এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
রাহুল শর্মা, ঢাকা
জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধনের পরও বেতন পাচ্ছেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। এ অবস্থায় অর্থসংকটে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বর্তমানে দেশে ২৯ হাজার ১৬৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। কিন্তু নাম-জন্মতারিখের সামান্য অমিলের কারণে এসব কর্মজীবীর কয়েক হাজার জন ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পরও সাত-আট মাস ধরে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন বন্ধ। এর কারণ অটোমেটেড চালান সিস্টেম (আইবাস) প্লাস প্লাস আপডেট না হওয়া।
জানা যায়, এত দিন প্রতি মাসে মাউশির হিসাব শাখা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হতো। অনেক সময় বিভিন্ন জটিলতার কারণে তাঁরা দেরিতে বেতন-ভাতা পেতেন। মূলত স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বেতন-ভাতা দিতেই ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতি চালু করে সরকার। গত ১ জানুয়ারি মাউশির অধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, অবসর ও কল্যাণ সুবিধা ইএফটির মাধ্যমে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তখনকার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এমপিও হলো মান্থলি পে অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পান।
সাত মাস ধরে বেতন বন্ধ বান্দরবানের লামা উপজেলার এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. আবু ছালেহের। জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও জন্মতারিখের ভুল সংশোধন করে আবেদন করলেও এখনো তাঁর বেতন চালু হয়নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করলেও আইবাস সফটওয়্যার জটিলতায় আমার বেতন বন্ধ রয়েছে। বলা হচ্ছে সংশোধনের তথ্য (আইবাস) ++ সিস্টেমে আপডেট হয়নি।’
একই ধরনের তথ্য জানান ঢাকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল মামুন। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বেতন পাচ্ছি না। আইবাসে তথ্য ঠিক থাকলেও আমার অ্যাকাউন্টে বেতন আসছে না।’
জানতে চাইলে মাউশির শিক্ষা ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা (ইএমআইএস) সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ভেরিফায়েড না হচ্ছে, ততক্ষণ ইএফটির মাধ্যমে বেতন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এনআইডির তথ্য ভেরিফায়েড না হলে আইবাস সিস্টেম ফাংশন হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানে আমরা কাজ করছি।’
জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধনের পরও বেতন পাচ্ছেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। এ অবস্থায় অর্থসংকটে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বর্তমানে দেশে ২৯ হাজার ১৬৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। কিন্তু নাম-জন্মতারিখের সামান্য অমিলের কারণে এসব কর্মজীবীর কয়েক হাজার জন ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পরও সাত-আট মাস ধরে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন বন্ধ। এর কারণ অটোমেটেড চালান সিস্টেম (আইবাস) প্লাস প্লাস আপডেট না হওয়া।
জানা যায়, এত দিন প্রতি মাসে মাউশির হিসাব শাখা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হতো। অনেক সময় বিভিন্ন জটিলতার কারণে তাঁরা দেরিতে বেতন-ভাতা পেতেন। মূলত স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বেতন-ভাতা দিতেই ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতি চালু করে সরকার। গত ১ জানুয়ারি মাউশির অধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, অবসর ও কল্যাণ সুবিধা ইএফটির মাধ্যমে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তখনকার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এমপিও হলো মান্থলি পে অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পান।
সাত মাস ধরে বেতন বন্ধ বান্দরবানের লামা উপজেলার এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. আবু ছালেহের। জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও জন্মতারিখের ভুল সংশোধন করে আবেদন করলেও এখনো তাঁর বেতন চালু হয়নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করলেও আইবাস সফটওয়্যার জটিলতায় আমার বেতন বন্ধ রয়েছে। বলা হচ্ছে সংশোধনের তথ্য (আইবাস) ++ সিস্টেমে আপডেট হয়নি।’
একই ধরনের তথ্য জানান ঢাকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল মামুন। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বেতন পাচ্ছি না। আইবাসে তথ্য ঠিক থাকলেও আমার অ্যাকাউন্টে বেতন আসছে না।’
জানতে চাইলে মাউশির শিক্ষা ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা (ইএমআইএস) সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ভেরিফায়েড না হচ্ছে, ততক্ষণ ইএফটির মাধ্যমে বেতন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এনআইডির তথ্য ভেরিফায়েড না হলে আইবাস সিস্টেম ফাংশন হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানে আমরা কাজ করছি।’
রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করতে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
৮ ঘণ্টা আগেঅভিযান শেষে সাংবাদিকদের সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতনবৈষম্য, কর অব্যাহতি, কয়লা কেনায় অনিয়ম, যন্ত্রপাতি লুটপাটসহ অন্য অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।’
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার ‘চোরাই গম’ কেনার অভিযোগে বাংলাদেশি কোম্পানির বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ দিয়েছে দেশটি। যেসব বাংলাদেশি কোম্পানি এসব গম কিনেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন...
৯ ঘণ্টা আগে