রজত কান্তি রায়
এই আনন্দ দিনে হৃদয়ের দরজা খোলা থাক আজ। খোলা থাক চোখ। কার্যত দৃশ্য বলে যা ধরা দেবে, তাকে আজ মন দিয়ে বোঝা হোক।
আজ পরিজনকে ধন্যবাদ দিই। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ পাওনা আছে। আমাদের বেড়ে ওঠার পেছনে তাঁদের যে অসীম ধৈর্য, অনুপ্রেরণা—তার জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমাদের বন্ধুদের, যারা সয়েছে আমাদের গালাগাল। যত অদ্ভুত চাওয়া ছিল আমাদের, যারা তা পূরণ করেছে। নইলে আর বন্ধু কিসের? তাদের ধন্যবাদ।
আজ এই আনন্দ দিনে আমাদের প্রতিবেশীদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সেই মুখরা রমণীকে, যিনি আমাদের শত্রু মনে করেন। ধন্যবাদ জানাই সেই মানুষটিকে, যিনি আমাদের গলিকে মুখর করে তোলেন তাঁর চিৎকারে। যাঁর চিৎকার শুনে সুখী মানুষেরা জেগে ওঠেন, আর গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে সবজি কেনেন। ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম, সাদেকুল, আব্দুর রহমান কিংবা জয়নাল, আপনাদের পেশিতে তৈরি হওয়া শক্তি রিকশায় গতিশীল হয়, আর আমরা পৌঁছে যাই আমাদের গন্তব্যে।
ধন্যবাদ মোহাম্মদ হীরক; চল্লিশ বছর ধরে এই শহরে টেম্পো আর সিএনজি চালানোর জন্য। চল্লিশ বছর পরের একদিন সিএনজির যাত্রী হিসেবে আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে আমি খুশি হয়েছি। বুঝেছি, কিছু দায়িত্বশীল মানুষ আছেন বলে আমাদের যাত্রা কিছুটা নির্বিঘ্ন হয়। ধন্যবাদ রিয়াজুল। বাজারে আপনার শাকের দোকান আমাকে টানে। কেন টানে? আপনার শাক অনেক সবুজ বলে? অথবা ভালো শাক কখন গেলে পাওয়া যাবে, সে টিপস আমাকে দিয়েছেন বলে? কে জানে। আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দেওয়া টিপস আমার কাজে লাগে। ধন্যবাদ কোহিনুর বুয়া। এক মাসে কয়েকটা টাকা বেশি চাইলে আমি খেঁকিয়ে উঠি বটে। পরিবারের বাইরের মানুষ হিসেবে আপনার ওপর আমাদের যে নির্ভরতা, সেটা আপনার তৈরি। সে নির্ভরতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক অভিযোগ আছে, সেটা ঠিক। অনেক সুনামও আছে। অনেক মানবিক গল্প তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে। এ জন্য ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ। অন্তত এটা স্বীকার করতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই যে, মানুষ ভাবে তাঁদের বিপদে পুলিশ আসবে রক্ষাকর্তার ভূমিকা নিয়ে। সত্য উদ্ঘাটনে জীবন বাজি রাখবে পুলিশই। মানুষ এখনো সেটা বিশ্বাস করে।
আপনাদের নাম কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয়, শুধু এই মুহূর্তে নয়, অতীতেও যেমন, ভবিষ্যতেও তেমনি মানুষ আপনাদেরই অভিযোগ করে যাবে। কারণ, জীবন ও মরণের সন্ধিক্ষণে আপনাদের কর্মতৎপরতা, সিদ্ধান্ত আর বিচক্ষণতা আমাদের একটি নতুন ভোর দেখার সুযোগ করে দেয়। আর কে না চায় তাঁর জীবনে একটা নতুন ভোর আসুক? আমরা জানি, ঠিক এই মুহূর্তে আমরা যখন নিয়ন্ত্রিত হলেও আনন্দ করছি, আপনারা তখন কাকে ছেড়ে কার নাকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল গুঁজে দেবেন, সে জটিল হিসেবে ব্যস্ত। মানুষকে বাঁচাতে না পারার জন্য যে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত আর বিষণ্ন দেখেছি আপনাদের, অন্য কাউকে সেটা দেখা যায়নি। আপনাদের ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে। যারা আমাদের জীবন সহজ করে দেন, আমাদের অন্তর্গত বিষণ্নতা কিছুটা হলেও নিজেদের কাঁধে নিয়ে আমাদের হালকা রাখেন, আমাদের একটা নতুন ভোরের সন্ধান দেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ।
সুনতে হ্যাঁয় বেহিশত কি তারিফ সব দুরস্ত
লেকিন খুদা করে ও তেরা জলওয়াগাহ হো
-মির্জা গালিব
.
স্বর্গের যত তারিফ শুনি সব সত্যি
কিন্তু খোদা করুন, সেখানে যেন তোমাকে দেখতে পাই
অনুবাদ: জাভেদ হুসেন/মির্জা গালিবের গজল/ ২০১৯
এই আনন্দ দিনে হৃদয়ের দরজা খোলা থাক আজ। খোলা থাক চোখ। কার্যত দৃশ্য বলে যা ধরা দেবে, তাকে আজ মন দিয়ে বোঝা হোক।
আজ পরিজনকে ধন্যবাদ দিই। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ পাওনা আছে। আমাদের বেড়ে ওঠার পেছনে তাঁদের যে অসীম ধৈর্য, অনুপ্রেরণা—তার জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমাদের বন্ধুদের, যারা সয়েছে আমাদের গালাগাল। যত অদ্ভুত চাওয়া ছিল আমাদের, যারা তা পূরণ করেছে। নইলে আর বন্ধু কিসের? তাদের ধন্যবাদ।
আজ এই আনন্দ দিনে আমাদের প্রতিবেশীদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সেই মুখরা রমণীকে, যিনি আমাদের শত্রু মনে করেন। ধন্যবাদ জানাই সেই মানুষটিকে, যিনি আমাদের গলিকে মুখর করে তোলেন তাঁর চিৎকারে। যাঁর চিৎকার শুনে সুখী মানুষেরা জেগে ওঠেন, আর গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে সবজি কেনেন। ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম, সাদেকুল, আব্দুর রহমান কিংবা জয়নাল, আপনাদের পেশিতে তৈরি হওয়া শক্তি রিকশায় গতিশীল হয়, আর আমরা পৌঁছে যাই আমাদের গন্তব্যে।
ধন্যবাদ মোহাম্মদ হীরক; চল্লিশ বছর ধরে এই শহরে টেম্পো আর সিএনজি চালানোর জন্য। চল্লিশ বছর পরের একদিন সিএনজির যাত্রী হিসেবে আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে আমি খুশি হয়েছি। বুঝেছি, কিছু দায়িত্বশীল মানুষ আছেন বলে আমাদের যাত্রা কিছুটা নির্বিঘ্ন হয়। ধন্যবাদ রিয়াজুল। বাজারে আপনার শাকের দোকান আমাকে টানে। কেন টানে? আপনার শাক অনেক সবুজ বলে? অথবা ভালো শাক কখন গেলে পাওয়া যাবে, সে টিপস আমাকে দিয়েছেন বলে? কে জানে। আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দেওয়া টিপস আমার কাজে লাগে। ধন্যবাদ কোহিনুর বুয়া। এক মাসে কয়েকটা টাকা বেশি চাইলে আমি খেঁকিয়ে উঠি বটে। পরিবারের বাইরের মানুষ হিসেবে আপনার ওপর আমাদের যে নির্ভরতা, সেটা আপনার তৈরি। সে নির্ভরতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক অভিযোগ আছে, সেটা ঠিক। অনেক সুনামও আছে। অনেক মানবিক গল্প তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে। এ জন্য ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ। অন্তত এটা স্বীকার করতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই যে, মানুষ ভাবে তাঁদের বিপদে পুলিশ আসবে রক্ষাকর্তার ভূমিকা নিয়ে। সত্য উদ্ঘাটনে জীবন বাজি রাখবে পুলিশই। মানুষ এখনো সেটা বিশ্বাস করে।
আপনাদের নাম কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয়, শুধু এই মুহূর্তে নয়, অতীতেও যেমন, ভবিষ্যতেও তেমনি মানুষ আপনাদেরই অভিযোগ করে যাবে। কারণ, জীবন ও মরণের সন্ধিক্ষণে আপনাদের কর্মতৎপরতা, সিদ্ধান্ত আর বিচক্ষণতা আমাদের একটি নতুন ভোর দেখার সুযোগ করে দেয়। আর কে না চায় তাঁর জীবনে একটা নতুন ভোর আসুক? আমরা জানি, ঠিক এই মুহূর্তে আমরা যখন নিয়ন্ত্রিত হলেও আনন্দ করছি, আপনারা তখন কাকে ছেড়ে কার নাকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল গুঁজে দেবেন, সে জটিল হিসেবে ব্যস্ত। মানুষকে বাঁচাতে না পারার জন্য যে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত আর বিষণ্ন দেখেছি আপনাদের, অন্য কাউকে সেটা দেখা যায়নি। আপনাদের ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে। যারা আমাদের জীবন সহজ করে দেন, আমাদের অন্তর্গত বিষণ্নতা কিছুটা হলেও নিজেদের কাঁধে নিয়ে আমাদের হালকা রাখেন, আমাদের একটা নতুন ভোরের সন্ধান দেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ।
সুনতে হ্যাঁয় বেহিশত কি তারিফ সব দুরস্ত
লেকিন খুদা করে ও তেরা জলওয়াগাহ হো
-মির্জা গালিব
.
স্বর্গের যত তারিফ শুনি সব সত্যি
কিন্তু খোদা করুন, সেখানে যেন তোমাকে দেখতে পাই
অনুবাদ: জাভেদ হুসেন/মির্জা গালিবের গজল/ ২০১৯
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
৮ ঘণ্টা আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
৮ ঘণ্টা আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
৯ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের দিন। সংক্ষেপে মে দিবসের ইতিহাস বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ঘটা শ্রমিক আন্দোলনের কথা বলতে হবে। এই জায়গায় ১৮৮৬ সালের ১ মে দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে