সম্পাদকীয়
হয় ব্যর্থতার চোরাবালিতে। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরুর একটি ভালো খবর বেরিয়েছে।
প্রথম ট্রেনে ভারত থেকে আসে পাথর ও গম। ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে আসা ট্রেনটি সীমান্তবর্তী হলদিবাড়ী স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এভাবে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন আসবে-যাবে।
জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসা ভারতীয় ট্রেন তাদের হলদিবাড়ী স্টেশন হয়ে চিলাহাটি স্টেশনে এসে ইঞ্জিন পরিবর্তন করবে। এরপর পণ্য ও যাত্রী বাংলাদেশি ইঞ্জিন টেনে আনবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীর পর্যন্ত। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতমুখী ট্রেন হলদিবাড়ী যাওয়ার পর ইঞ্জিন পরিবর্তন হবে। সে দেশের ইঞ্জিন পণ্য ও যাত্রী নিয়ে যাবে ভারতের জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। এভাবে দুই দেশের মধ্যে ট্রেনগুলো চলাচল করবে নিয়মিত। এর জন্য চার লাইনের রেলপথকে ১০ লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চিলাহাটি স্টেশনটিকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গেল বছরের ১৭ ডিসেম্বর আবারও এই রুটের পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আমরা মনে করি, এই রুট বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানসহ চার দেশের যোগাযোগের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্স এবং নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির বিরাট সুযোগ তৈরি হবে। কারণ, ওই সব অঞ্চল যোগাযোগে অপেক্ষাকৃত দুর্গম। ফলে বাংলাদেশ হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ওই সব অঞ্চলে রপ্তানি ও যাতায়াত করা এখন সহজ হবে। সবার জন্যই তা ব্যয়সাশ্রয়ী ও লাভজনক। এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে শুরুতেই গবেষণা করে সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেশগুলোর মানুষের মধ্যে যাতায়াতের ভালো সুযোগ তৈরি হবে এই নতুন রেলপথে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি হয়ে ভারতের পর্যটন এলাকা দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, মিরিক, সিকিমসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর বাংলাদেশি ভ্রমণ করেন। আর নেপাল, ভুটান তো আছেই। একইভাবে বাংলাদেশেরও পর্যটনের সম্ভাবনাগুলো ওই সব দেশের পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। সবার জন্যই যাতায়াত ব্যয়সাশ্রয়ী হবে।
এই সুযোগ সময়েই কাজে লাগাতে হবে। এর আগেও বাংলাদেশ নতুন অনেক কিছুই করেছে, চালুর পরে যার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দেখা যায়নি। বরং অবহেলা, পরিচর্যা ও মনোযোগের অভাবে শুধু রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হতে দেখা যায়। চালুর সময় যে উৎসাহ, তা ধরে রাখতে হবে বাস্তবায়নেও। এমন যেন না হয় যে প্রতিবেশী দেশগুলো ঠিকই তাদের লাভ ঘরে তুলবে আর আমরা তা চেয়ে চেয়ে দেখব।
হয় ব্যর্থতার চোরাবালিতে। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরুর একটি ভালো খবর বেরিয়েছে।
প্রথম ট্রেনে ভারত থেকে আসে পাথর ও গম। ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে আসা ট্রেনটি সীমান্তবর্তী হলদিবাড়ী স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এভাবে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন আসবে-যাবে।
জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসা ভারতীয় ট্রেন তাদের হলদিবাড়ী স্টেশন হয়ে চিলাহাটি স্টেশনে এসে ইঞ্জিন পরিবর্তন করবে। এরপর পণ্য ও যাত্রী বাংলাদেশি ইঞ্জিন টেনে আনবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম তীর পর্যন্ত। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতমুখী ট্রেন হলদিবাড়ী যাওয়ার পর ইঞ্জিন পরিবর্তন হবে। সে দেশের ইঞ্জিন পণ্য ও যাত্রী নিয়ে যাবে ভারতের জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। এভাবে দুই দেশের মধ্যে ট্রেনগুলো চলাচল করবে নিয়মিত। এর জন্য চার লাইনের রেলপথকে ১০ লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চিলাহাটি স্টেশনটিকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গেল বছরের ১৭ ডিসেম্বর আবারও এই রুটের পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আমরা মনে করি, এই রুট বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানসহ চার দেশের যোগাযোগের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্স এবং নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির বিরাট সুযোগ তৈরি হবে। কারণ, ওই সব অঞ্চল যোগাযোগে অপেক্ষাকৃত দুর্গম। ফলে বাংলাদেশ হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ওই সব অঞ্চলে রপ্তানি ও যাতায়াত করা এখন সহজ হবে। সবার জন্যই তা ব্যয়সাশ্রয়ী ও লাভজনক। এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে শুরুতেই গবেষণা করে সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেশগুলোর মানুষের মধ্যে যাতায়াতের ভালো সুযোগ তৈরি হবে এই নতুন রেলপথে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি হয়ে ভারতের পর্যটন এলাকা দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, মিরিক, সিকিমসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর বাংলাদেশি ভ্রমণ করেন। আর নেপাল, ভুটান তো আছেই। একইভাবে বাংলাদেশেরও পর্যটনের সম্ভাবনাগুলো ওই সব দেশের পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। সবার জন্যই যাতায়াত ব্যয়সাশ্রয়ী হবে।
এই সুযোগ সময়েই কাজে লাগাতে হবে। এর আগেও বাংলাদেশ নতুন অনেক কিছুই করেছে, চালুর পরে যার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দেখা যায়নি। বরং অবহেলা, পরিচর্যা ও মনোযোগের অভাবে শুধু রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হতে দেখা যায়। চালুর সময় যে উৎসাহ, তা ধরে রাখতে হবে বাস্তবায়নেও। এমন যেন না হয় যে প্রতিবেশী দেশগুলো ঠিকই তাদের লাভ ঘরে তুলবে আর আমরা তা চেয়ে চেয়ে দেখব।
আমার এক অধ্যাপক বন্ধু আছেন, যিনি সংক্ষেপে কোনো কথা বলতে পারেন না। তাঁকে ঠাট্টা করে আমি ‘বচনজীবী অধ্যাপক’ বলে ডাকি। সম্প্রতি ফেসবুকে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ছবি দিয়ে ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমি কোথাও এখন আর ছাত্র খুঁজে পাই না, সবাই পরীক্ষার্থী।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। বাংলাভাষী মানুষের পরম সৌভাগ্য, বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির রুচি নির্মাণে রবীন্দ্রনাথের তুলনা কি আর আছে? শিল্প-সাহিত্যে আমাদের যেটুকু অর্জন, তার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন যাঁরা...
১৭ ঘণ্টা আগেভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে কি বেজে উঠল যুদ্ধের দামামা? চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে দু দেশের পরিবেশ। এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে বাংলাদেশও বিপদে পড়তে পারে। যুদ্ধ শুরু হলে কে জয়ী হলো, কে পরাজিত হলো, সে হিসাব-নিকাশের মূল্য অনেক...
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে এখন আমের মৌসুম। এ সময়টায় কৃষকের চোখে-মুখে থাকে আশার আলো। সারা বছরের পরিশ্রমে ফলানো ফসল বিক্রি করে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কিছু ভুল ধারণা ও অজ্ঞতার কারণে ‘কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো’ অভিযোগে টন টন আম প্রশাসনের হাতে জব্দ ও ধ্বংস হচ্ছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় প্রায়
১ দিন আগে