সম্পাদকীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না—এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরের মধ্যে আরও কমপক্ষে এক লাখ মানুষের হাতে ঘরের চাবি, জমির মালিকানা দলিল তুলে দেওয়ার কথা। যাঁরা এর মধ্যে একটি ঘর পেয়েছেন, তাঁদের সুখ, স্বস্তি ও আনন্দের কথা অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারছেন না। একটি ঘরের স্বপ্ন, একটি নিরাপদ বাসস্থান যে একজন মানুষের কত বড় শান্তির বিষয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন বলেই এই ব্যতিক্রমী একটি প্রকল্পের চিন্তা তিনি মাথায় নিয়েছেন।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম, অবহেলা ও লোভের কারণে সরকারের এমন একটি জনহিতৈষী মহৎ উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের কমপক্ষে ৩৬টি উপজেলার ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করায় কিছু কিছু ঘর গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করতে না করতেই হয় ভেঙে পড়েছে অথবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পকে তামাশায় পরিণত করার ধৃষ্টতা কারা দেখাল? কোথা থেকে এই আশকারা তারা পেয়েছে?
এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা করেছে দুদক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, ওএসডি করা কি আসলে কোনো শাস্তি? অতীতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আসলে কি কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কেউ পেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী ভালোবেসে মানুষকে যে উপহার দিচ্ছেন, সেই উপহার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার দুঃসাহস যারা দেখায়, তারা সাধারণ দুর্বৃত্ত নয়। ঘর বরাদ্দ নিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কিছু অভিযোগও আছে। এই দুর্বৃত্তির সঙ্গে যারা জড়িত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা যে শাস্তি পেয়েছে, সেটাও প্রচারে আনতে হবে। গরিবের হক মেরে খাওয়ার মতো বুকের পাটা যারা দেখিয়েছে, তাদের বোঝাতে হবে, দুর্নীতি করে রক্ষা পাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এটাই যে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর ঘরেই সিঁধ কাটা হচ্ছে!
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি কমিটি জায়গা নির্ধারণ করার পরও নিচু জমিতে বা নদীর পাড়ে কীভাবে ঘর বানানো হলো, কেন নির্মাণসামগ্রী নিম্ন মানের হলো—এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। ঘুঘু বারবার ধান খেয়ে যাওয়ার আগেই ঘুঘুর পরান বধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না—এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরের মধ্যে আরও কমপক্ষে এক লাখ মানুষের হাতে ঘরের চাবি, জমির মালিকানা দলিল তুলে দেওয়ার কথা। যাঁরা এর মধ্যে একটি ঘর পেয়েছেন, তাঁদের সুখ, স্বস্তি ও আনন্দের কথা অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারছেন না। একটি ঘরের স্বপ্ন, একটি নিরাপদ বাসস্থান যে একজন মানুষের কত বড় শান্তির বিষয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন বলেই এই ব্যতিক্রমী একটি প্রকল্পের চিন্তা তিনি মাথায় নিয়েছেন।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম, অবহেলা ও লোভের কারণে সরকারের এমন একটি জনহিতৈষী মহৎ উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের কমপক্ষে ৩৬টি উপজেলার ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করায় কিছু কিছু ঘর গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করতে না করতেই হয় ভেঙে পড়েছে অথবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পকে তামাশায় পরিণত করার ধৃষ্টতা কারা দেখাল? কোথা থেকে এই আশকারা তারা পেয়েছে?
এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা করেছে দুদক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, ওএসডি করা কি আসলে কোনো শাস্তি? অতীতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আসলে কি কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কেউ পেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী ভালোবেসে মানুষকে যে উপহার দিচ্ছেন, সেই উপহার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার দুঃসাহস যারা দেখায়, তারা সাধারণ দুর্বৃত্ত নয়। ঘর বরাদ্দ নিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কিছু অভিযোগও আছে। এই দুর্বৃত্তির সঙ্গে যারা জড়িত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা যে শাস্তি পেয়েছে, সেটাও প্রচারে আনতে হবে। গরিবের হক মেরে খাওয়ার মতো বুকের পাটা যারা দেখিয়েছে, তাদের বোঝাতে হবে, দুর্নীতি করে রক্ষা পাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এটাই যে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর ঘরেই সিঁধ কাটা হচ্ছে!
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি কমিটি জায়গা নির্ধারণ করার পরও নিচু জমিতে বা নদীর পাড়ে কীভাবে ঘর বানানো হলো, কেন নির্মাণসামগ্রী নিম্ন মানের হলো—এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। ঘুঘু বারবার ধান খেয়ে যাওয়ার আগেই ঘুঘুর পরান বধ করতে হবে।
নজরুলের মূল শক্তি ছিল তাঁর গতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কোমলে-কঠোরে গড়া ছিল তাঁর জীবন। তাই প্রেমের কবিতা, সাম্যের কবিতা, ইসলামি কবিতা কিংবা শ্যামা সংগীত, কোনোখানেই তিনি স্থির হয়ে দাঁড়াননি। যা কিছু সুন্দর, তার প্রতি আস্থা রেখেছেন আজীবন।
২১ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সপ্তাহখানেক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মার্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার...
২১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের তারাকান্দা এন ইসলামিয়া একাডেমি কলেজে একজন আয়াকে প্রভাষক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস সহকারী নিয়োগ এবং একই প্রভাষককে দুই বিষয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের...
২১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
২ দিন আগে