সম্পাদকীয়
মানবতার সুযোগে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা এখন আর কোনো বাধা মানছে না। মৃত্যুর মুখ থেকে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে নিরাপদে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পরও তারা এটাকে পাশ কাটিয়ে আরও বড় অন্যায়, অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ছে। যতই তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া মানসিকতা বাংলাদেশ সরকার, এখানকার মানুষ ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছরে এসে এখন মনে হচ্ছে, এভাবে আশ্রয় নেওয়া বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ক্রমেই বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ উন্নত কোনো দেশ নয়। হয়তো গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে। সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টায় এখানে শিল্প ও সেবা খাতের প্রসার ঘটছে। মানুষের আয় বাড়ছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। এর মানে এই নয় যে এটি উন্নত হয়ে গেছে। এখনো দেশটিতে বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের মধ্যে আছে। বহু মানুষ ঠিকমতো খাবার পায় না। অনেকের বসবাসের জন্য ঘর নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পায় না অনেকে।
এ রকম অবস্থায়ও ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে মৃত্যুর মুখ থেকে পালিয়ে আসা বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। বিপদের সময় প্রতিবেশী দেশের মানুষের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ অন্যায় কিছু নয়।
কিন্তু এই মানবিকতার ফল হচ্ছে উল্টো। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের সুযোগে জড়িয়ে পড়ছে নানান অনিয়মে। রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর ঘিরে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনামে দেখা যায়, এরা এখন আর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প কিংবা তাদের জন্য নির্মিত পরিকল্পিত আবাসন এলাকা ভাসানচরে থাকতে চাইছে না। তারা নানান অপকৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। সমুদ্রপথে বিদেশে চলে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আরও ক্ষতিকর অপরাধে জড়াচ্ছে আর বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে।
খবরে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ এমনকি ভাসানচরে আশ্রিত ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। বেশির ভাগই যাচ্ছে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি ভাসানচরের আশ্রয়ণ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নারী-শিশুসহ ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি নৌকা বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। এ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালীসহ ১১ জেলা থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে পালানো ৭৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাসহ ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অবৈধপথে যাত্রা নিয়ে ২০২০ সালে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ওই বছরেই ২ হাজার ৩০০ জন ব্যক্তি সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগে আরও গতিশীলতা আনতে হবে। এখন শুধু মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু হবে বলে মনে হয় না। এর জন্য মিয়ানমারের ওপর প্রভাব আছে— এমন কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিষয়টি আলোচনায় রাখতে হবে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্বদরবারে যত ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া যায়, তা নিতে হবে। মানবিক কারণে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কেন তাদের বেপরোয়া জীবনের দায় নেবে?
মানবতার সুযোগে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা এখন আর কোনো বাধা মানছে না। মৃত্যুর মুখ থেকে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে নিরাপদে থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পরও তারা এটাকে পাশ কাটিয়ে আরও বড় অন্যায়, অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ছে। যতই তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া মানসিকতা বাংলাদেশ সরকার, এখানকার মানুষ ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছরে এসে এখন মনে হচ্ছে, এভাবে আশ্রয় নেওয়া বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ক্রমেই বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ উন্নত কোনো দেশ নয়। হয়তো গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে। সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টায় এখানে শিল্প ও সেবা খাতের প্রসার ঘটছে। মানুষের আয় বাড়ছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। এর মানে এই নয় যে এটি উন্নত হয়ে গেছে। এখনো দেশটিতে বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের মধ্যে আছে। বহু মানুষ ঠিকমতো খাবার পায় না। অনেকের বসবাসের জন্য ঘর নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পায় না অনেকে।
এ রকম অবস্থায়ও ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে মৃত্যুর মুখ থেকে পালিয়ে আসা বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। বিপদের সময় প্রতিবেশী দেশের মানুষের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ অন্যায় কিছু নয়।
কিন্তু এই মানবিকতার ফল হচ্ছে উল্টো। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের সুযোগে জড়িয়ে পড়ছে নানান অনিয়মে। রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর ঘিরে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনামে দেখা যায়, এরা এখন আর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প কিংবা তাদের জন্য নির্মিত পরিকল্পিত আবাসন এলাকা ভাসানচরে থাকতে চাইছে না। তারা নানান অপকৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। সমুদ্রপথে বিদেশে চলে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আরও ক্ষতিকর অপরাধে জড়াচ্ছে আর বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে।
খবরে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ এমনকি ভাসানচরে আশ্রিত ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। বেশির ভাগই যাচ্ছে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি ভাসানচরের আশ্রয়ণ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নারী-শিশুসহ ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি নৌকা বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়। এ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালীসহ ১১ জেলা থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে পালানো ৭৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাসহ ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অবৈধপথে যাত্রা নিয়ে ২০২০ সালে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ওই বছরেই ২ হাজার ৩০০ জন ব্যক্তি সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগে আরও গতিশীলতা আনতে হবে। এখন শুধু মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু হবে বলে মনে হয় না। এর জন্য মিয়ানমারের ওপর প্রভাব আছে— এমন কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিষয়টি আলোচনায় রাখতে হবে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্বদরবারে যত ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া যায়, তা নিতে হবে। মানবিক কারণে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কেন তাদের বেপরোয়া জীবনের দায় নেবে?
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১৩ ঘণ্টা আগে