Ajker Patrika

নীলফামারীতে আটক কুমিল্লার দুই সাংবাদিক

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নীলফামারীর নীলসাগর পর্যটনকেন্দ্রে দুই সাংবাদিক। ছবিটি গতকাল শুক্রবার শাহজাদার ফেসবুক থেকে নেওয়া।
নীলফামারীর নীলসাগর পর্যটনকেন্দ্রে দুই সাংবাদিক। ছবিটি গতকাল শুক্রবার শাহজাদার ফেসবুক থেকে নেওয়া।

নীলফামারীর নীলসাগর পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে গিয়ে কুমিল্লার দুই সাংবাদিক নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নিখোঁজ এক সাংবাদিকের স্ত্রী। তবে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় তাঁদের আটকের কথা জানান নীলফামারীর জেলা প্রশাসক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ সাংবাদিকদের অবস্থান শনাক্ত করতে সংশ্লিষ্ট থানা ও বিভাগকে জানানো হয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন মো. শাহজাদা এমরান। তিনি কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের কুমিল্লা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। অপরজন তারিকুল ইসলাম তরুণ। তিনি দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি।

জিডি সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার শওকত ভিলার বাসিন্দা মো. শাহজাদা এমরান ও তাঁর সহকর্মী নগরীর কালিয়াজুড়ির বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম তরুণ ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) নীলফামারী ভ্রমণে যান। কিন্তু ওই রাত থেকেই তাঁদের সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারছেন না। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

নিখোঁজ শাহজাদা এমরানের স্ত্রী মোসাম্মৎ জাহেরা আক্তার জানান, তাঁর স্বামী সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণে বের হন। কিন্তু এবারের ঘটনায় তাঁর স্বামী ও সহকর্মীর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তিনি আতঙ্কিত। তাঁর স্বামী ও তারিকুল ইসলামের মোবাইল নম্বর বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নীলফামারীতে সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে যাওয়ায় কোনো এক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে শুনেছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন আমাদের কোনো তথ্য দিতে পারছে না।’

শাহজাদা এমরানের ছেলে আবির নিহাল বলেন, ‘শুনেছি নীলফামারীতে আমার বাবাকে আটক করেছে বিশেষ বাহিনী। তবে কে, কখন, কোথায় থেকে আটক করেছে কোনো তথ্য পাচ্ছি না। একবার শুনি নীলফামারীতে আছে, আবার শুনি ঢাকায় নিয়ে গেছে। এ নিয়ে আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।’

এদিকে নীলফামারীর পুলিশ সুপার এ এফ এম তারিক হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে একটি বিশেষ বাহিনী। তাদের সম্ভবত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুনেছি, এর বেশি কিছু জানতে পারিনি। এ বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

অপারেশন রেড ওয়েডিং ও নার্নিয়া: ইরানের সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যায় ইসরায়েলি অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত