সম্পাদকীয়
অবশেষে প্রতীক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের। শেষ পর্যন্ত তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এর ফলে দীর্ঘ ১৭ মাস পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানান। এ ছাড়া আগের ঘোষণা অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে মত দিয়েছে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ জন্য অবশ্যই সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কারণ, বিভিন্ন সময়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চাপ ছিল সরকারের ওপর। বলা হয়েছিল, সব চলে, স্কুল খুলতে বাধা কোথায়? সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে সব সমালোচনায়ও চুপ থেকেছে, ধৈর্য ধরে কারও সমালোচনায় কান দেয়নি। কারণ, একটু ভুলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এমনিতেই বাংলাদেশ অনেক ঘনবসতিপূর্ণ। তার ওপর সচেতনতা কম। আর শিশু-কিশোরদের বিষয়টি তো আরও বেশি নাজুক। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারণক্ষমতার চেয়ে শিক্ষার্থী বেশি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হতো না।
এটা ঠিক, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধের ফলে পড়াশোনায় একটা ক্ষতি হয়েছে এবং তাদের শারীরিক, মানসিক দিক থেকেও নানান নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে।
কিন্তু ভালো খবর হলো, এর ফলে করোনা সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েনি; বিশেষ করে শিশু-কিশোরেরা অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি সুরক্ষিত ছিল। আমরা মনে করি সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল, সব সমালোচনার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটি।
তবে এখন সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ, করোনা পুরোপুরি চলে যায়নি। সংক্রমণের হার যদিও ১০ শতাংশের নিচে, তারপরও একেবারে নির্মূল হয়নি এই মরণব্যাধি মহামারি। এখনো অনেক মানুষ মরছে। তাই স্কুল খুলে দেওয়ায় সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাচ্চাদের নিয়ে গড্ডলিকায় গা ভাসালে চলবে না।
স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে শতভাগ। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর স্কুলেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের শ্রেণিকক্ষগুলো নতুনভাবে সাজাতে হবে। গাদাগাদি করে বসানো যাবে না বাচ্চাদের। একেকটি আসনের মধ্যে গ্রহণযোগ্য দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আরও নানান স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, স্কুলভেদে এসব নিয়মনীতি নিজেরা পরিপালন করতে হবে। সরকার বলছে টিকার ব্যবস্থা হচ্ছে। কিন্তু এখনো শিশুদের জন্য টিকার সংস্থান হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত তা না করা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো অবহেলা করা যাবে না।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, অভিভাবকদের অনেক বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বাচ্চারা কিছুই বোঝে না, জানে না। করোনার মতো এত দ্রুত সংক্রমণশীল রোগের বিষয়ে বড়রাই যেখানে অসতর্ক, সেখানে তাদের জন্য অভিভাবকেরা বাড়তি সচেতনতা না নিলে ঝুঁকি থেকেই যাবে।
অবশেষে প্রতীক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের। শেষ পর্যন্ত তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এর ফলে দীর্ঘ ১৭ মাস পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানান। এ ছাড়া আগের ঘোষণা অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে মত দিয়েছে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ জন্য অবশ্যই সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কারণ, বিভিন্ন সময়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চাপ ছিল সরকারের ওপর। বলা হয়েছিল, সব চলে, স্কুল খুলতে বাধা কোথায়? সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে সব সমালোচনায়ও চুপ থেকেছে, ধৈর্য ধরে কারও সমালোচনায় কান দেয়নি। কারণ, একটু ভুলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এমনিতেই বাংলাদেশ অনেক ঘনবসতিপূর্ণ। তার ওপর সচেতনতা কম। আর শিশু-কিশোরদের বিষয়টি তো আরও বেশি নাজুক। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারণক্ষমতার চেয়ে শিক্ষার্থী বেশি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হতো না।
এটা ঠিক, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধের ফলে পড়াশোনায় একটা ক্ষতি হয়েছে এবং তাদের শারীরিক, মানসিক দিক থেকেও নানান নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে।
কিন্তু ভালো খবর হলো, এর ফলে করোনা সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েনি; বিশেষ করে শিশু-কিশোরেরা অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি সুরক্ষিত ছিল। আমরা মনে করি সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল, সব সমালোচনার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটি।
তবে এখন সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ, করোনা পুরোপুরি চলে যায়নি। সংক্রমণের হার যদিও ১০ শতাংশের নিচে, তারপরও একেবারে নির্মূল হয়নি এই মরণব্যাধি মহামারি। এখনো অনেক মানুষ মরছে। তাই স্কুল খুলে দেওয়ায় সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাচ্চাদের নিয়ে গড্ডলিকায় গা ভাসালে চলবে না।
স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে শতভাগ। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর স্কুলেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের শ্রেণিকক্ষগুলো নতুনভাবে সাজাতে হবে। গাদাগাদি করে বসানো যাবে না বাচ্চাদের। একেকটি আসনের মধ্যে গ্রহণযোগ্য দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আরও নানান স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, স্কুলভেদে এসব নিয়মনীতি নিজেরা পরিপালন করতে হবে। সরকার বলছে টিকার ব্যবস্থা হচ্ছে। কিন্তু এখনো শিশুদের জন্য টিকার সংস্থান হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত তা না করা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো অবহেলা করা যাবে না।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, অভিভাবকদের অনেক বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বাচ্চারা কিছুই বোঝে না, জানে না। করোনার মতো এত দ্রুত সংক্রমণশীল রোগের বিষয়ে বড়রাই যেখানে অসতর্ক, সেখানে তাদের জন্য অভিভাবকেরা বাড়তি সচেতনতা না নিলে ঝুঁকি থেকেই যাবে।
আপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
৩ ঘণ্টা আগেঅপরাধ করেছে সন্তান। আর নাকে ‘খত’ দিয়েছেন মা। এ রকম ‘অভিনব’ বিচার হয়েছে ফেনীতে। বিচার করেছেন বিএনপির এক নেতা। অনেকে বলেন, সন্তানের অপরাধের সাজা নাকি মা-বাবা ভোগ করেন। সেই সাজা মূলত মানসিক পীড়া। সন্তানের অপরাধের শাস্তি হলে মা-বাবার মনোবেদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা সাজার চেয়ে তো কম কিছু না।
৩ ঘণ্টা আগে