নিয়ম ভেঙে ৪ জনের চাকরি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারজন নিকট আত্মীয়কে ভুয়া সনদে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিধি মোতাবেক যোগ্যতা না থাকলেও ভুয়া সনদপত্র দিয়ে মন্ত্রীর আত্মীয়ের ‘যোগ্যতায়’ নিয়োগ পান তাঁরা। লালমনিরহাটের এক সাংবাদিকের করা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
চার অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের মেয়ে উম্মে হাবিবা, মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম ও তাঁর স্বামী নুরুল আলম হবু এবং মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের ছেলের বউ আমিনা খাতুন।
সচিব বরাবর পাঠানো জেলা প্রশাসকের পত্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ প্রথমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরের দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দিয়েছেন। এসব নিয়োগ ও যোগদানে মানা হয়নি চাকরির বিধিবিধান।
অভিযোগে বলা হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ক্ষমতার প্রভাবে নিজের আত্মীয়দের নিয়োগ দেন এই মন্ত্রী। ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগে স্নাতকোত্তর পাস সনদ আবশ্যক হলেও গত ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি নিয়োগ পান মন্ত্রীর শ্যালকের মেয়ে এইচএসসি পাস উম্মে হাবিবা। পরবর্তীকালে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস একটি সনদ দাখিল করেন। ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করা হবে মর্মে অঙ্গীকারনামা দিলেও এখনো সনদ দাখিল করেননি। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবাকে পরবর্তীকালে মিরপুর আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক পদে অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু বিধিমতে এই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার কথা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার।
পরে উম্মে হাবিবা মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ট্রাস্টের ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করেন। এদিকে তাঁর অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও বিচার চেয়ে ট্রাস্টের কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
একই পন্থায় ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদে আল নাহিয়ান উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে গত ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি নিয়োগ পান মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের ছেলের বউ আমিনা খাতুন। তাঁর পদে স্নাতকোত্তরসহ বিএড এমএড আবশ্যক। কিন্তু তিনিও বিএড এমএড সনদ ছাড়াই নিয়োগ পান। একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম। তিনি স্নাতক পাস করলেও তাঁর বিএড সনদ ভুয়া। এ ছাড়া আরিফা খানমের স্বামী নুরুল আলম হবুও যোগদানের তারিখ জালিয়াতি করে পদোন্নতি নিয়ে হয়েছেন লালমনিরহাট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সেই পদোন্নতিও মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাবে যোগদানের তারিখ ২১ সাল থেকে ২০০৮ সাল দেখানো হয়। তবে কোনো পদোন্নতি হয়নি বলে দাবি করে নুরুল আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের জমি জবরদখলের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে অভিযোগকারী সাংবাদিক লাভলু শেখ বলেন, ‘উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ ৪২ পাতার অভিযোগ দাখিল করেছি। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উম্মে হাবিবা বলেন, ‘সনদ দাখিলের অঙ্গীকারনামা দিয়ে যোগদান করেছি ঠিক, তবে সময় উল্লেখ ছিল না। আর পূর্বে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম, সেখান থেকে অভিজ্ঞতার সনদ প্রদানে বিলম্ব করায় আমি অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলাম। মন্ত্রীর আত্মীয়ের সুবাদে চাকরি হয়নি, যোগ্যতায় চাকরি হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিক হায়দার বলেন, ৪২ পাতার অভিযোগটি পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও খবর পড়ুন:
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারজন নিকট আত্মীয়কে ভুয়া সনদে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিধি মোতাবেক যোগ্যতা না থাকলেও ভুয়া সনদপত্র দিয়ে মন্ত্রীর আত্মীয়ের ‘যোগ্যতায়’ নিয়োগ পান তাঁরা। লালমনিরহাটের এক সাংবাদিকের করা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
চার অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের মেয়ে উম্মে হাবিবা, মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম ও তাঁর স্বামী নুরুল আলম হবু এবং মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের ছেলের বউ আমিনা খাতুন।
সচিব বরাবর পাঠানো জেলা প্রশাসকের পত্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ প্রথমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরের দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দিয়েছেন। এসব নিয়োগ ও যোগদানে মানা হয়নি চাকরির বিধিবিধান।
অভিযোগে বলা হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ক্ষমতার প্রভাবে নিজের আত্মীয়দের নিয়োগ দেন এই মন্ত্রী। ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগে স্নাতকোত্তর পাস সনদ আবশ্যক হলেও গত ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি নিয়োগ পান মন্ত্রীর শ্যালকের মেয়ে এইচএসসি পাস উম্মে হাবিবা। পরবর্তীকালে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস একটি সনদ দাখিল করেন। ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করা হবে মর্মে অঙ্গীকারনামা দিলেও এখনো সনদ দাখিল করেননি। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবাকে পরবর্তীকালে মিরপুর আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক পদে অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু বিধিমতে এই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার কথা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার।
পরে উম্মে হাবিবা মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ট্রাস্টের ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করেন। এদিকে তাঁর অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও বিচার চেয়ে ট্রাস্টের কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
একই পন্থায় ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদে আল নাহিয়ান উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে গত ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি নিয়োগ পান মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের ছেলের বউ আমিনা খাতুন। তাঁর পদে স্নাতকোত্তরসহ বিএড এমএড আবশ্যক। কিন্তু তিনিও বিএড এমএড সনদ ছাড়াই নিয়োগ পান। একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান মন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম। তিনি স্নাতক পাস করলেও তাঁর বিএড সনদ ভুয়া। এ ছাড়া আরিফা খানমের স্বামী নুরুল আলম হবুও যোগদানের তারিখ জালিয়াতি করে পদোন্নতি নিয়ে হয়েছেন লালমনিরহাট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সেই পদোন্নতিও মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাবে যোগদানের তারিখ ২১ সাল থেকে ২০০৮ সাল দেখানো হয়। তবে কোনো পদোন্নতি হয়নি বলে দাবি করে নুরুল আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের জমি জবরদখলের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে অভিযোগকারী সাংবাদিক লাভলু শেখ বলেন, ‘উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ ৪২ পাতার অভিযোগ দাখিল করেছি। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উম্মে হাবিবা বলেন, ‘সনদ দাখিলের অঙ্গীকারনামা দিয়ে যোগদান করেছি ঠিক, তবে সময় উল্লেখ ছিল না। আর পূর্বে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম, সেখান থেকে অভিজ্ঞতার সনদ প্রদানে বিলম্ব করায় আমি অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলাম। মন্ত্রীর আত্মীয়ের সুবাদে চাকরি হয়নি, যোগ্যতায় চাকরি হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিক হায়দার বলেন, ৪২ পাতার অভিযোগটি পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও খবর পড়ুন:
স্থানীয় সূত্র ও দলীয় নেতাদের বরাতে জানা গেছে, ফজর আলী দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন এবং নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করতে থাকেন। এ অবস্থায়, ঘটনার পর...
১৮ মিনিট আগেরাজধানীর ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত মূল শুটারকে অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রাতে নিজ ঘরের কক্ষ থেকে ডেকে বের করা হয় আব্দুর রহিমকে। বাড়ির উঠানে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর সময় নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুর রহিম। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকালে নিহতের মরদেহ...
১ ঘণ্টা আগেসৌমিক বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বোচারপুকুর গ্রামের তৌফিকুর রহমানের ছেলে। তবে পরিবারটি শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় বসবাস করছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে