সম্পাদকীয়
একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচন না ছিল অংশগ্রহণমূলক, না ছিল শান্তিপূর্ণ। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের পর একটি নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে দেশ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর বিএনপি চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নিয়ে কি দেশে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে? না। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে মাঠে নামলেও সহিংসতা পরিহার করে চলার একটি ইতিবাচক বার্তাও দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা একদিকে যেমন সাধারণ নাগরিকদের মাঝে স্বস্তির বার্তা বয়ে আনে, তেমনি রাজনীতিতে দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।
বস্তুত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচনের আগে-পরে সংঘাত, অবরোধ, হরতাল কিংবা সহিংস কর্মসূচির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া নতুন কিছু নয়। ফলে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল যদি সংঘাত এড়িয়ে জনমত গঠনের পথে থাকে, সেটি গণতন্ত্রচর্চার জন্য এক ইতিবাচক সংকেত। তবে এই অবস্থান কতটা স্থায়ী এবং তা কতটা কার্যকরভাবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়, দেখার বিষয় সেটাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা সময়সূচি ঘোষণা না করায় বিএনপির উদ্বেগ অযৌক্তিক নয়। একটি নির্বাচন কেবল ভোট গ্রহণের দিনই নয়, তার পূর্বপ্রস্তুতি, তফসিল, মনোনয়ন, প্রচার, নিরাপত্তা—সবকিছু মিলিয়েই একটি দীর্ঘ ও সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি বা দেরি নির্বাচনী অনিশ্চয়তা বাড়ায় এবং রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করে।
আন্দোলন করতে গিয়ে যদি রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত পরিহার করে কৌশলগত চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য সহায়ক হতে পারে। সরকারকেও এই সুযোগে দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে সময়মতো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রূপরেখা পেশ করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন যে শুধু বিএনপির দাবি তা নয়, একাধিক রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজও মনে করে, এই সময়টাই নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত। রমজান, ঈদ এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত বাস্তবতা মাথায় রেখে নির্বাচন আরও পেছালে তা অবাঞ্ছিত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিএনপির তরফ থেকে তরুণসমাজকে সম্পৃক্ত করে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরকারের প্রতি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাপ প্রয়োগের কৌশল নেওয়া একটি পরিপক্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এমন কর্মসূচির মাধ্যমেই জনগণের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়, রাজনৈতিক দল শক্তি সঞ্চয় করে এবং সরকারও একটি গণতান্ত্রিক বার্তা পায়।
তবে সবকিছুর পরেও একটি গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধ সবচেয়ে জরুরি। সংঘাত নয়, সংলাপ ও অংশগ্রহণই হওয়া উচিত গণতন্ত্রে পথচলার দিশা। এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে প্রয়োজন আস্থা পুনর্গঠন, ইতিবাচক সংলাপ এবং সময়মতো নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা।
একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচন না ছিল অংশগ্রহণমূলক, না ছিল শান্তিপূর্ণ। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের পর একটি নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে দেশ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর বিএনপি চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নিয়ে কি দেশে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে? না। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে মাঠে নামলেও সহিংসতা পরিহার করে চলার একটি ইতিবাচক বার্তাও দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা একদিকে যেমন সাধারণ নাগরিকদের মাঝে স্বস্তির বার্তা বয়ে আনে, তেমনি রাজনীতিতে দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।
বস্তুত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচনের আগে-পরে সংঘাত, অবরোধ, হরতাল কিংবা সহিংস কর্মসূচির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া নতুন কিছু নয়। ফলে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল যদি সংঘাত এড়িয়ে জনমত গঠনের পথে থাকে, সেটি গণতন্ত্রচর্চার জন্য এক ইতিবাচক সংকেত। তবে এই অবস্থান কতটা স্থায়ী এবং তা কতটা কার্যকরভাবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়, দেখার বিষয় সেটাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা সময়সূচি ঘোষণা না করায় বিএনপির উদ্বেগ অযৌক্তিক নয়। একটি নির্বাচন কেবল ভোট গ্রহণের দিনই নয়, তার পূর্বপ্রস্তুতি, তফসিল, মনোনয়ন, প্রচার, নিরাপত্তা—সবকিছু মিলিয়েই একটি দীর্ঘ ও সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি বা দেরি নির্বাচনী অনিশ্চয়তা বাড়ায় এবং রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করে।
আন্দোলন করতে গিয়ে যদি রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত পরিহার করে কৌশলগত চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য সহায়ক হতে পারে। সরকারকেও এই সুযোগে দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে সময়মতো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রূপরেখা পেশ করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন যে শুধু বিএনপির দাবি তা নয়, একাধিক রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজও মনে করে, এই সময়টাই নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত। রমজান, ঈদ এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত বাস্তবতা মাথায় রেখে নির্বাচন আরও পেছালে তা অবাঞ্ছিত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিএনপির তরফ থেকে তরুণসমাজকে সম্পৃক্ত করে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরকারের প্রতি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাপ প্রয়োগের কৌশল নেওয়া একটি পরিপক্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এমন কর্মসূচির মাধ্যমেই জনগণের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়, রাজনৈতিক দল শক্তি সঞ্চয় করে এবং সরকারও একটি গণতান্ত্রিক বার্তা পায়।
তবে সবকিছুর পরেও একটি গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধ সবচেয়ে জরুরি। সংঘাত নয়, সংলাপ ও অংশগ্রহণই হওয়া উচিত গণতন্ত্রে পথচলার দিশা। এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে প্রয়োজন আস্থা পুনর্গঠন, ইতিবাচক সংলাপ এবং সময়মতো নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা।
পৃথিবীর ঘূর্ণন চক্রের সঙ্গে সঙ্গে সবই ঘোরে, কালের চক্রও। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে আবির্ভাব যেমন ঘটছে বা আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজাতির জীব, তেমনি এ গ্রহের বুক থেকে তাদের কেউ কেউ চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন বিলুপ্তি। একসময় পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত যে ডাইনোসর..
৩ ঘণ্টা আগে১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৩ মে পালিত হয় বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস। এই দিনটিতে সাংবাদিকেরা আত্ম-উপলব্ধির দিন হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা ও পেশাগত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন।
১ দিন আগেদেশের রাজনীতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয় তো আছেই। নির্বাচনের মধ্যেও এখন পর্যন্ত রয়েছে স্থানীয় সরকার, গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশ্ন। এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে সম্ভাব্য জোট গঠন কিংবা সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে...
১ দিন আগেমেয়েটি কি বাবার কাছেই যাওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিল? নাকি বাবার স্মৃতি মনে গেঁথেই নতুন জীবন গড়তে চেয়েছিল? এসব প্রশ্নের আর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না মেয়েটির কাছে। কেননা আত্মহননের পর মেয়েটি আর মনের কথা বলতে পারবে না। মৃত্যুর আগে এমনিতেও চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল সে। জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে বাড়ি...
১ দিন আগে