সম্পাদকীয়
খবরটা মোনালিসার নয়, তার রেপ্লিকার। ষোড়শ শতাব্দীতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি সেই যে আঁকলেন ছবিটি, তারপর থেকে ছবির আলাপ হলেই ঘুরেফিরে তা চলে আসে আলোচনায়।
প্যারিসের একটি অনলাইনে মোনালিসার রেপ্লিকাটি বিক্রি হয়েছে ৩৪ লাখ ডলারে। তাতে আন্দোলিত হচ্ছি আমরাও। কিন্তু খোদ জলজ্যান্ত একটি খাঁটি মোনালিসা থাকতে রেপ্লিকায় মন ভরে কার? তাই মোনালিসাকে নিয়েই কিছু কথা হোক। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, ১৯১১ সালের আগস্ট মাসের ২১ তারিখে হঠাৎ করেই লুভ থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল মোনালিসা। খোঁজ খোঁজ। শিল্পরসিকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল সেদিন। পরে কীভাবে তা ফিরে এল, সে-ও এক চিত্তাকর্ষক কাহিনি। ফরাসি প্রশাসনের মাথার ওপর বাজ পড়েছিল। পুলিশ এ সময় সন্দেহ করতে শুরু করে বিখ্যাত শিল্পী পাবলো পিকাসো আর স্বনামধন্য কবি গিয়ম অ্যাপলিনেরকে। দুজনকেই আদালতে হাজির হতে হয়। তাঁরা যে মোনালিসাকে চুরি করেননি, পরে তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু মোনালিসাকে তো আর খুঁজে পাওয়া গেল না! অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, মোনালিসা আর ফিরবে না।
কিন্তু ১৯১৩ সালে পাওয়া যায় আনন্দ সংবাদ। ভিনসেনজো পেরুগিয়া নামের লুভের এক কর্মচারীই যে মোনালিসাকে চুরি করেছিলেন, তা ধরা পড়ে। কাজের শেষে জাদুঘরের ঝাড়ু রাখার আলমারিতে লুকিয়ে থেকে পরদিন কোটের নিচে লুকিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর থেকেই মোনালিসা আর লুভে নেই।
আদালতে পেরুগিয়া বলেছিলেন, ভিঞ্চি যেহেতু ইতালির নাগরিক, তাই মোনালিসা ইতালির সম্পত্তি। তিনি মোনালিসাকে ইতালিতে পাঠানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ কারণেই তিনি লুভ থেকে চুরি করেছিলেন। চুরির দায়ে এক বছরের জেল হলেও পেরুগিয়া ইতালির ‘জাতীয় বীর’ আখ্যা লাভ করেন। মোনালিসা লুভে ফিরে আসে ১৯১৩ সালেই। ষোড়শ শতাব্দীতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ক্যানভাসে জন্ম নিয়েছিল মোনালিসা। এরপর থেকে মানুষের আগ্রহের বড় একটি জায়গা এই ছবি। লুভ মিউজিয়ামে কত শিল্পীর কত ছবি রয়েছে, সে ছবিগুলো দেখেও মানুষ। কিন্তু লুভ দেখতে যাবে অথচ মোনালিসা দেখবে না—এ রকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি কাছেধারে থাকা ‘লাস্ট সাপার’ও মোনালিসার ঔজ্জ্বল্যে ম্লান হয়ে গেছে।
আরও বিস্ময়ের ব্যাপার, শিল্পজগতের সঙ্গে যাঁর কোনো সম্পর্ক নেই, তিনিও মোনালিসা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন। কত কবিতা, গান, চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। ২০০৬ সালে নির্মিত দ্য ভিঞ্চি কোড চলচ্চিত্রটিও তো মোনালিসা-রহস্য নিয়ে।
শিল্পবিষয়ক ছোট কোনো খবরও মাঝেমধ্যে দামি স্মৃতির কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাদের। আমরা বুঝতে পারি, জগতের নানা ধরনের বৈষম্য, হাহাকার, লাঞ্ছনা-গঞ্জনার বাইরেও একটা জগৎ আছে, যেখানে গেলে ‘দুদণ্ড শান্তি’ মেলে। মোনালিসার রেপ্লিকা বিক্রির খবর সে রকমই একটি আস্বাদের জন্ম দিল।
খবরটা মোনালিসার নয়, তার রেপ্লিকার। ষোড়শ শতাব্দীতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি সেই যে আঁকলেন ছবিটি, তারপর থেকে ছবির আলাপ হলেই ঘুরেফিরে তা চলে আসে আলোচনায়।
প্যারিসের একটি অনলাইনে মোনালিসার রেপ্লিকাটি বিক্রি হয়েছে ৩৪ লাখ ডলারে। তাতে আন্দোলিত হচ্ছি আমরাও। কিন্তু খোদ জলজ্যান্ত একটি খাঁটি মোনালিসা থাকতে রেপ্লিকায় মন ভরে কার? তাই মোনালিসাকে নিয়েই কিছু কথা হোক। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, ১৯১১ সালের আগস্ট মাসের ২১ তারিখে হঠাৎ করেই লুভ থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল মোনালিসা। খোঁজ খোঁজ। শিল্পরসিকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল সেদিন। পরে কীভাবে তা ফিরে এল, সে-ও এক চিত্তাকর্ষক কাহিনি। ফরাসি প্রশাসনের মাথার ওপর বাজ পড়েছিল। পুলিশ এ সময় সন্দেহ করতে শুরু করে বিখ্যাত শিল্পী পাবলো পিকাসো আর স্বনামধন্য কবি গিয়ম অ্যাপলিনেরকে। দুজনকেই আদালতে হাজির হতে হয়। তাঁরা যে মোনালিসাকে চুরি করেননি, পরে তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু মোনালিসাকে তো আর খুঁজে পাওয়া গেল না! অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, মোনালিসা আর ফিরবে না।
কিন্তু ১৯১৩ সালে পাওয়া যায় আনন্দ সংবাদ। ভিনসেনজো পেরুগিয়া নামের লুভের এক কর্মচারীই যে মোনালিসাকে চুরি করেছিলেন, তা ধরা পড়ে। কাজের শেষে জাদুঘরের ঝাড়ু রাখার আলমারিতে লুকিয়ে থেকে পরদিন কোটের নিচে লুকিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর থেকেই মোনালিসা আর লুভে নেই।
আদালতে পেরুগিয়া বলেছিলেন, ভিঞ্চি যেহেতু ইতালির নাগরিক, তাই মোনালিসা ইতালির সম্পত্তি। তিনি মোনালিসাকে ইতালিতে পাঠানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ কারণেই তিনি লুভ থেকে চুরি করেছিলেন। চুরির দায়ে এক বছরের জেল হলেও পেরুগিয়া ইতালির ‘জাতীয় বীর’ আখ্যা লাভ করেন। মোনালিসা লুভে ফিরে আসে ১৯১৩ সালেই। ষোড়শ শতাব্দীতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ক্যানভাসে জন্ম নিয়েছিল মোনালিসা। এরপর থেকে মানুষের আগ্রহের বড় একটি জায়গা এই ছবি। লুভ মিউজিয়ামে কত শিল্পীর কত ছবি রয়েছে, সে ছবিগুলো দেখেও মানুষ। কিন্তু লুভ দেখতে যাবে অথচ মোনালিসা দেখবে না—এ রকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি কাছেধারে থাকা ‘লাস্ট সাপার’ও মোনালিসার ঔজ্জ্বল্যে ম্লান হয়ে গেছে।
আরও বিস্ময়ের ব্যাপার, শিল্পজগতের সঙ্গে যাঁর কোনো সম্পর্ক নেই, তিনিও মোনালিসা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন। কত কবিতা, গান, চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। ২০০৬ সালে নির্মিত দ্য ভিঞ্চি কোড চলচ্চিত্রটিও তো মোনালিসা-রহস্য নিয়ে।
শিল্পবিষয়ক ছোট কোনো খবরও মাঝেমধ্যে দামি স্মৃতির কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাদের। আমরা বুঝতে পারি, জগতের নানা ধরনের বৈষম্য, হাহাকার, লাঞ্ছনা-গঞ্জনার বাইরেও একটা জগৎ আছে, যেখানে গেলে ‘দুদণ্ড শান্তি’ মেলে। মোনালিসার রেপ্লিকা বিক্রির খবর সে রকমই একটি আস্বাদের জন্ম দিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
৭ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
৭ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগে