নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসব স্ক্রিনশট ছাপানো একটি ব্যানার কলেজের প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেয়।
ব্যানারে ছাপানো স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক ছাত্রীদের ব্যক্তিগত সৌন্দর্য নিয়ে মন্তব্য করছেন এবং ওড়না ছাড়াসহ বিভিন্ন সাজে দেখার আবদার করছেন।
কলেজ গেটে ঝোলানো সেই ব্যানারে থাকা স্ক্রিনশটগুলোর একটিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক তাঁর ছাত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন। প্রশংসার একপর্যায়ে ছাত্রীকে সামসুল হক লেখেন, ‘আরও সুন্দরী ছবি আছে তোমার’। উত্তরে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আর নেই স্যার। আমি সুন্দর না। আমার যা মনে হয়।’ তখন সামসুল হক লেখেন, ‘আছে আছে, ওড়না ছাড়া।’ উত্তরে ছাত্রী বলেন, ‘নেই স্যার, স্যরি স্যার।’ তাৎক্ষণিক সামসুল হক বলেন, ‘কলেজে দেখেছি তো।’ উত্তরে ছাত্রী বলেন, ‘না স্যার। স্যরি। নেই স্যার। মাফ করবেন।’ এরপর সামসুল হক বলেন, ‘ওকে, সামনেই দেখব। অনেক অনেক অনেক ভালো থেকো। বাই।’
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, ‘দুই বছর আগে নওগাঁ বিএমসি মহিলা কলেজে পড়ার সময় স্যার ফেসবুকে যুক্ত হয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। একদিন ওড়না ছাড়া ছবি চাইলে আমি তাঁকে ব্লক করি।’ এত দিন নীরব থাকার কারণ জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘ফেসবুকে আরও কয়েকজন ছাত্রীর স্ক্রিনশট ভাইরাল হতে দেখে আমিও প্রতিবাদ জানালাম। উনি (অধ্যক্ষ) হয়েও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন অন্যায় করেছেন।’ আরও এক ছাত্রী বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে দেখা হলেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকিয়ে সৌন্দর্যের প্রশংসা করতেন, যা ছিল অশালীন।’ এক অভিভাবক বলেন, একজন শিক্ষকের মানসিকতা এত নোংরা হলে কীভাবে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকেন!
এদিকে আজ দুপুরে কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতি, ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের আপত্তিকর কথোপকথন ও জুলাই যোদ্ধাকে মারধরের প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজশিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা সংসদ, আহত ও শহীদ পরিবারের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আরমান হোসেন বলেন, ‘একজন অধ্যক্ষ হয়ে কীভাবে তিনি ছাত্রীদের কাছে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন এবং ওড়না ছাড়া ছবি চাইতে পারেন? কলেজে ছাত্রদের জন্য আবাসিক ও ক্যানটিন নেই, শিক্ষার পরিবেশ নেই। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। তাই অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করছি।’
জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, কলেজের উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। অধ্যক্ষ মাস্তান বাহিনী পুষে রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শহীদ ফাহমিনের মা কাজী লুলুন, কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে নওগাঁ কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ‘স্ক্রিনশটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গুটিকয়েক শিক্ষার্থীকে কখনো প্রতিপক্ষ মনে করি না। যারা আমার বিষয়ে আন্দোলন করছে, তাদের আমি শিক্ষার্থী হিসেবেই দেখতে চাই।’
এর আগে গত শুক্রবার রাতে অধ্যক্ষ সামসুল হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দাবি করেন, তাঁর ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে এবং কে সেটি চালাচ্ছেন, তা তিনি জানেন না এবং কোনো বার্তায় সাড়া না দিতে সবাইকে অনুরোধ জানান।
নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসব স্ক্রিনশট ছাপানো একটি ব্যানার কলেজের প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেয়।
ব্যানারে ছাপানো স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক ছাত্রীদের ব্যক্তিগত সৌন্দর্য নিয়ে মন্তব্য করছেন এবং ওড়না ছাড়াসহ বিভিন্ন সাজে দেখার আবদার করছেন।
কলেজ গেটে ঝোলানো সেই ব্যানারে থাকা স্ক্রিনশটগুলোর একটিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক তাঁর ছাত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন। প্রশংসার একপর্যায়ে ছাত্রীকে সামসুল হক লেখেন, ‘আরও সুন্দরী ছবি আছে তোমার’। উত্তরে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আর নেই স্যার। আমি সুন্দর না। আমার যা মনে হয়।’ তখন সামসুল হক লেখেন, ‘আছে আছে, ওড়না ছাড়া।’ উত্তরে ছাত্রী বলেন, ‘নেই স্যার, স্যরি স্যার।’ তাৎক্ষণিক সামসুল হক বলেন, ‘কলেজে দেখেছি তো।’ উত্তরে ছাত্রী বলেন, ‘না স্যার। স্যরি। নেই স্যার। মাফ করবেন।’ এরপর সামসুল হক বলেন, ‘ওকে, সামনেই দেখব। অনেক অনেক অনেক ভালো থেকো। বাই।’
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, ‘দুই বছর আগে নওগাঁ বিএমসি মহিলা কলেজে পড়ার সময় স্যার ফেসবুকে যুক্ত হয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। একদিন ওড়না ছাড়া ছবি চাইলে আমি তাঁকে ব্লক করি।’ এত দিন নীরব থাকার কারণ জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘ফেসবুকে আরও কয়েকজন ছাত্রীর স্ক্রিনশট ভাইরাল হতে দেখে আমিও প্রতিবাদ জানালাম। উনি (অধ্যক্ষ) হয়েও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন অন্যায় করেছেন।’ আরও এক ছাত্রী বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে দেখা হলেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকিয়ে সৌন্দর্যের প্রশংসা করতেন, যা ছিল অশালীন।’ এক অভিভাবক বলেন, একজন শিক্ষকের মানসিকতা এত নোংরা হলে কীভাবে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকেন!
এদিকে আজ দুপুরে কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতি, ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের আপত্তিকর কথোপকথন ও জুলাই যোদ্ধাকে মারধরের প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজশিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা সংসদ, আহত ও শহীদ পরিবারের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আরমান হোসেন বলেন, ‘একজন অধ্যক্ষ হয়ে কীভাবে তিনি ছাত্রীদের কাছে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন এবং ওড়না ছাড়া ছবি চাইতে পারেন? কলেজে ছাত্রদের জন্য আবাসিক ও ক্যানটিন নেই, শিক্ষার পরিবেশ নেই। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। তাই অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করছি।’
জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, কলেজের উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। অধ্যক্ষ মাস্তান বাহিনী পুষে রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শহীদ ফাহমিনের মা কাজী লুলুন, কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে নওগাঁ কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ‘স্ক্রিনশটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গুটিকয়েক শিক্ষার্থীকে কখনো প্রতিপক্ষ মনে করি না। যারা আমার বিষয়ে আন্দোলন করছে, তাদের আমি শিক্ষার্থী হিসেবেই দেখতে চাই।’
এর আগে গত শুক্রবার রাতে অধ্যক্ষ সামসুল হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দাবি করেন, তাঁর ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে এবং কে সেটি চালাচ্ছেন, তা তিনি জানেন না এবং কোনো বার্তায় সাড়া না দিতে সবাইকে অনুরোধ জানান।
আজ সকালে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জানান, এক নারী স্বাভাবিকভাবে ছয় নবজাতকের জন্ম দেন। ২৭ সপ্তাহের মধ্যেই ডেলিভারি হয়ে গেছে। সব শিশুই অপরিপক্ব। তাদের ওজন ৬১৫ থেকে ৯০০ গ্রাম। তিনটি বেড খালি থাকায় তিন নবজাতককে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। অন্য তিনটি শিশু বাইর
১৪ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে বিশেষ অভিযানে ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে অভিযানের সময় মাদক কারবারিরা সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়।
২৬ মিনিট আগেছোট পরিসর ছেড়ে আরও বড় পরিসরে যেতে কপিশপ এবার দেশের প্রথম অ্যাডভারটাইজিং স্কুল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিল। এই বিজ্ঞাপনী দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নাম ঢাকা অ্যাডভারটাইজিং স্কুল। সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ড্যাডস্।
৩০ মিনিট আগেনীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজানের ঢলে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৭ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড
৩৫ মিনিট আগে