মাজেদুল ইসলাম বাবুল
ছুটছি।
মায়ের কোলে ডেইজি, বাম হাতে ধরা মুকুল। বড় আপার দুই হাত শক্ত করে ধরে আমি আর জোহরা প্রাণপণে ছুটছি। দিগ্বিদিক হয়ে ছুটছে কমপক্ষে আরও ৪০টি পরিবার। পঞ্চগড় শহর থেকে মাইল তিনেক পশ্চিমে নানাবাড়ি গলেহায় সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছি। বড়রা ইতিমধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে গেছেন, ইন্ডিয়ায় সবার থাকার ব্যবস্থা করে আমাদের নিয়ে যাবেন।
আবার বোমা পড়ার শব্দে সম্মিলিত চিৎকার। সঙ্গে রক্ত হিম করা মেশিনগানের ব্রাশফায়ার। ছোটরা মেয়েরা কাঁদছে, কিন্তু কারও দৌড় থামছে না। বিশাল প্রান্তরজুড়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা, তা ধরে দৌড়ালে দেরি হয়ে যাবে। রাস্তা ছেড়ে সদ্য চাষ করা ক্ষেতে নেমে সরাসরি দৌড়। গত রাতে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পা দেবে যাচ্ছিল। দু মিনিট পর আবার বোমার শব্দ। আবার সম্মিলিত চিৎকার।
সবাই বলাবলি করছে পাকিস্তানি বাহিনী পঞ্চগড় আক্রমণ করেছে। আবার বোমা। আপার হাত ছুটে গেল, কোথায় গেল? না, ভয় পাচ্ছি না—অসীম সাহস এসে জুটেছে যেন বুকে।
পিঠে বৈশাখের তপ্ত রোদ্দুর। হঠাৎ লক্ষ করি, মুকুলের পায়ের গোড়ালি কেটে রক্ত পড়ছে, ভাঙা কাঁচ কিংবা খোলামকুচি দিয়ে কেটে গেছে। আমার চিৎকারে ছোট্ট মুকুল একবার ফিরে তাকালেও থামার উপায় নেই। ওই যে দূরে গ্রাম দেখা যাচ্ছে, ওইখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামা যাবে না, যতই রক্ত পড়ুক।
আরও আধঘণ্টা পর পলায়নরত আমাদের বিশাল দলটি গ্রামটিতে যখন পৌঁছাই, ততক্ষণে সবাই ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, কারও দিকে তাকানো যায় না, ঘেমে-নেয়ে উঠেছে সবাই, সবার পা কাদায় মাখামাখি। ঠিক গ্রাম নয়, বড়জোর পাড়া বলা যায়। গাছগাছালিতে ভরা। একটু দূরেই ইন্ডিয়া, ঘাড় ফেরালেই দেখা যায়।
হাঁপাতে হাঁপাতে সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এদিক-ওদিক বসে পড়ে। আর ভয় নেই, হানাদার পাকিস্তানিরা এলে এক লাফে ইন্ডিয়া চলে যাব।
আশ্চর্য! গোলাগুলির শব্দ থেমে গেল মনে হয়! একেবারে চুপচাপ হয়ে গেল। শুধু পাখিদের কোলাহল। পাকিস্তানিরা কি পঞ্চগড় দখল করে নিয়েছে?
মাথার ওপর সূর্য জ্বলছে। নিস্তব্ধতা আরও আতঙ্কিত করে তোলে সবাইকে। এ নিস্তব্ধতার অর্থ কী? ফিসফিস করলেও মনে হচ্ছে চিৎকার করে কথা বলছে। পঞ্চগড়ের কি পতন হলো? বড়রা ভাবছেন, গোলাগুলি বন্ধ করে পাকিস্তানি সেনারা চুপিসারে এগিয়ে আসছে না তো? যদি সত্যি সত্যি তারা আসেই, তাহলে করণীয় কী তা নিয়ে জোরালো প্রস্তুতি নিয়ে আপাতত সাময়িকভাবে বিশ্রাম। বড়রা কেউ ছোটদের চোখের আড়ালে যেতে দিচ্ছেন না। প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে সবাই যেন আবার দৌড় দিতে পারে, সে কথা জনে জনে বলেও দেওয়া হলো।
এ বছরটি শুরুই হয়েছে ঝামেলা দিয়ে। নতুন বই কেনা হলো ঠিকই, কিন্তু স্কুলে যাওয়া হলো না। অস্থির হয়ে আছে সারা দেশ, ক্রমশ যেন অগ্নিকু- হয়ে উঠছে। ঢাকায় হাজার হাজার মানুষ মেরে দখল করে নিয়েছে পাকিস্তানি বাহিনী। গত পরশু পাক হানাদারেরা বোদার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, কয়েকজনকে নাকি মেরেও ফেলেছে! তার মধ্যে আমার প্রিয় যতীন কাকাও আছে। জ্বর হলে আমি এখন কার কাছে ওষুধ আনতে যাব? এই ভালো মানুষটি কি দোষ করেছেন যে তাঁকে মেরে ফেলল ওরা ? মনটা হুহু করে উঠল।
দুদিন আগেও সারা রাত বাঙ্কারে কাটাতে হয়েছে সবাইকে। আমাদের নানা বাড়ি গলেহা কান্তমনি, যেখানে আমরা আশ্রয় নিয়েছি, পঞ্চগড় শহর থেকে মাইল তিনেক পশ্চিমে। সেদিন রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে সবে ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সবাই, ঠিক তখনই গোলাগুলির আওয়াজ। কিসের বিছানা কিসের ঘুম—শুরু হয়ে গেল ছোটাছুটি। প্রাথমিকভাবে ছোটদের টেনে নিয়ে গেল বাঙ্কারে, না ঠিক বাঙ্কার নয়, ‘ভি’ আকৃতির ট্রেঞ্চ, গলাসমান গভীর। লাফিয়ে নেমে যে যার মতো পজিশন নিয়ে নিই। আগেই আমরা ছোটরা শিখে নিয়েছি, কীভাবে আপৎকালীন সময়ে গোলাগুলি হলে, বোমা পড়লে হাঁটু গেড়ে মাটিতে কনুই ঠেকিয়ে কানে আঙুল চেপে চুপচাপ পড়ে থাকতে হয়। কিসের গোলাগুলি, কেন গোলাগুলি—কিছুই বুঝতে পারছি না কেউ। স্থান সংকুলান হচ্ছে না দেখে তড়িঘড়ি আরও ট্রেঞ্চ তৈরি করা হলো, ‘ভি’ বাড়িয়ে ‘ডাব্লিউ’ করা হলো।
বিপদ কি একটা, রাত ১২টার দিকে শুরু হলো ঝড়বৃষ্টি। সবাই ভিজে এক সা। রাত ৩টার দিকে গোলাগুলি বন্ধ হলে আমাদের বিছানায় নিয়ে যাওয়া হলো— কেউ ঘুম, কেউ আধাঘুম, ভেজা আর কাদামাখা শরীর।
সীমান্তবর্তী এই পাড়াটাতে আমরা ছোটরা কিছুটা ভীতি কাটিয়ে খেলাধুলা শুরু করেছি। এর মধ্যে খেয়ে নেওয়ার ডাক এল, খিচুড়ি। কোথা থেকে এল? আমাদের মামা-মামী, মামাতো ভাইবোনেরা স্থানীয় অচেনা মুখগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে খাওয়াদাওয়ার দক্ষযজ্ঞে শামিল হয়ে গেছেন, কারও মুখে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সবার মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ, গম্ভীর কিন্তু কোনো বিরক্তি নেই, যেন কোন পরমাত্মীয় এসেছে অতিথি হয়ে।
এই বিপদের দিনে আশ্চর্য রকমভাবে সবাই সবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। বাঙালিরা কখনও পরাভব মানে না।
ছুটছি।
মায়ের কোলে ডেইজি, বাম হাতে ধরা মুকুল। বড় আপার দুই হাত শক্ত করে ধরে আমি আর জোহরা প্রাণপণে ছুটছি। দিগ্বিদিক হয়ে ছুটছে কমপক্ষে আরও ৪০টি পরিবার। পঞ্চগড় শহর থেকে মাইল তিনেক পশ্চিমে নানাবাড়ি গলেহায় সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছি। বড়রা ইতিমধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে গেছেন, ইন্ডিয়ায় সবার থাকার ব্যবস্থা করে আমাদের নিয়ে যাবেন।
আবার বোমা পড়ার শব্দে সম্মিলিত চিৎকার। সঙ্গে রক্ত হিম করা মেশিনগানের ব্রাশফায়ার। ছোটরা মেয়েরা কাঁদছে, কিন্তু কারও দৌড় থামছে না। বিশাল প্রান্তরজুড়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা, তা ধরে দৌড়ালে দেরি হয়ে যাবে। রাস্তা ছেড়ে সদ্য চাষ করা ক্ষেতে নেমে সরাসরি দৌড়। গত রাতে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পা দেবে যাচ্ছিল। দু মিনিট পর আবার বোমার শব্দ। আবার সম্মিলিত চিৎকার।
সবাই বলাবলি করছে পাকিস্তানি বাহিনী পঞ্চগড় আক্রমণ করেছে। আবার বোমা। আপার হাত ছুটে গেল, কোথায় গেল? না, ভয় পাচ্ছি না—অসীম সাহস এসে জুটেছে যেন বুকে।
পিঠে বৈশাখের তপ্ত রোদ্দুর। হঠাৎ লক্ষ করি, মুকুলের পায়ের গোড়ালি কেটে রক্ত পড়ছে, ভাঙা কাঁচ কিংবা খোলামকুচি দিয়ে কেটে গেছে। আমার চিৎকারে ছোট্ট মুকুল একবার ফিরে তাকালেও থামার উপায় নেই। ওই যে দূরে গ্রাম দেখা যাচ্ছে, ওইখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামা যাবে না, যতই রক্ত পড়ুক।
আরও আধঘণ্টা পর পলায়নরত আমাদের বিশাল দলটি গ্রামটিতে যখন পৌঁছাই, ততক্ষণে সবাই ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, কারও দিকে তাকানো যায় না, ঘেমে-নেয়ে উঠেছে সবাই, সবার পা কাদায় মাখামাখি। ঠিক গ্রাম নয়, বড়জোর পাড়া বলা যায়। গাছগাছালিতে ভরা। একটু দূরেই ইন্ডিয়া, ঘাড় ফেরালেই দেখা যায়।
হাঁপাতে হাঁপাতে সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এদিক-ওদিক বসে পড়ে। আর ভয় নেই, হানাদার পাকিস্তানিরা এলে এক লাফে ইন্ডিয়া চলে যাব।
আশ্চর্য! গোলাগুলির শব্দ থেমে গেল মনে হয়! একেবারে চুপচাপ হয়ে গেল। শুধু পাখিদের কোলাহল। পাকিস্তানিরা কি পঞ্চগড় দখল করে নিয়েছে?
মাথার ওপর সূর্য জ্বলছে। নিস্তব্ধতা আরও আতঙ্কিত করে তোলে সবাইকে। এ নিস্তব্ধতার অর্থ কী? ফিসফিস করলেও মনে হচ্ছে চিৎকার করে কথা বলছে। পঞ্চগড়ের কি পতন হলো? বড়রা ভাবছেন, গোলাগুলি বন্ধ করে পাকিস্তানি সেনারা চুপিসারে এগিয়ে আসছে না তো? যদি সত্যি সত্যি তারা আসেই, তাহলে করণীয় কী তা নিয়ে জোরালো প্রস্তুতি নিয়ে আপাতত সাময়িকভাবে বিশ্রাম। বড়রা কেউ ছোটদের চোখের আড়ালে যেতে দিচ্ছেন না। প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে সবাই যেন আবার দৌড় দিতে পারে, সে কথা জনে জনে বলেও দেওয়া হলো।
এ বছরটি শুরুই হয়েছে ঝামেলা দিয়ে। নতুন বই কেনা হলো ঠিকই, কিন্তু স্কুলে যাওয়া হলো না। অস্থির হয়ে আছে সারা দেশ, ক্রমশ যেন অগ্নিকু- হয়ে উঠছে। ঢাকায় হাজার হাজার মানুষ মেরে দখল করে নিয়েছে পাকিস্তানি বাহিনী। গত পরশু পাক হানাদারেরা বোদার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, কয়েকজনকে নাকি মেরেও ফেলেছে! তার মধ্যে আমার প্রিয় যতীন কাকাও আছে। জ্বর হলে আমি এখন কার কাছে ওষুধ আনতে যাব? এই ভালো মানুষটি কি দোষ করেছেন যে তাঁকে মেরে ফেলল ওরা ? মনটা হুহু করে উঠল।
দুদিন আগেও সারা রাত বাঙ্কারে কাটাতে হয়েছে সবাইকে। আমাদের নানা বাড়ি গলেহা কান্তমনি, যেখানে আমরা আশ্রয় নিয়েছি, পঞ্চগড় শহর থেকে মাইল তিনেক পশ্চিমে। সেদিন রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে সবে ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সবাই, ঠিক তখনই গোলাগুলির আওয়াজ। কিসের বিছানা কিসের ঘুম—শুরু হয়ে গেল ছোটাছুটি। প্রাথমিকভাবে ছোটদের টেনে নিয়ে গেল বাঙ্কারে, না ঠিক বাঙ্কার নয়, ‘ভি’ আকৃতির ট্রেঞ্চ, গলাসমান গভীর। লাফিয়ে নেমে যে যার মতো পজিশন নিয়ে নিই। আগেই আমরা ছোটরা শিখে নিয়েছি, কীভাবে আপৎকালীন সময়ে গোলাগুলি হলে, বোমা পড়লে হাঁটু গেড়ে মাটিতে কনুই ঠেকিয়ে কানে আঙুল চেপে চুপচাপ পড়ে থাকতে হয়। কিসের গোলাগুলি, কেন গোলাগুলি—কিছুই বুঝতে পারছি না কেউ। স্থান সংকুলান হচ্ছে না দেখে তড়িঘড়ি আরও ট্রেঞ্চ তৈরি করা হলো, ‘ভি’ বাড়িয়ে ‘ডাব্লিউ’ করা হলো।
বিপদ কি একটা, রাত ১২টার দিকে শুরু হলো ঝড়বৃষ্টি। সবাই ভিজে এক সা। রাত ৩টার দিকে গোলাগুলি বন্ধ হলে আমাদের বিছানায় নিয়ে যাওয়া হলো— কেউ ঘুম, কেউ আধাঘুম, ভেজা আর কাদামাখা শরীর।
সীমান্তবর্তী এই পাড়াটাতে আমরা ছোটরা কিছুটা ভীতি কাটিয়ে খেলাধুলা শুরু করেছি। এর মধ্যে খেয়ে নেওয়ার ডাক এল, খিচুড়ি। কোথা থেকে এল? আমাদের মামা-মামী, মামাতো ভাইবোনেরা স্থানীয় অচেনা মুখগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে খাওয়াদাওয়ার দক্ষযজ্ঞে শামিল হয়ে গেছেন, কারও মুখে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সবার মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ, গম্ভীর কিন্তু কোনো বিরক্তি নেই, যেন কোন পরমাত্মীয় এসেছে অতিথি হয়ে।
এই বিপদের দিনে আশ্চর্য রকমভাবে সবাই সবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। বাঙালিরা কখনও পরাভব মানে না।
গত কয়েক দিনে তিনজন জামায়াত নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই একটা রাজনৈতিক দল, যাদের নেতাদের মধ্যে পরিমিতিবোধ অসাধারণ। প্রায়ই তাঁরা জানেন, কোথায় থামতে হয়। হাসতে হলে ঠোঁট দুটো কতটুকু প্রসারিত করতে হবে, দাঁত কটা প্রকাশিত হতে পারবে—সে হিসাবও সম্ভবত দল তাদের শিখিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়া আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। প্রায় ২৮ কোটি মানুষের এই বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক দেশটি দীর্ঘ সামরিক শাসন, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি ও দুর্নীতির গভীর সংকট অতিক্রম করে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রবেশ করেছে।
৮ ঘণ্টা আগেইদানীং; কেবল ইদানীং কেন, অনেক আগে থেকেই আমার মনে একটি প্রশ্ন বারবার উঁকি দিয়ে ওঠে যে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কিংবা সমাজে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কী, তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি? জানা আছে কিংবা জানা থেকে থাকলে মনে রাখতে পেরেছি এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠা অথবা গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট কী?
৮ ঘণ্টা আগেরাজনীতির মাঠটাকে যাঁরা অশ্লীল বাক্যবাণের চারণক্ষেত্র বানিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে। উত্তরা থেকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাহিনি সেই আগের মতোই।
৮ ঘণ্টা আগে