Ajker Patrika

সমন্বয়হীনতার সংস্কৃতি

সম্পাদকীয়
সমন্বয়হীনতার সংস্কৃতি

গ্রহণ করা হয়, তখন তার একটি সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়, সম্ভাব্য ব্যয়ের বিষয়টিও ঠিক করা হয়। কিন্তু যখন তা বাস্তবায়ন পর্যায়ে যায়, তখন আর নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ হয় না। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ের পরিমাণও বাড়ে। কেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে, তার কোনো জুতসই জবাবও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।

করোনার সময়েও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে। সময়মতো বা পরিকল্পনামতো নির্দিষ্ট ব্যয়সীমায় একটি কাজ শেষ না হলে তার জন্য নানা ধরনের ক্ষতি ও সমস্যা দেখা দেয়। সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য সম্ভাব্য উপকারভোগীদের বঞ্চনা বাড়ে, ব্যয়বৃদ্ধির চাপও শেষ পর্যন্ত দেশের করদাতাদের ঘাড়েই চাপে।

প্রকল্প দীর্ঘায়িত হলে যাঁরা এর দেখভাল ও ঠিকাদারি কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁদের লাভ হয় নিশ্চয়ই। বলা হয়ে থাকে, আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অপচয়ের জন্য কাউকে কারও কাছে কখনো জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে একধরনের অবাধ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত শূন্য সহনশীলতা বা জিরো টলারেন্স নীতি কেতাবে আছে, বাস্তবে নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতা, দুর্বলতাগুলো বারবার সামনে এলেও কেন তা দূর করার কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হচ্ছে না? বাংলায় একটি কথা আছে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে চোর পালালেও আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বুদ্ধি বাড়ছে না। রোববারের ‘আজকের পত্রিকা’র প্রথম পৃষ্ঠায় ‘চালু হলো না করোনার অস্থায়ী হাসপাতাল’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি থেকে জানা যাচ্ছে, গত শনিবার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে স্থাপিত অস্থায়ী বা ফিল্ড হাসপাতাল চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় এটা চালু হতে হয়তো আরও দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। কেন এই কাজে দেরি হলো, তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

একটি জরুরি ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে খামখেয়ালিপনা একেবারেই বরদাশত করার মতো নয়। যখন এটা চালু করার সময় নির্ধারণ করা হয়, তখন নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।

টিকা সংগ্রহ এবং টিকা দেওয়া নিয়েও চলছে সমন্বয়হীন বক্তৃতার প্রতিযোগিতা। সবশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে  আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মাসে নয়, দেশে সপ্তাহে ১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। আগামী মাসের মধ্যে অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ কি এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত হয়েছে? দেখা যাক, এবার সপ্তাহে ১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার আশ্বাস সত্য হয় কি না!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত