সম্পাদকীয়
ক্ষিতিমোহনের রসবোধ নিয়েই কথা হবে। মানুষটা কেমন, সেটা যাচাই করার জন্য শান্তিনিকেতনে প্রশ্ন করা হতো, ‘লোকটা রসিকতা বোঝে তো? হাসতে জানে তো?’ রবীন্দ্রনাথ ছিলেন রসের রাজা। ক্ষিতিমোহন ছিলেন তাঁর যোগ্য উত্তরাধিকারী। শান্তিনিকেতনের শিক্ষা ভবন, অর্থাৎ স্কুলের শিক্ষক হয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। পরে উত্তর বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে তিনি অধ্যাপক হন। বিশ্বভারতী রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর তিনি উপাচার্য হিসেবে আশ্রম পরিচালনা করেন। ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সত্যেন সেনের কাকা।
সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা থেকে জানা যায়, বিশ্বভারতীতে কয়েকজনকে চেনার জন্য কয়েকটি শব্দ চালু হয়ে গিয়েছিল। চিত্রে নন্দলাল। সংগীতে দিনেন্দ্রনাথ। শাস্ত্রে বিধুশেখর। শব্দতত্ত্বে হরিচরণ। শিক্ষকতায় জগানন্দ। রসে ক্ষিতিমোহন। কথায় কথায় ‘পান’ করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল ক্ষিতিমোহনের। ক্ষিতিমোহনের বংশগত পেশা ছিল কবিরাজি। যদি কেউ প্রশ্ন করতেন, ‘অধ্যাপনার পাশাপাশি আপনি তো কবিরাজিও করতে পারেন!’
ক্ষিতিমোহন উত্তর দিতেন, ‘কবিরাজি করার ইচ্ছে তো ছিল, কিন্তু কবি রাজি হলেন না!’ মানে রবীন্দ্রনাথ রাজি নন, সেটা জানিয়ে দিলেন। মুকুল দে ছিলেন নামী শিল্পী। তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বললেন, ‘মুকুল ভালো হইব কী কইরা? মুকুলের মূলের মাঝখানেই যে ‘কু’। ক্ষিতিমোহনের স্ত্রীর নাম ছিল কিরণবালা সেন। কিন্তু সবাই তাঁকে ঠানদি বলে ডাকতেন। কেন তাঁর নাম ঠানদি হলো? ক্ষিতিমোহন এককালে নাটকে ঠাকুরদার অভিনয় করেছিলেন, তাই অবধারিতভাবেই তাঁর স্ত্রী ঠানদি—এই ছিল ক্ষিতিমোহনের উত্তর। ক্ষিতিমোহন তো হৃষ্টপুষ্ট, ঠানদি কেন রোগাপটকা? এই কথার উত্তরে ক্ষিতিমোহন বলেছিলেন, ‘বাইরে রোগা, ভিতরে দা-রোগা’। এমন রসবোধ যাঁর তাঁরই তো রসিকতায় সর্বোচ্চ নম্বর দেওয়া উচিত।
সূত্র: অমিতাভ চৌধুরী, একত্রে রবীন্দ্রনাথ-২, পৃষ্ঠা ১৯৯-২০০
ক্ষিতিমোহনের রসবোধ নিয়েই কথা হবে। মানুষটা কেমন, সেটা যাচাই করার জন্য শান্তিনিকেতনে প্রশ্ন করা হতো, ‘লোকটা রসিকতা বোঝে তো? হাসতে জানে তো?’ রবীন্দ্রনাথ ছিলেন রসের রাজা। ক্ষিতিমোহন ছিলেন তাঁর যোগ্য উত্তরাধিকারী। শান্তিনিকেতনের শিক্ষা ভবন, অর্থাৎ স্কুলের শিক্ষক হয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। পরে উত্তর বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে তিনি অধ্যাপক হন। বিশ্বভারতী রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর তিনি উপাচার্য হিসেবে আশ্রম পরিচালনা করেন। ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সত্যেন সেনের কাকা।
সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা থেকে জানা যায়, বিশ্বভারতীতে কয়েকজনকে চেনার জন্য কয়েকটি শব্দ চালু হয়ে গিয়েছিল। চিত্রে নন্দলাল। সংগীতে দিনেন্দ্রনাথ। শাস্ত্রে বিধুশেখর। শব্দতত্ত্বে হরিচরণ। শিক্ষকতায় জগানন্দ। রসে ক্ষিতিমোহন। কথায় কথায় ‘পান’ করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল ক্ষিতিমোহনের। ক্ষিতিমোহনের বংশগত পেশা ছিল কবিরাজি। যদি কেউ প্রশ্ন করতেন, ‘অধ্যাপনার পাশাপাশি আপনি তো কবিরাজিও করতে পারেন!’
ক্ষিতিমোহন উত্তর দিতেন, ‘কবিরাজি করার ইচ্ছে তো ছিল, কিন্তু কবি রাজি হলেন না!’ মানে রবীন্দ্রনাথ রাজি নন, সেটা জানিয়ে দিলেন। মুকুল দে ছিলেন নামী শিল্পী। তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বললেন, ‘মুকুল ভালো হইব কী কইরা? মুকুলের মূলের মাঝখানেই যে ‘কু’। ক্ষিতিমোহনের স্ত্রীর নাম ছিল কিরণবালা সেন। কিন্তু সবাই তাঁকে ঠানদি বলে ডাকতেন। কেন তাঁর নাম ঠানদি হলো? ক্ষিতিমোহন এককালে নাটকে ঠাকুরদার অভিনয় করেছিলেন, তাই অবধারিতভাবেই তাঁর স্ত্রী ঠানদি—এই ছিল ক্ষিতিমোহনের উত্তর। ক্ষিতিমোহন তো হৃষ্টপুষ্ট, ঠানদি কেন রোগাপটকা? এই কথার উত্তরে ক্ষিতিমোহন বলেছিলেন, ‘বাইরে রোগা, ভিতরে দা-রোগা’। এমন রসবোধ যাঁর তাঁরই তো রসিকতায় সর্বোচ্চ নম্বর দেওয়া উচিত।
সূত্র: অমিতাভ চৌধুরী, একত্রে রবীন্দ্রনাথ-২, পৃষ্ঠা ১৯৯-২০০
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১৪ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১৪ ঘণ্টা আগে