হয়। এই অতিরিক্ত শুল্ক ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
অবশ্য নয়াদিল্লি এখনো মস্কো থেকে তেল কেনা স্থগিতের কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি।
গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তিনি (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) বলতে গেলে ভারতের মতো একটি তেল গ্রাহককে হারালেন, যা তাঁর প্রায় ৪০ শতাংশ তেল কিনে নিত। আপনারা জানেন, চীনও অনেক কেনে...। যদি আমি ‘দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা’ বা ‘দ্বিতীয় স্তরের শুল্ক’ আরোপ করি, তবে তাদের (চীন ও ভারত) জন্য তা খুব ধ্বংসাত্মক হবে। যদি আমাকে তা করতে হয়, আমি করব। হয়তো আমাকে তা করতে হবে না। ”
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে গত ৬ আগস্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন এবং পরবর্তীতে তা দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেন।
ভারত এই পদক্ষেপকে ‘অন্যায়, অযৌক্তিক এবং অসংগত’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। এই শুল্ক আরোপ বস্ত্র, সামুদ্রিক এবং চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির মতো ক্ষেত্রগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, অর্থনৈতিক চাপের মুখে ভারত পিছু হটবে না।
ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল শোধনাগারগুলো রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এএস সাহনি বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি এবং অর্থনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতেই কেনা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২২ সালে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল বর্জন করে এবং ইউক্রেন আক্রমণের জন্য মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ভারত রাশিয়ার তেলের বৃহত্তম গ্রাহক হয়ে ওঠে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যদি ভারত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে দেশটির অপরিশোধিত তেল আমদানির বিল ৯ বিলিয়ন ডলার এবং পরবর্তী বছরে ১২ বিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধ হলে ভারত ইরাক থেকে তেল কিনতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ভারতে প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল ইরাক। এরপর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে তাকাতে পারে।
ডেটা ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলার লিমিটেড জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা এবং মার্কিন শাস্তির হুমকির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ভারতীয় ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:
রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতকে শুল্ক আরোপ ‘শাস্তি’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি দাবি করলেন, এই শাস্তির পর ভারতকে তেলের গ্রাহক হিসেবে আর পাবে না রাশিয়া। গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প এ মন্তব্য করেছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল) কেনা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর তিনি হয়তো আর এ ধরনের অতিরিক্ত শুল্ক (সেকেন্ডারি ট্যারিফ) আরোপ করবেন না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল। ইউক্রেনে যুদ্ধে শেষ করার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনে থাকে তাদের ওপরও দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছিল। চীন ও ভারত রাশিয়ার প্রধান দুই তেল ক্রেতা দেশ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলশ্রুতিতে গত মাসে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হয়। এই অতিরিক্ত শুল্ক ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
অবশ্য নয়াদিল্লি এখনো মস্কো থেকে তেল কেনা স্থগিতের কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি।
গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তিনি (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) বলতে গেলে ভারতের মতো একটি তেল গ্রাহককে হারালেন, যা তাঁর প্রায় ৪০ শতাংশ তেল কিনে নিত। আপনারা জানেন, চীনও অনেক কেনে...। যদি আমি ‘দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা’ বা ‘দ্বিতীয় স্তরের শুল্ক’ আরোপ করি, তবে তাদের (চীন ও ভারত) জন্য তা খুব ধ্বংসাত্মক হবে। যদি আমাকে তা করতে হয়, আমি করব। হয়তো আমাকে তা করতে হবে না। ”
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে গত ৬ আগস্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন এবং পরবর্তীতে তা দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেন।
ভারত এই পদক্ষেপকে ‘অন্যায়, অযৌক্তিক এবং অসংগত’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। এই শুল্ক আরোপ বস্ত্র, সামুদ্রিক এবং চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির মতো ক্ষেত্রগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, অর্থনৈতিক চাপের মুখে ভারত পিছু হটবে না।
ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল শোধনাগারগুলো রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এএস সাহনি বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি এবং অর্থনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতেই কেনা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২২ সালে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল বর্জন করে এবং ইউক্রেন আক্রমণের জন্য মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ভারত রাশিয়ার তেলের বৃহত্তম গ্রাহক হয়ে ওঠে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যদি ভারত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে দেশটির অপরিশোধিত তেল আমদানির বিল ৯ বিলিয়ন ডলার এবং পরবর্তী বছরে ১২ বিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধ হলে ভারত ইরাক থেকে তেল কিনতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ভারতে প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল ইরাক। এরপর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে তাকাতে পারে।
ডেটা ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলার লিমিটেড জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা এবং মার্কিন শাস্তির হুমকির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ভারতীয় ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:
বর্ষায় উৎপাদন ব্যাহত, বৃষ্টিতে সরবরাহ সমস্যা আর দুই মৌসুমের ফাঁদসহ নানা কারণে সবজির দাম কয়েক মাস ধরেই বেশি। সেই বাড়তি দাম আরও বেড়েছে চলতি সপ্তাহে। ১ কেজি বেগুন কিনতে এখন ক্রেতার খরচ হচ্ছে ১৬০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৪০ টাকা বেশি। শুধু বেগুনই নয়, চলতি সপ্তাহে পটোল, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, কাঁকরোল
১৭ ঘণ্টা আগেইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনো এস আলমের মালিকানায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তা জব্দ করলেও শেয়ার লিকুইডেশন করে ব্যাংকের দায় শোধ করছে না। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত
১৯ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) কাজ শুরু হয়েছে নামমাত্রভাবে। এ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বরাদ্দের তুলনায় খুব কম অর্থ খরচ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জুলাই-আগস্টে ৩০ লাখ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ১০ লাখ টাকা খরচ কর
১৯ ঘণ্টা আগেআর্থিক সংকটাপন্ন ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করে একটি ব্যাংক করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন ব্যাংকের জন্য দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি হলো ইউনাইটেড
১ দিন আগে