সম্পাদকীয়
১৮ আগস্ট রাতে বরিশালের সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী নেতা-কর্মীরা সিটি করপোরেশনের কর্মী পরিচয়ে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান তাতে বাধা দেন। ওই ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়েছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ জাহিদ ফারুক শামীমের সমর্থকেরা। ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে বাধা দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে রাতেই হামলার ঘটনা ঘটে। মেয়র-সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আনসার-পুলিশের গুলিবিনিময়সহ সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত’ উল্লেখ করে তাদের শাস্তি দাবি করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।
বরিশালে আমলা ও রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি অবস্থান সারা দেশে তুমুল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ইউএনও এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তার করা পৃথক দুই মামলায় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিরোধের বিষয়টিও সামনে আসে।
বর্তমান সরকারের আমলানির্ভর হয়ে পড়ার অভিযোগ নতুন নয়। বরিশালের ঘটনা দেশের অন্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার বিষয়টিও আলোচিত হতে থাকে। চার দিনের মাথায়ই ‘ওপরের চাপে’ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন এবং তাঁর বাসায় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমঝোতা হয়। ঘটনা নিয়ে কোনো পক্ষ থেকেই আর বাড়াবাড়ি না করার সিদ্ধান্ত হয়।
বরিশাল-কাণ্ডে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নাম উঠলেও তিনি ঘটনাস্থলে যাননি, ঢাকায় বসেও ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করেননি। ঘটনার ১০ দিন পর বরিশালে গিয়ে সমর্থকদের অভ্যর্থনার জবাবে প্রতিমন্ত্রী ১৮ আগস্টের ঘটনা নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে শুধু বলেন, ‘বরিশালে একটি ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে আমার আসতে বারণ থাকায় এত দিন আমি বরিশালে আসিনি।’ কে বলে মন্ত্রী হলেই ক্ষমতা
অসীম হয়ে যায়?
২৯ আগস্ট সকালে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়েও ১৮ আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলেননি জাহিদ ফারুক। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হালদার অবশ্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে ভুল করেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি এবং ইউএনও এখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করি।
ইউএনওর গায়ে হাত তোলা মানে প্রধানমন্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার শামিল।’ বেশ কড়া মন্তব্য, সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি আরও বলেছেন, ‘আমরাও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করে দলের জন্য কাজ করেছি। এখন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে দেশের জন্য কাজ করছি।’ আমলাদের কথা বলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘আমলারা তো কথা বলবেনই, তাঁদের কাছে রাষ্ট্রের পরিসংখ্যান থাকে।’
জেলা প্রশাসক কি রাজনীতিবিদদের হুমকি দিলেন? এখন কি বলা যায় যে বরিশালের ঘটনা মধুরেণ সমাপয়েৎ? নাকি শেষ হয়ে হইল না শেষ?
১৮ আগস্ট রাতে বরিশালের সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী নেতা-কর্মীরা সিটি করপোরেশনের কর্মী পরিচয়ে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান তাতে বাধা দেন। ওই ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়েছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ জাহিদ ফারুক শামীমের সমর্থকেরা। ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে বাধা দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে রাতেই হামলার ঘটনা ঘটে। মেয়র-সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আনসার-পুলিশের গুলিবিনিময়সহ সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত’ উল্লেখ করে তাদের শাস্তি দাবি করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।
বরিশালে আমলা ও রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি অবস্থান সারা দেশে তুমুল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ইউএনও এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তার করা পৃথক দুই মামলায় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিরোধের বিষয়টিও সামনে আসে।
বর্তমান সরকারের আমলানির্ভর হয়ে পড়ার অভিযোগ নতুন নয়। বরিশালের ঘটনা দেশের অন্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার বিষয়টিও আলোচিত হতে থাকে। চার দিনের মাথায়ই ‘ওপরের চাপে’ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন এবং তাঁর বাসায় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমঝোতা হয়। ঘটনা নিয়ে কোনো পক্ষ থেকেই আর বাড়াবাড়ি না করার সিদ্ধান্ত হয়।
বরিশাল-কাণ্ডে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নাম উঠলেও তিনি ঘটনাস্থলে যাননি, ঢাকায় বসেও ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করেননি। ঘটনার ১০ দিন পর বরিশালে গিয়ে সমর্থকদের অভ্যর্থনার জবাবে প্রতিমন্ত্রী ১৮ আগস্টের ঘটনা নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে শুধু বলেন, ‘বরিশালে একটি ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে আমার আসতে বারণ থাকায় এত দিন আমি বরিশালে আসিনি।’ কে বলে মন্ত্রী হলেই ক্ষমতা
অসীম হয়ে যায়?
২৯ আগস্ট সকালে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়েও ১৮ আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলেননি জাহিদ ফারুক। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হালদার অবশ্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে ভুল করেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি এবং ইউএনও এখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করি।
ইউএনওর গায়ে হাত তোলা মানে প্রধানমন্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার শামিল।’ বেশ কড়া মন্তব্য, সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি আরও বলেছেন, ‘আমরাও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করে দলের জন্য কাজ করেছি। এখন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে দেশের জন্য কাজ করছি।’ আমলাদের কথা বলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘আমলারা তো কথা বলবেনই, তাঁদের কাছে রাষ্ট্রের পরিসংখ্যান থাকে।’
জেলা প্রশাসক কি রাজনীতিবিদদের হুমকি দিলেন? এখন কি বলা যায় যে বরিশালের ঘটনা মধুরেণ সমাপয়েৎ? নাকি শেষ হয়ে হইল না শেষ?
আপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
২ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
৩ ঘণ্টা আগেঅপরাধ করেছে সন্তান। আর নাকে ‘খত’ দিয়েছেন মা। এ রকম ‘অভিনব’ বিচার হয়েছে ফেনীতে। বিচার করেছেন বিএনপির এক নেতা। অনেকে বলেন, সন্তানের অপরাধের সাজা নাকি মা-বাবা ভোগ করেন। সেই সাজা মূলত মানসিক পীড়া। সন্তানের অপরাধের শাস্তি হলে মা-বাবার মনোবেদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা সাজার চেয়ে তো কম কিছু না।
৩ ঘণ্টা আগে