সম্পাদকীয়
একসময় ভরা মৌসুমে এ দেশের সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনতে পারত। কিন্তু অনেক বছর থেকে ইলিশ শুধু উচ্চবিত্ত মানুষেরাই কিনতে পারছে। বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় এর আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে নেই ইলিশ। এখন ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম বাড়া নিয়ে ১৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় হাতিয়ার জেলেরা ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান। এখানকার বড় ২০টি ঘাটে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন। এবারও জেলেরা আগের মতোই প্রস্তুতি নিয়ে শিকারে নেমেছেন, কিন্তু বিচরণ এলাকায় জালে মাছ ধরা পড়ছে অনেক কম। সর্বত্রই ইলিশ না পাওয়ার হতাশা। সরবরাহ কম থাকায় এর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইলিশ এখন বিলাসবহুল পণ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ইলিশের আকাশচুম্বী দাম হওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। তবে দাম বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো, ইলিশ বাজারজাতে তদারকি সংস্থার দুর্বলতা এবং শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এ ছাড়া নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, দূষণ, বাঁধ-সেতুসহ নানা অবকাঠামোর কারণে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মাছটির প্রজননক্ষেত্র হুমকির
মুখে পড়ছে। ফলে উৎপাদনে ভাটা পড়ছে। তা ছাড়া, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় দিন দিন ইলিশের দাম বাড়ছে।
এই সংকট শুধু বর্তমানের সমস্যা নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি অশনিসংকেত। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং অর্থনৈতিকভাবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জাটকা নিধন ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। জাটকা হলো ইলিশের ছোট সংস্করণ। এদের বড় হতে না দিয়ে নিধন করার ফলে পূর্ণাঙ্গ ইলিশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জাটকা নিধন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। জাটকা নিধন রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নদী ও সমুদ্রদূষণও ইলিশের প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ইলিশের স্বাভাবিক জীবনচক্রকে প্রভাবিত করছে। এসব কারণে ইলিশ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। মূলত চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
ভরা মৌসুমে ইলিশের এই আকাল শুধু অর্থনৈতিক সংকটই নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়কেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সরকারের উচিত এই সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, নদী ও সমুদ্রের দূষণ রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা এবং ইলিশের প্রজননক্ষেত্রগুলোকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে ইলিশ সংরক্ষণে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
একসময় ভরা মৌসুমে এ দেশের সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনতে পারত। কিন্তু অনেক বছর থেকে ইলিশ শুধু উচ্চবিত্ত মানুষেরাই কিনতে পারছে। বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় এর আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে নেই ইলিশ। এখন ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম বাড়া নিয়ে ১৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় হাতিয়ার জেলেরা ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান। এখানকার বড় ২০টি ঘাটে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন। এবারও জেলেরা আগের মতোই প্রস্তুতি নিয়ে শিকারে নেমেছেন, কিন্তু বিচরণ এলাকায় জালে মাছ ধরা পড়ছে অনেক কম। সর্বত্রই ইলিশ না পাওয়ার হতাশা। সরবরাহ কম থাকায় এর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইলিশ এখন বিলাসবহুল পণ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ইলিশের আকাশচুম্বী দাম হওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। তবে দাম বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো, ইলিশ বাজারজাতে তদারকি সংস্থার দুর্বলতা এবং শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এ ছাড়া নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, দূষণ, বাঁধ-সেতুসহ নানা অবকাঠামোর কারণে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মাছটির প্রজননক্ষেত্র হুমকির
মুখে পড়ছে। ফলে উৎপাদনে ভাটা পড়ছে। তা ছাড়া, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় দিন দিন ইলিশের দাম বাড়ছে।
এই সংকট শুধু বর্তমানের সমস্যা নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি অশনিসংকেত। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং অর্থনৈতিকভাবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জাটকা নিধন ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। জাটকা হলো ইলিশের ছোট সংস্করণ। এদের বড় হতে না দিয়ে নিধন করার ফলে পূর্ণাঙ্গ ইলিশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জাটকা নিধন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। জাটকা নিধন রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নদী ও সমুদ্রদূষণও ইলিশের প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ইলিশের স্বাভাবিক জীবনচক্রকে প্রভাবিত করছে। এসব কারণে ইলিশ উৎপাদন কমে যাচ্ছে। মূলত চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
ভরা মৌসুমে ইলিশের এই আকাল শুধু অর্থনৈতিক সংকটই নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়কেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সরকারের উচিত এই সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, নদী ও সমুদ্রের দূষণ রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা এবং ইলিশের প্রজননক্ষেত্রগুলোকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে ইলিশ সংরক্ষণে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
অনেকেরই সংশয় ছিল। কারও কিছুটা হালকা, কারও আবার গভীর। কেউ কেউ শঙ্কিতও ছিলেন। দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে। এদের সবার সেই সব সংশয় ও শঙ্কা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ফলে দেশের শাসনব্যবস্থার গণতান্ত্রিক রূপান্তরকামী সাধারণ মানুষের জন্য তা হয়ে উঠেছে অশনিসংকেত। হ্যাঁ, এই কথাগুলো হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয়
৩ ঘণ্টা আগেন্যায়বিচার, সংস্কার ও বৈষম্য বিলোপের দাবি থেকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অনেকেই অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) নেতার উন্মুক্ত চাঁদাবাজির ঘটনা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
৪ ঘণ্টা আগেআমাদের সর্বসাধারণের মনে একটা প্রশ্ন সব সময়ই ঘুরপাক খায়—ভগবান যেহেতু অজ, তাহলে তাঁর আবার জন্ম কিসের? এই প্রশ্নের উত্তর ভগবান নিজেই গীতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি অজ অর্থাৎ জন্মরহিত হওয়া সত্ত্বেও এই জড়জগতে জন্মগ্রহণ করেন। কেন তিনি জন্মগ্রহণ
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকায় ১৩ আগস্ট একটি সংবাদ পড়ে এবং এ বিষয়ে টিভি চ্যানেলের সংবাদ দেখে মর্মাহত হয়েছিলাম। এভাবে কেউ কোনো দেশের একটি প্রাকৃতিক সম্পদের বিনাশ ঘটাতে পারে? আজকের পত্রিকায় ‘সাদাপাথরের সৌন্দর্য হারানোর কান্না’ শিরোনামের সে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় পাথর
১ দিন আগে