সম্পাদকীয়
সংবাদপত্রে প্রতিদিনই এমন দু-একটি খবর থাকে, যেগুলো পড়লে মাথা গরম না হয়ে পারে না। বলা হয়, জনগণের জন্য সরকার সব উজাড় করে দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা পূরণ না করে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছা পূরণ করতে সরকারি টাকা ধ্বংস করা হয় দ্বিধাহীন চিত্তে। কাজের কাজে দক্ষতা না থাকলেও অকাজে পটু ব্যক্তির অভাব নেই দেশে। আজকের পত্রিকায় দুদিন আগে দুটি খবর ছাপা হয়েছে। একটার শিরোনাম ‘যুগ যুগ ধরে সেতুর অপেক্ষা’। অন্যটির শিরোনাম ‘সেতুর সংযোগ সড়কে কাঠ’। প্রথম খবরটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার। দ্বিতীয়টি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের। বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি নদীর ওপর একটি পাকা সেতুর অভাবে চারটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ৪০ বছর ধরে এলাকাবাসীকে সেতুটি নির্মাণ করার আশ্বাস অনেক সাংসদ দিয়েছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডিমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলীকে ডিও লেটার দেওয়ার পরও সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসী জানেন না, কেন অসংখ্য মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা না করে গড়িমসি করা হচ্ছে? টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার পরও কেন জনগণের সুবিধার দিকটি উপেক্ষিত হচ্ছে? ওই এলাকার জনগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ সেতুটি অপ্রয়োজনীয় মনে হলে, তা-ও তো খোলাসা করে এলাকাবাসীর কাছে বলা উচিত। কারও কাছে কোনো বিষয়ে জবাবদিহি না করার যে অপসংস্কৃতি আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে, তা একসময় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের বুধরাইল সড়কের ধোপাখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর দক্ষিণ পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। দেড় বছর হয় ওই অ্যাপ্রোচ সড়কটি ধসে গেছে। বারবার জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। মানুষের অসুবিধার কথা, তাদের কষ্টের কথা বুঝতে কর্তৃপক্ষের এত সময় লাগে কেন–এ প্রশ্নেরই বা জবাব কে দেবে?
প্রয়োজনীয় কাজটি করতে না পারলেও অপ্রয়োজনীয় সেতু-কালভার্টের নামে সরকারি সম্পদ নষ্ট করতে ঠিকই পারদর্শিতা দেখা যায় অনেকের। দুই পাশে সড়ক নেই, মাঝখানে সেতু নির্মাণের অনেক ঘটনাই দেশে ঘটেছে, সংবাদপত্রে সেসব ছাপাও হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই না করে ও নকশায় সংযোগ সড়কের স্থান না রেখে কিছু অসৎ মানুষের পকেট ভারী করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু-কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগও পাওয়া যায়। এলজিইডির এক প্রাথমিক মূল্যায়নে একবার বলা হয়েছিল, সাংসদদের সুপারিশের অর্ধেক সেতুই অপ্রয়োজনীয়। বুঝতে কষ্ট হয় না যে জনস্বার্থে নয়, লুটপাটের জন্যই ওই সব অদরকারি সেতু বানানো হয়।
জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত জনস্বার্থ এবং অগ্রাধিকার বিবেচনা করে প্রকল্প তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করা। মানুষের মনে আক্ষেপ তৈরি হয়–এমন কাজ বন্ধ না করলে একসময় গণরোষের শিকার হতে হবে।
সংবাদপত্রে প্রতিদিনই এমন দু-একটি খবর থাকে, যেগুলো পড়লে মাথা গরম না হয়ে পারে না। বলা হয়, জনগণের জন্য সরকার সব উজাড় করে দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা পূরণ না করে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছা পূরণ করতে সরকারি টাকা ধ্বংস করা হয় দ্বিধাহীন চিত্তে। কাজের কাজে দক্ষতা না থাকলেও অকাজে পটু ব্যক্তির অভাব নেই দেশে। আজকের পত্রিকায় দুদিন আগে দুটি খবর ছাপা হয়েছে। একটার শিরোনাম ‘যুগ যুগ ধরে সেতুর অপেক্ষা’। অন্যটির শিরোনাম ‘সেতুর সংযোগ সড়কে কাঠ’। প্রথম খবরটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার। দ্বিতীয়টি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের। বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি নদীর ওপর একটি পাকা সেতুর অভাবে চারটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ৪০ বছর ধরে এলাকাবাসীকে সেতুটি নির্মাণ করার আশ্বাস অনেক সাংসদ দিয়েছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডিমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলীকে ডিও লেটার দেওয়ার পরও সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসী জানেন না, কেন অসংখ্য মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা না করে গড়িমসি করা হচ্ছে? টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার পরও কেন জনগণের সুবিধার দিকটি উপেক্ষিত হচ্ছে? ওই এলাকার জনগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ সেতুটি অপ্রয়োজনীয় মনে হলে, তা-ও তো খোলাসা করে এলাকাবাসীর কাছে বলা উচিত। কারও কাছে কোনো বিষয়ে জবাবদিহি না করার যে অপসংস্কৃতি আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে, তা একসময় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের বুধরাইল সড়কের ধোপাখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর দক্ষিণ পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। দেড় বছর হয় ওই অ্যাপ্রোচ সড়কটি ধসে গেছে। বারবার জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। মানুষের অসুবিধার কথা, তাদের কষ্টের কথা বুঝতে কর্তৃপক্ষের এত সময় লাগে কেন–এ প্রশ্নেরই বা জবাব কে দেবে?
প্রয়োজনীয় কাজটি করতে না পারলেও অপ্রয়োজনীয় সেতু-কালভার্টের নামে সরকারি সম্পদ নষ্ট করতে ঠিকই পারদর্শিতা দেখা যায় অনেকের। দুই পাশে সড়ক নেই, মাঝখানে সেতু নির্মাণের অনেক ঘটনাই দেশে ঘটেছে, সংবাদপত্রে সেসব ছাপাও হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই না করে ও নকশায় সংযোগ সড়কের স্থান না রেখে কিছু অসৎ মানুষের পকেট ভারী করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু-কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগও পাওয়া যায়। এলজিইডির এক প্রাথমিক মূল্যায়নে একবার বলা হয়েছিল, সাংসদদের সুপারিশের অর্ধেক সেতুই অপ্রয়োজনীয়। বুঝতে কষ্ট হয় না যে জনস্বার্থে নয়, লুটপাটের জন্যই ওই সব অদরকারি সেতু বানানো হয়।
জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত জনস্বার্থ এবং অগ্রাধিকার বিবেচনা করে প্রকল্প তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করা। মানুষের মনে আক্ষেপ তৈরি হয়–এমন কাজ বন্ধ না করলে একসময় গণরোষের শিকার হতে হবে।
নজরুলের মূল শক্তি ছিল তাঁর গতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কোমলে-কঠোরে গড়া ছিল তাঁর জীবন। তাই প্রেমের কবিতা, সাম্যের কবিতা, ইসলামি কবিতা কিংবা শ্যামা সংগীত, কোনোখানেই তিনি স্থির হয়ে দাঁড়াননি। যা কিছু সুন্দর, তার প্রতি আস্থা রেখেছেন আজীবন।
৬ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সপ্তাহখানেক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মার্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার...
৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের তারাকান্দা এন ইসলামিয়া একাডেমি কলেজে একজন আয়াকে প্রভাষক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস সহকারী নিয়োগ এবং একই প্রভাষককে দুই বিষয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের...
৬ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১ দিন আগে