Ajker Patrika

গিফট অব দ্য ম্যাজাই

সম্পাদকীয়
গিফট অব দ্য ম্যাজাই

ও হেনরির জীবনটা কেমন ছিল, সেটা হয়তো তাঁর গল্পের বইগুলোর ভূমিকায় পাওয়া যাবে। ছোটগল্প লিখে যাঁরা নাম করেছেন বিশ্বজুড়ে, তাঁদের মধ্যে মার্কিন এই লেখকের নাম অবধারিতভাবেই আসবে। রুশ ভাষায় আন্তন চেখভ, বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর ফরাসি ভাষায় মোপাসাঁর কথাও ছোটগল্পের জন্য চিরন্তন হয়ে আছে। ও হেনরি কিন্তু ভদ্রলোকের নাম নয়। কেউই বলতে পারে না, কীভাবে তাঁর নামটা ও হেনরি হলো। তবে একটা কথা জীবনীকারদের রচনায় ভেসে বেড়ায়। সেটাই আমাদের জানা থাক।

ও হেনরির আসল নাম উইলিয়াম সিডনি পোর্টার। ছেলেবেলায় হারিয়েছেন মাকে, কিছুকালের মধ্যেই মদ্যপ বাবা পৃথিবীকে বিদায় জানালেন। এ অবস্থায় নিজেকেই নিজের খাবারের জোগাড় করতে হয়েছে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে একটা ওষুধের ফার্মেসিতে কাজে লেগে গেছেন। আরও বহুদিন পর জেলখানার ফার্মেসিতে কাজ করার সময় তিনি নিজের পদবি বদলে নেন ফরাসি চিন্তক, লেখক ও অঁরির পদবিতে। ইংরেজিতে অঁরি হয়ে যায় হেনরি। তাই তিনি হলেন ও হেনরি।

জীবনটা খুব আনন্দে কাটেনি লেখকের। নিজের জীবন আর আশপাশের অভিজ্ঞতা থেকেই লেখার মালমসলা জোগাড় করতেন। কিন্তু চেষ্টা করতেন, সব গল্পই যেন শেষ হয় ইতিবাচক রেশ রেখে।

ও হেনরির ‘গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ গল্পটি স্কুলেই পড়েছেন অনেকে। আত্মত্যাগের এ রকম গল্প লেখাই হয়েছে কম। এ গল্পটির অনুপ্রেরণা এসেছিল একটি করুণ ঘটনা থেকে। মারা যাচ্ছিলেন ও হেনরির স্ত্রী অ্যাটল। অ্যাটলের কাছে ছুটে গেছেন তিনি। তিনি পৌঁছানোর পরও কিছুক্ষণ বেঁচে ছিলেন স্ত্রী।  সে সময় অ্যাটল তাঁকে জীবনের শেষ উপহারটি দিয়েছিলেন। সেটি ছিল ঘড়ির জন্য একটি সোনার চেইন। মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েটা জানত না, গ্রামের বাড়ি যাওয়ার টিকিট কেনার জন্য ঘড়িটা বেচে দিয়েছেন ও হেনরি। ১৮৬২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন এই লেখক। বেঁচেছিলেন মাত্র ৪৭ বছর।

সূত্র: রাইটারভ্যালডটরু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত