সম্পাদকীয়
এ যেন রূপকথা! গল্পের নায়ক ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন তাঁর একটি টাকার মেশিন আছে! সেই মেশিনের একদিক দিয়ে কাগজ দিচ্ছেন আর তা অপরদিক দিয়ে কড়কড়ে টাকার নোট হয়ে বের হচ্ছে!
আহা…কী যে সুখ! টাকা আর টাকা!
গল্পে কিংবা কিসসায় এমন রোমাঞ্চকর ঘটনা পড়ে ছোটবেলায় নিশ্চয় অদ্ভুত ভালো লাগায় শিহরিত হয়েছেন অনেকে! পরে যখন ঘোর কেটেছে, তখন বোঝা যেত এটা আসলে গল্প। গল্পের ঘটনা কখনো বাস্তব হয় না!
তবে না। কখনো কখনো এমন কিছু ঘটনা বাস্তবে ঘটে, যা রূপকথাকেও হার মানায়। অনেক রোমাঞ্চকর গল্পের চেয়েও শিহরণজাগানিয়া ওই সব গল্প। এমনই বিস্ময়কর এক ঘটনার বাস্তব নায়ক নুরুল ইসলাম। যিনি পেশায় একজন চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর। দৈনিক বেতন ১৩০ টাকা। এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪৬০ কোটি টাকা! ঢাকায় ৬টি বাড়ি, ১৩টি প্লট, সাভারে ৭টি জমি, ৪টি রিকশার গ্যারেজ, টেকনাফে বাগানবাড়ি, সেন্ট মার্টিনে আরও ৩৭টি প্লট, ব্যাংকে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সাভারে তিন একর জমির ওপর নির্মাণাধীন পার্ক আর ক্রয় প্রক্রিয়ায় আছে একটি জাহাজ! এগুলো কোনোটিই গল্প নয়; বাস্তব।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর নুরুলের এ রূপকথার চেয়েও বিস্ময়কর অর্থ-সম্পদের তথ্য বের হয়ে এসেছে। গণমাধ্যমে খবর হয়েছে, নুরুল ইসলাম ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজে যোগ দিয়েই সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ধীরে ধীরে পণ্য খালাসের কর্তৃত্বসহ ভেতরে-বাইরে দালালি শুরু করেন। ২০০৯ সালে চাকরি ছেড়ে নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আনা কাঠ, শুঁটকি, মাছসহ অন্যান্য বৈধ পণ্যের আড়ালে অবৈধ পণ্যের কারবার করতে থাকেন। এভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হন তিনি। গ্রেপ্তারের সময়ও তাঁর কাছে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
শুল্কবন্দর ঘিরে অবৈধ কারবার, শুল্ক ফাঁকি, চোরাকারবারি, অবৈধ পণ্যের বাণিজ্য ইত্যাদি সব অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। প্রায় এক দশক আগে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবির রাজস্ব খাতের সার্বিক অনিয়ম নিয়ে করা একটি বিশদ গবেষণায়ও বন্দরকেন্দ্রিক দুর্নীতি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ চোরাচালানের তথ্য উঠে এসেছিল। এ ছাড়া এমন ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমেও আসছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে একজন সামান্য নুরুল ইসলামের এমন অসামান্য ঘটনা সবার চোখ আকাশে তুলে দিয়েছে! একজন চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর, যাঁর দৈনিক হাজিরা মাত্র ১৩০ টাকা। তিনি কিনা ৪৬০ কোটি টাকার মালিক! অবিশ্বাস্য!
দেশে কি টাকা কামানো এত সহজ? কতটা বেপরোয়া, চতুর এবং প্রভাবশালী হলে এটা সম্ভব? তিনি নিজে ৪৬০ কোটি টাকা বানিয়েছেন। আর নেপথ্যে নিশ্চয় এমন সব কারিগর রয়েছেন, যাঁরা তাঁকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
এসব বেপরোয়া, বল্গাহীন দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তদের চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া উচিত। তাঁরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যেতে না পারেন, তা শক্ত হাতে ধরতে হবে। এটা সমাজ, একটি সুন্দর-কল্যাণকামী রাষ্ট্রের সুশাসনের পথে বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে যাতে কেউই এমন দুর্নীতি করতে সাহস না পায়, তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ যেন রূপকথা! গল্পের নায়ক ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন তাঁর একটি টাকার মেশিন আছে! সেই মেশিনের একদিক দিয়ে কাগজ দিচ্ছেন আর তা অপরদিক দিয়ে কড়কড়ে টাকার নোট হয়ে বের হচ্ছে!
আহা…কী যে সুখ! টাকা আর টাকা!
গল্পে কিংবা কিসসায় এমন রোমাঞ্চকর ঘটনা পড়ে ছোটবেলায় নিশ্চয় অদ্ভুত ভালো লাগায় শিহরিত হয়েছেন অনেকে! পরে যখন ঘোর কেটেছে, তখন বোঝা যেত এটা আসলে গল্প। গল্পের ঘটনা কখনো বাস্তব হয় না!
তবে না। কখনো কখনো এমন কিছু ঘটনা বাস্তবে ঘটে, যা রূপকথাকেও হার মানায়। অনেক রোমাঞ্চকর গল্পের চেয়েও শিহরণজাগানিয়া ওই সব গল্প। এমনই বিস্ময়কর এক ঘটনার বাস্তব নায়ক নুরুল ইসলাম। যিনি পেশায় একজন চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর। দৈনিক বেতন ১৩০ টাকা। এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪৬০ কোটি টাকা! ঢাকায় ৬টি বাড়ি, ১৩টি প্লট, সাভারে ৭টি জমি, ৪টি রিকশার গ্যারেজ, টেকনাফে বাগানবাড়ি, সেন্ট মার্টিনে আরও ৩৭টি প্লট, ব্যাংকে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সাভারে তিন একর জমির ওপর নির্মাণাধীন পার্ক আর ক্রয় প্রক্রিয়ায় আছে একটি জাহাজ! এগুলো কোনোটিই গল্প নয়; বাস্তব।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর নুরুলের এ রূপকথার চেয়েও বিস্ময়কর অর্থ-সম্পদের তথ্য বের হয়ে এসেছে। গণমাধ্যমে খবর হয়েছে, নুরুল ইসলাম ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজে যোগ দিয়েই সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ধীরে ধীরে পণ্য খালাসের কর্তৃত্বসহ ভেতরে-বাইরে দালালি শুরু করেন। ২০০৯ সালে চাকরি ছেড়ে নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আনা কাঠ, শুঁটকি, মাছসহ অন্যান্য বৈধ পণ্যের আড়ালে অবৈধ পণ্যের কারবার করতে থাকেন। এভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হন তিনি। গ্রেপ্তারের সময়ও তাঁর কাছে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
শুল্কবন্দর ঘিরে অবৈধ কারবার, শুল্ক ফাঁকি, চোরাকারবারি, অবৈধ পণ্যের বাণিজ্য ইত্যাদি সব অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। প্রায় এক দশক আগে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবির রাজস্ব খাতের সার্বিক অনিয়ম নিয়ে করা একটি বিশদ গবেষণায়ও বন্দরকেন্দ্রিক দুর্নীতি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ চোরাচালানের তথ্য উঠে এসেছিল। এ ছাড়া এমন ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমেও আসছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে একজন সামান্য নুরুল ইসলামের এমন অসামান্য ঘটনা সবার চোখ আকাশে তুলে দিয়েছে! একজন চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর, যাঁর দৈনিক হাজিরা মাত্র ১৩০ টাকা। তিনি কিনা ৪৬০ কোটি টাকার মালিক! অবিশ্বাস্য!
দেশে কি টাকা কামানো এত সহজ? কতটা বেপরোয়া, চতুর এবং প্রভাবশালী হলে এটা সম্ভব? তিনি নিজে ৪৬০ কোটি টাকা বানিয়েছেন। আর নেপথ্যে নিশ্চয় এমন সব কারিগর রয়েছেন, যাঁরা তাঁকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
এসব বেপরোয়া, বল্গাহীন দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তদের চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া উচিত। তাঁরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যেতে না পারেন, তা শক্ত হাতে ধরতে হবে। এটা সমাজ, একটি সুন্দর-কল্যাণকামী রাষ্ট্রের সুশাসনের পথে বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে যাতে কেউই এমন দুর্নীতি করতে সাহস না পায়, তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৯ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
৯ ঘণ্টা আগে