সম্পাদকীয়
নাটোর শব্দটি শুনলেই দুটো প্রতীক ভেসে ওঠে চোখে। বনলতা সেন আর কাঁচাগোল্লা। ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ বলতে বলতে কত পুরুষ রোমান্সে ভেসে গেল, তার ইয়ত্তা নেই। এই অঞ্চলের কাঁচাগোল্লা নিয়েও যে লেখা হলো কত সহস্র ফিচার আর প্রতিবেদন, সেটাও হিসাব করে বের করা যাবে না। কিন্তু সেই নাটোর এখন অতীতের প্রতীক নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত নয়। তারা নতুনভাবে নিজেদের পরিচয় দিতে প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে নাটোরের লালপুর। এখানকার আবালবৃদ্ধবনিতা এখন ইমোয় মজেছে! ইমোর মাধ্যমে প্রতারণার ছলাকলা শিখে নিচ্ছে তারা এবং প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে কারও না কারও সর্বনাশের কারণ হচ্ছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, ইমো অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে একেবারে বিজ্ঞানসম্মত পথ। চার স্তরে ঢেলে সাজানো তাদের কর্মকাণ্ড। প্রতারণাটি তারা করে থাকে এমনভাবে যে, কেউ কোনো প্রশ্ন না করেই টাকা পাঠিয়ে দেন। দুটো উদাহরণও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। কোনো মা-বাবা যদি তারই সন্তানের ইমো অ্যাপ থেকে আসা খবরে জানতে পারেন, সন্তান দুর্ঘটনায় পড়েছে, তাকে বাঁচাতে পাঠাতে হবে টাকা, তাহলে তারা কি টাকা না দিয়ে পারবেন? আগে তো সন্তান! ফলে প্রতারণায় সিদ্ধহস্তরা অনায়াসেই কাছের মানুষদের দুর্বলতার এই সুযোগটা নিয়ে থাকেন। কীভাবে ইমো হ্যাক করা হয়ে থাকে, সে কথাও বলা আছে প্রতিবেদনে। কিন্তু তাতে ইমো ব্যবহারকারীদের টনক নড়বে, এতটা আশা করা ভুল হবে।
ইমো হ্যাক করে প্রতারণা করার কাজটি লালপুরের মানুষ ভালোই রপ্ত করে ফেলেছেন। কাজ-টাজ ফেলে তাঁদের অনেকেই এখন শুধু ইমোর মাধ্যমে প্রতারণা করেই বেঁচেবর্তে আছেন। বিনা পুঁজিতে ব্যবসা কিংবা বিনা বীজে ফসল ফলানোর মতো ব্যাপার হয়ে গেছে এই প্রতারণা!
আমরা অবশ্য এ ঘটনা থেকে আরেকটু বড় ঘটনার দিকে যেতে চাইছি। প্রতারণার হরেক কৌশলের সঙ্গেই তো বাংলাদেশের নাগরিকেরা পরিচিত হয়েছেন। ইমোর মাধ্যমে এই প্রতারণাকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীদের কথাও আলোচনায় আনা দরকার। ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাৎকারীদের কথাই-বা বাদ থাকবে কেন? পুনঃ তফসিলের যে ঝকমারি খেলা চলে, তাই-বা কেন আলোচনার বাইরে থাকবে? আর ঠিকাদারি? সিকি ভাগ কাজ না করেই সরকারের খাজাঞ্চিখানা থেকে টাকা তুলে নেওয়ার খবর তো হরহামেশাই পাওয়া যায়। আষ্টেপৃষ্ঠে প্রতারণার জালে জড়িয়ে গেছে দেশ!
পয়সাওয়ালা প্রতারকদের অর্থাৎ সমাজের ওপর তলার ভয়ংকর প্রতারক ও অপরাধীদের ধরার ব্যবস্থা করলেই বড় বড় প্রতারণা বন্ধ হতে পারে। চুনোপুঁটিরাও তাতে ভয় পাবে।
যে ধনিকশ্রেণি প্রতারণার মাধ্যমে প্রভাববলয়ের সৃষ্টি করতে পেরেছে, তাকে ধরা সহজ নয়। কিন্তু সেটা না করলে এই ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার কথাই বারবার শোনা যাবে। আর সেই ফাঁকে ওই বড় চোরেরা তাদের সম্পদ গড়ে তুলবে পৃথিবীর সেরা সব শহরে। থাকবে ধরাছোঁয়ার বাইরে, যা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
নাটোর শব্দটি শুনলেই দুটো প্রতীক ভেসে ওঠে চোখে। বনলতা সেন আর কাঁচাগোল্লা। ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ বলতে বলতে কত পুরুষ রোমান্সে ভেসে গেল, তার ইয়ত্তা নেই। এই অঞ্চলের কাঁচাগোল্লা নিয়েও যে লেখা হলো কত সহস্র ফিচার আর প্রতিবেদন, সেটাও হিসাব করে বের করা যাবে না। কিন্তু সেই নাটোর এখন অতীতের প্রতীক নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত নয়। তারা নতুনভাবে নিজেদের পরিচয় দিতে প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে নাটোরের লালপুর। এখানকার আবালবৃদ্ধবনিতা এখন ইমোয় মজেছে! ইমোর মাধ্যমে প্রতারণার ছলাকলা শিখে নিচ্ছে তারা এবং প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে কারও না কারও সর্বনাশের কারণ হচ্ছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, ইমো অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে একেবারে বিজ্ঞানসম্মত পথ। চার স্তরে ঢেলে সাজানো তাদের কর্মকাণ্ড। প্রতারণাটি তারা করে থাকে এমনভাবে যে, কেউ কোনো প্রশ্ন না করেই টাকা পাঠিয়ে দেন। দুটো উদাহরণও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। কোনো মা-বাবা যদি তারই সন্তানের ইমো অ্যাপ থেকে আসা খবরে জানতে পারেন, সন্তান দুর্ঘটনায় পড়েছে, তাকে বাঁচাতে পাঠাতে হবে টাকা, তাহলে তারা কি টাকা না দিয়ে পারবেন? আগে তো সন্তান! ফলে প্রতারণায় সিদ্ধহস্তরা অনায়াসেই কাছের মানুষদের দুর্বলতার এই সুযোগটা নিয়ে থাকেন। কীভাবে ইমো হ্যাক করা হয়ে থাকে, সে কথাও বলা আছে প্রতিবেদনে। কিন্তু তাতে ইমো ব্যবহারকারীদের টনক নড়বে, এতটা আশা করা ভুল হবে।
ইমো হ্যাক করে প্রতারণা করার কাজটি লালপুরের মানুষ ভালোই রপ্ত করে ফেলেছেন। কাজ-টাজ ফেলে তাঁদের অনেকেই এখন শুধু ইমোর মাধ্যমে প্রতারণা করেই বেঁচেবর্তে আছেন। বিনা পুঁজিতে ব্যবসা কিংবা বিনা বীজে ফসল ফলানোর মতো ব্যাপার হয়ে গেছে এই প্রতারণা!
আমরা অবশ্য এ ঘটনা থেকে আরেকটু বড় ঘটনার দিকে যেতে চাইছি। প্রতারণার হরেক কৌশলের সঙ্গেই তো বাংলাদেশের নাগরিকেরা পরিচিত হয়েছেন। ইমোর মাধ্যমে এই প্রতারণাকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীদের কথাও আলোচনায় আনা দরকার। ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাৎকারীদের কথাই-বা বাদ থাকবে কেন? পুনঃ তফসিলের যে ঝকমারি খেলা চলে, তাই-বা কেন আলোচনার বাইরে থাকবে? আর ঠিকাদারি? সিকি ভাগ কাজ না করেই সরকারের খাজাঞ্চিখানা থেকে টাকা তুলে নেওয়ার খবর তো হরহামেশাই পাওয়া যায়। আষ্টেপৃষ্ঠে প্রতারণার জালে জড়িয়ে গেছে দেশ!
পয়সাওয়ালা প্রতারকদের অর্থাৎ সমাজের ওপর তলার ভয়ংকর প্রতারক ও অপরাধীদের ধরার ব্যবস্থা করলেই বড় বড় প্রতারণা বন্ধ হতে পারে। চুনোপুঁটিরাও তাতে ভয় পাবে।
যে ধনিকশ্রেণি প্রতারণার মাধ্যমে প্রভাববলয়ের সৃষ্টি করতে পেরেছে, তাকে ধরা সহজ নয়। কিন্তু সেটা না করলে এই ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার কথাই বারবার শোনা যাবে। আর সেই ফাঁকে ওই বড় চোরেরা তাদের সম্পদ গড়ে তুলবে পৃথিবীর সেরা সব শহরে। থাকবে ধরাছোঁয়ার বাইরে, যা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৯ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
৯ ঘণ্টা আগে