সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিকর নয়। সংক্রমণ বাড়ছে। কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যাও দুই শর ওপর। হাসপাতালে শয্যাসংকট তীব্র। আছে অক্সিজেনের ঘাটতি। আইসিইউও প্রয়োজনের তুলনায় কম। রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরা ছোটাছুটি করছেন এখান থেকে সেখানে। চিকিৎসা না পেয়েও কারও কারও মৃত্যু হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন তথা মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। শুধু কৌতূহলের বশে ঘরের বাইরে বের হয়ে অনেকেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন, অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। করোনা বহুরূপী ভাইরাস হওয়ায় বারবার তার ধরন বদলে বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।
করোনা মোকাবিলায় যখন আমরা হিমশিম খাচ্ছি, তখন আবার ঘাড়ে এসে চেপে বসছে ডেঙ্গু নামের আরেক বিপদ। করোনার রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল, পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০-র মতো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, এর অধিকাংশই ঢাকা শহরের। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু আছে। ডেঙ্গুতে এরই মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। মশা মারার জন্য কামান দাগার কথা অনেক শোনা যায়, তবে কামানে যে গোলাবারুদ, তার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় আছে। বাসাবাড়িতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে। তাই নিজ নিজ বাসাবাড়িতে পানি জমে থাকার সম্ভাব্য জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করার মতো নাগরিক সচেতনতার অভাব পীড়াদায়ক। আমরা দায় এড়াতে পছন্দ করি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা করি। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সাগরে মৌসুমি লঘুচাপের কারণে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে রবিশস্য, আমন ধানের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় পানের বরজে পানি জমেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষের। অনেক পুকুর এবং মাছের ঘের থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে। সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেক মাছচাষি। টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক উঁচু-নিচু এলাকা, অনেক মানুষের স্বপ্ন ধুয়ে গেছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ভারী বর্ষণ আর জোয়ারে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধসে উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ছয় রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, ফেনীতে পানিতে ভেসে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এত বিপদ মাথায় নিয়েও আমাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন এবং এগিয়ে চলার গতি অব্যাহত রাখার মনোবল বজায় রাখতে হবে। মেঘ দেখে ভয় নয়, আড়ালে সূর্য হাসে—সে ভরসা থাকতে হবে।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিকর নয়। সংক্রমণ বাড়ছে। কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যাও দুই শর ওপর। হাসপাতালে শয্যাসংকট তীব্র। আছে অক্সিজেনের ঘাটতি। আইসিইউও প্রয়োজনের তুলনায় কম। রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরা ছোটাছুটি করছেন এখান থেকে সেখানে। চিকিৎসা না পেয়েও কারও কারও মৃত্যু হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন তথা মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। শুধু কৌতূহলের বশে ঘরের বাইরে বের হয়ে অনেকেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন, অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। করোনা বহুরূপী ভাইরাস হওয়ায় বারবার তার ধরন বদলে বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।
করোনা মোকাবিলায় যখন আমরা হিমশিম খাচ্ছি, তখন আবার ঘাড়ে এসে চেপে বসছে ডেঙ্গু নামের আরেক বিপদ। করোনার রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল, পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০-র মতো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, এর অধিকাংশই ঢাকা শহরের। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু আছে। ডেঙ্গুতে এরই মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। মশা মারার জন্য কামান দাগার কথা অনেক শোনা যায়, তবে কামানে যে গোলাবারুদ, তার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় আছে। বাসাবাড়িতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে। তাই নিজ নিজ বাসাবাড়িতে পানি জমে থাকার সম্ভাব্য জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করার মতো নাগরিক সচেতনতার অভাব পীড়াদায়ক। আমরা দায় এড়াতে পছন্দ করি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা করি। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সাগরে মৌসুমি লঘুচাপের কারণে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে রবিশস্য, আমন ধানের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় পানের বরজে পানি জমেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষের। অনেক পুকুর এবং মাছের ঘের থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে। সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেক মাছচাষি। টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক উঁচু-নিচু এলাকা, অনেক মানুষের স্বপ্ন ধুয়ে গেছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ভারী বর্ষণ আর জোয়ারে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধসে উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ছয় রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, ফেনীতে পানিতে ভেসে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এত বিপদ মাথায় নিয়েও আমাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন এবং এগিয়ে চলার গতি অব্যাহত রাখার মনোবল বজায় রাখতে হবে। মেঘ দেখে ভয় নয়, আড়ালে সূর্য হাসে—সে ভরসা থাকতে হবে।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১ দিন আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১ দিন আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১ দিন আগে