সম্পাদকীয়
হাসপাতালেই জেনেছিলেন সহধর্মিণীর আনন্দের খবরটি। কিন্তু এক দিন পরই ছেড়ে গেলেন এই পৃথিবী। হয়তো প্রিয় মানুষের খুশির খবরটি শোনার জন্যই বেঁচেছিলেন! এক দিন আগেই স্ত্রী ড. ফেরদৌসী কাদরীর মনে আনন্দাশ্রু এসেছিল নিজের সাফল্যের স্বীকৃতির খবরে। আর এক দিন পরেই মানতে হলো স্বামী অধ্যাপক ড. সাইয়্যেদ সালেহীন কাদরীর চিরবিদায়। এই কষ্ট ছাপিয়েও দেশের কৃতী সন্তান আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এশিয়ার নোবেল হিসেবে পরিচিত ম্যাগসেসে পুরস্কার অর্জন করেছেন, এটা নিঃসন্দেহে জাতির জন্যও অনেক আনন্দের এবং গর্বের। তাঁর এ অসাধারণ সাফল্যে আমরা তাঁকে অভিনন্দিত করছি। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
মঙ্গলবার ফিলিপাইন থেকে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা ও সাশ্রয়ী দামে টিকা সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা-বিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি। ড. ফেরদৌসী কমিটিকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সারা জীবন তিনি মানুষের কল্যাণে আরও কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পুরস্কারটি তিনি দেশের মানুষ ও আইসিডিডিআরবিকে উৎসর্গ করেন।
ফেরদৌসী কাদরী বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর শিক্ষকতা করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট করে ১৯৮৮ সালে আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন। এখানে সংক্রামক রোগ, রোগতত্ত্ব, টিকা এবং এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করেন।
দরিদ্র দেশের মানুষের একটি বড় সমস্যা কলেরা ও টাইফয়েডের সঙ্গে লড়াই। এর পাশাপাশি নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ না পাওয়ার চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফেরদৌসী কাদরী মুখে খাওয়ার টিকার (ওসিভি) উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়া, নবজাতক, শিশু ও বয়স্কদের টাইফয়েডের টিকার উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকের ওসিভি টিকাদানে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন। করোনা মহামারির এ সময়ে ড. কাদরী টিকাসংক্রান্ত গবেষণা ও পরীক্ষার কাজেও যুক্ত ছিলেন।
র্যামন ম্যাগসেসে কমিটি ফেরদৌসী কাদরীকে এই পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে বলেছে, ‘বিজ্ঞান পেশায় তাঁর জীবনভর আত্মনিয়োগ ও আন্তরিকতা স্বীকার করছে বোর্ড অব ট্রাস্টি।’ তাঁর অবিচল লক্ষ্য বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের, বিশেষ করে নারী বিজ্ঞানীদের অনুপ্রেরণা হবে বলেও মনে করে কমিটি।
আমরা মনে করি, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরীর এ স্বীকৃতি বাংলাদেশেরও অর্জন। দেশে এ রকম আরও অসংখ্য ফেরদৌসী তৈরি করা প্রয়োজন। শিক্ষা, বৃত্তি ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগ দিয়ে মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। সমস্যা হলো দেশে থাকতে মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। মেধাবীরা যাতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে এসে নিজেদের সম্ভাবনাকে আরও কাজে লাগাতে পারেন, এ পদক্ষেপ নিতে হবে। আর তরুণ মেধাবীদেরও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। দেশপ্রেম থাকলে বিদেশের সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে এসেও যে সফল হওয়া যায়, ড. ফেরদৌসী তার বড় উদাহরণ।
হাসপাতালেই জেনেছিলেন সহধর্মিণীর আনন্দের খবরটি। কিন্তু এক দিন পরই ছেড়ে গেলেন এই পৃথিবী। হয়তো প্রিয় মানুষের খুশির খবরটি শোনার জন্যই বেঁচেছিলেন! এক দিন আগেই স্ত্রী ড. ফেরদৌসী কাদরীর মনে আনন্দাশ্রু এসেছিল নিজের সাফল্যের স্বীকৃতির খবরে। আর এক দিন পরেই মানতে হলো স্বামী অধ্যাপক ড. সাইয়্যেদ সালেহীন কাদরীর চিরবিদায়। এই কষ্ট ছাপিয়েও দেশের কৃতী সন্তান আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এশিয়ার নোবেল হিসেবে পরিচিত ম্যাগসেসে পুরস্কার অর্জন করেছেন, এটা নিঃসন্দেহে জাতির জন্যও অনেক আনন্দের এবং গর্বের। তাঁর এ অসাধারণ সাফল্যে আমরা তাঁকে অভিনন্দিত করছি। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
মঙ্গলবার ফিলিপাইন থেকে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা ও সাশ্রয়ী দামে টিকা সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা-বিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি। ড. ফেরদৌসী কমিটিকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সারা জীবন তিনি মানুষের কল্যাণে আরও কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পুরস্কারটি তিনি দেশের মানুষ ও আইসিডিডিআরবিকে উৎসর্গ করেন।
ফেরদৌসী কাদরী বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর শিক্ষকতা করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট করে ১৯৮৮ সালে আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন। এখানে সংক্রামক রোগ, রোগতত্ত্ব, টিকা এবং এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করেন।
দরিদ্র দেশের মানুষের একটি বড় সমস্যা কলেরা ও টাইফয়েডের সঙ্গে লড়াই। এর পাশাপাশি নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ না পাওয়ার চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফেরদৌসী কাদরী মুখে খাওয়ার টিকার (ওসিভি) উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়া, নবজাতক, শিশু ও বয়স্কদের টাইফয়েডের টিকার উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকের ওসিভি টিকাদানে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন। করোনা মহামারির এ সময়ে ড. কাদরী টিকাসংক্রান্ত গবেষণা ও পরীক্ষার কাজেও যুক্ত ছিলেন।
র্যামন ম্যাগসেসে কমিটি ফেরদৌসী কাদরীকে এই পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে বলেছে, ‘বিজ্ঞান পেশায় তাঁর জীবনভর আত্মনিয়োগ ও আন্তরিকতা স্বীকার করছে বোর্ড অব ট্রাস্টি।’ তাঁর অবিচল লক্ষ্য বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের, বিশেষ করে নারী বিজ্ঞানীদের অনুপ্রেরণা হবে বলেও মনে করে কমিটি।
আমরা মনে করি, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরীর এ স্বীকৃতি বাংলাদেশেরও অর্জন। দেশে এ রকম আরও অসংখ্য ফেরদৌসী তৈরি করা প্রয়োজন। শিক্ষা, বৃত্তি ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগ দিয়ে মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। সমস্যা হলো দেশে থাকতে মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। মেধাবীরা যাতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে এসে নিজেদের সম্ভাবনাকে আরও কাজে লাগাতে পারেন, এ পদক্ষেপ নিতে হবে। আর তরুণ মেধাবীদেরও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। দেশপ্রেম থাকলে বিদেশের সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে এসেও যে সফল হওয়া যায়, ড. ফেরদৌসী তার বড় উদাহরণ।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১৩ ঘণ্টা আগে