সম্পাদকীয়
নগদ টাকা হাতে বেশি থাকলে কী হয়? কেউ অপরিহার্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি কিছু বিলাসী পণ্যও কেনেন। কেউ খেয়েদেয়ে, ঘুরেফিরে খরচ করেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কেনাকাটা বাড়িয়ে দেন। এর ফলে কিছু টাকার অপচয়ও হয়। তখন টাকা থেকে টাকা আয়ের উপায়, কোনো খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া অথবা সংযমী ও সঞ্চয়ী হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
ব্যক্তিজীবনের মতো এ রকম রাষ্ট্রীয় জীবনেও টাকার যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে নানান উপায়ে অতিরিক্ত টাকার অপচয় হয়। এ জন্য ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত তারল্য আর্থিক খাতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে–এমন আশঙ্কায় ওই টাকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
খবর বেরিয়েছে, আগামীকাল সোমবার থেকেই ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিল’-এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বাড়তি টাকা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ২০১৮ সালেও একই প্রক্রিয়ায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দেশে কি নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে গেছে? হ্যাঁ, ব্যাংকগুলোতে বিপুল অঙ্কের টাকা জমা হয়ে আছে। অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা একেবারেই অলস। বাকি টাকায় কেনা হয়েছে বিভিন্ন বিল ও বন্ড। টাকা বেশি জমে থাকায় অনেক ব্যাংক অলস টাকার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ আছে।
ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের তারল্য মানে হলো টাকার গুণগত বিনিয়োগ হচ্ছে না। আবার আমানত হিসেবে প্রতিদিনই জমা হচ্ছে। এতে এই বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে করোনাসহ নানান কারণে বিনিয়োগ কম হওয়ায়, ঋণপ্রবাহ কম থাকায় তারল্য বাড়ছে। তা ছাড়া, গ্রাহকেরা নিরাপত্তার কারণেও হাতের টাকা ব্যাংকে এনে জমা করছেন। ফলে বিনিয়োগ না হওয়ায় কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আবার আমানত হিসেবে তা জমা পড়ে থাকায় ব্যাংকগুলোরও দায় বাড়ছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে টাকাগুলো কিনে নিতে চায়। এতে টাকার ঝুঁকি কমে যাবে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো মুনাফা পাবে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংক থেকে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা তুলে নেবে, তার জন্য কেমন মুনাফা পাবে ব্যাংকগুলো? ব্যাংকাররা মনে করেন, বিলের সুদের হার যদি ট্রেজারি বিল ও কল মানির চেয়ে কম হয়, তাহলে কোনো কাজে দেবে না। কোনো ব্যাংক আগ্রহ দেখাবে না। তার মানে হলো, এই টাকার বিপরীতে ভালো মুনাফা দিতে হবে ব্যাংককে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়তো টাকার ঝুঁকি কমাতে সুদ দিয়ে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিচ্ছে। আমরা মনে করি, এটাই সমাধান নয়, টাকার গুণগত বিনিয়োগই আসল কথা। বেসরকারি খাতে যদি ঋণপ্রবাহ না থাকে এবং ঝুঁকিমুক্ত, আয়বর্ধনমূলক ব্যবসা, শিল্প খাতে যদি এই টাকা বিনিয়োগ না হয়, তাহলে কোনো লাভ নেই।
এখন টাকার গুণগত বিনিয়োগ নিয়ে ভাবতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে; যাতে করে উৎপাদনশীল খাত চাঙা হয়, মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে এবং অর্থনীতিও গতিশীল থাকে।
নগদ টাকা হাতে বেশি থাকলে কী হয়? কেউ অপরিহার্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি কিছু বিলাসী পণ্যও কেনেন। কেউ খেয়েদেয়ে, ঘুরেফিরে খরচ করেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কেনাকাটা বাড়িয়ে দেন। এর ফলে কিছু টাকার অপচয়ও হয়। তখন টাকা থেকে টাকা আয়ের উপায়, কোনো খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া অথবা সংযমী ও সঞ্চয়ী হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
ব্যক্তিজীবনের মতো এ রকম রাষ্ট্রীয় জীবনেও টাকার যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে নানান উপায়ে অতিরিক্ত টাকার অপচয় হয়। এ জন্য ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত তারল্য আর্থিক খাতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে–এমন আশঙ্কায় ওই টাকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
খবর বেরিয়েছে, আগামীকাল সোমবার থেকেই ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিল’-এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বাড়তি টাকা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে ২০১৮ সালেও একই প্রক্রিয়ায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দেশে কি নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে গেছে? হ্যাঁ, ব্যাংকগুলোতে বিপুল অঙ্কের টাকা জমা হয়ে আছে। অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা একেবারেই অলস। বাকি টাকায় কেনা হয়েছে বিভিন্ন বিল ও বন্ড। টাকা বেশি জমে থাকায় অনেক ব্যাংক অলস টাকার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ আছে।
ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের তারল্য মানে হলো টাকার গুণগত বিনিয়োগ হচ্ছে না। আবার আমানত হিসেবে প্রতিদিনই জমা হচ্ছে। এতে এই বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে করোনাসহ নানান কারণে বিনিয়োগ কম হওয়ায়, ঋণপ্রবাহ কম থাকায় তারল্য বাড়ছে। তা ছাড়া, গ্রাহকেরা নিরাপত্তার কারণেও হাতের টাকা ব্যাংকে এনে জমা করছেন। ফলে বিনিয়োগ না হওয়ায় কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আবার আমানত হিসেবে তা জমা পড়ে থাকায় ব্যাংকগুলোরও দায় বাড়ছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে টাকাগুলো কিনে নিতে চায়। এতে টাকার ঝুঁকি কমে যাবে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো মুনাফা পাবে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংক থেকে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা তুলে নেবে, তার জন্য কেমন মুনাফা পাবে ব্যাংকগুলো? ব্যাংকাররা মনে করেন, বিলের সুদের হার যদি ট্রেজারি বিল ও কল মানির চেয়ে কম হয়, তাহলে কোনো কাজে দেবে না। কোনো ব্যাংক আগ্রহ দেখাবে না। তার মানে হলো, এই টাকার বিপরীতে ভালো মুনাফা দিতে হবে ব্যাংককে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়তো টাকার ঝুঁকি কমাতে সুদ দিয়ে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিচ্ছে। আমরা মনে করি, এটাই সমাধান নয়, টাকার গুণগত বিনিয়োগই আসল কথা। বেসরকারি খাতে যদি ঋণপ্রবাহ না থাকে এবং ঝুঁকিমুক্ত, আয়বর্ধনমূলক ব্যবসা, শিল্প খাতে যদি এই টাকা বিনিয়োগ না হয়, তাহলে কোনো লাভ নেই।
এখন টাকার গুণগত বিনিয়োগ নিয়ে ভাবতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে; যাতে করে উৎপাদনশীল খাত চাঙা হয়, মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে এবং অর্থনীতিও গতিশীল থাকে।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১ দিন আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১ দিন আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১ দিন আগে