সম্পাদকীয়
একই দিনে দুটি ভিন্নধর্মী সংবাদ। একটিতে দেখা যায় আশার আলো, অন্যটিতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের ইঙ্গিত। এ মাসের শুরুতে হঠাৎ করে পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সারা দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণায় খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে, এক দিনেই হাজার হাজার ডলার হারিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এই বাণিজ্যযুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়বে মার্কিন জনজীবনে। সারা বিশ্বের মানুষও এই অসম প্রতিযোগিতায় বিপদে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছে জনগণ। ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর এই পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করবেন। এটা অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জন্যও একটা সুসংবাদ।
অন্যদিকে একই দিনে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। তাদের এই সিদ্ধান্তের যে কারণই দেখানো হোক না কেন, এটা যে ভারত- বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েনের ফল, তা বুঝতে কষ্ট হয় না। চীন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে নেপাল, ভুটান ও ভারতের সেভেন সিস্টার নিয়ে চীনের সহযোগিতায় যে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা বলে এলেন, তারই প্রতিক্রিয়ায় ভারত এ রকম সিদ্ধান্ত নিল কি না, তা-ও ভেবে দেখা দরকার।
বিমসটেকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর মনে হচ্ছিল দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে মোড় নিচ্ছে। কিন্তু ট্রান্সশিপমেন্ট-বিষয়ক ভারতীয় সিদ্ধান্তের পর মনে হচ্ছে, বরফ সহজে গলবার নয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের সমস্যাগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। কিন্তু এই সম্পর্ককে ধর্মীয় দিক থেকে অযথা উত্তপ্ত করে তোলা হয়। এ দেশে ভারতবিরোধিতা কিংবা ভারতে বাংলাদেশবিরোধিতা করা হয় মূলত সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গ টেনে এনে। পরস্পর সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে দেখা হলে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান অনেক সংকটই কাটিয়ে ওঠা যেত। কিন্তু দুই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দেশ দুটির সম্পর্ক উত্তপ্ত রাখতেই পছন্দ করে। এই মনস্তত্ত্ব থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে কখনোই দুই দেশের সম্পর্ক মসৃণ হবে না।
ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগানো দরকার। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ দেশ হিসেবে ভারত যদি মনে করে এই অঞ্চলে দাদাগিরি করবে, তাহলে তা ঠিক হবে না। ভারতকে বুঝতে হবে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে চলতে হয় সমঝোতার ওপর ভিত্তি করে। তাকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে। অপরপক্ষে বাংলাদেশ থেকেও ভারত সম্পর্কে উসকানিমূলক কথাবার্তা না বলে সংকট কাটিয়ে তোলার যোগ্য ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
অস্থির সময়ে সব দেশেরই উচিত ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
নইলে যে সংকট তৈরি হবে, তা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না।
একই দিনে দুটি ভিন্নধর্মী সংবাদ। একটিতে দেখা যায় আশার আলো, অন্যটিতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের ইঙ্গিত। এ মাসের শুরুতে হঠাৎ করে পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সারা দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণায় খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে, এক দিনেই হাজার হাজার ডলার হারিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এই বাণিজ্যযুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়বে মার্কিন জনজীবনে। সারা বিশ্বের মানুষও এই অসম প্রতিযোগিতায় বিপদে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছে জনগণ। ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর এই পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করবেন। এটা অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জন্যও একটা সুসংবাদ।
অন্যদিকে একই দিনে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। তাদের এই সিদ্ধান্তের যে কারণই দেখানো হোক না কেন, এটা যে ভারত- বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েনের ফল, তা বুঝতে কষ্ট হয় না। চীন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে নেপাল, ভুটান ও ভারতের সেভেন সিস্টার নিয়ে চীনের সহযোগিতায় যে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা বলে এলেন, তারই প্রতিক্রিয়ায় ভারত এ রকম সিদ্ধান্ত নিল কি না, তা-ও ভেবে দেখা দরকার।
বিমসটেকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর মনে হচ্ছিল দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে মোড় নিচ্ছে। কিন্তু ট্রান্সশিপমেন্ট-বিষয়ক ভারতীয় সিদ্ধান্তের পর মনে হচ্ছে, বরফ সহজে গলবার নয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের সমস্যাগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। কিন্তু এই সম্পর্ককে ধর্মীয় দিক থেকে অযথা উত্তপ্ত করে তোলা হয়। এ দেশে ভারতবিরোধিতা কিংবা ভারতে বাংলাদেশবিরোধিতা করা হয় মূলত সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গ টেনে এনে। পরস্পর সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে দেখা হলে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান অনেক সংকটই কাটিয়ে ওঠা যেত। কিন্তু দুই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দেশ দুটির সম্পর্ক উত্তপ্ত রাখতেই পছন্দ করে। এই মনস্তত্ত্ব থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে কখনোই দুই দেশের সম্পর্ক মসৃণ হবে না।
ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগানো দরকার। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ দেশ হিসেবে ভারত যদি মনে করে এই অঞ্চলে দাদাগিরি করবে, তাহলে তা ঠিক হবে না। ভারতকে বুঝতে হবে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে চলতে হয় সমঝোতার ওপর ভিত্তি করে। তাকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে। অপরপক্ষে বাংলাদেশ থেকেও ভারত সম্পর্কে উসকানিমূলক কথাবার্তা না বলে সংকট কাটিয়ে তোলার যোগ্য ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
অস্থির সময়ে সব দেশেরই উচিত ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
নইলে যে সংকট তৈরি হবে, তা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না।
লুটপাটের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর দলবল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়েছিলেন সম্পদ লুণ্ঠনের অধিকার। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে রয়ে গেছে লুটেরা সিন্ডিকেট। গণমাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখল
৭ ঘণ্টা আগেশান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
২০ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
২০ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০ ঘণ্টা আগে