অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু আমরা এমন একটা সময় পার করছি, যখন অনেকের জীবন থেকেই এই আনন্দ শব্দটা বিদায় নিয়েছে। করোনায় বহু মানুষ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। অনেকেই নানা দুঃখ–দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমি অনুরোধ করব, যারা কোরবানি দিচ্ছেন, তাঁরা মাংস গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বেশি করে বিতরণ করুন।
করোনা সংকটে এখন জনজীবন বিপর্যস্ত। বহু মানুষ অভাব অনটনে আছে। এই মাংস তাদের জন্য একটা বড় আশীর্বাদ হবে এবং করোনাকালে তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারবে। পশু কোরবানি এবং মাংস বিতরণ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ঈদের আনন্দে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ঢিলেমি করলে চলবে না। অনেকেই ঈদে গ্রামে গেছেন। সবাইকে আমি বলব—যথাযথভাবে মাস্ক পরতে। এই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে আমাদের দেশে একটা কঠোর আইন দরকার।
আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেকে সচেতনতা থেকেই মাস্ক পরছেন। আবার অনেকে মাস্ক পরা নিয়ে হাসি–ঠাট্টা করছেন। এগুলো করে তাঁরা নিজে তো বিপদে পড়ছেনই, অন্যকেও বিপদে ফেলছেন। প্রত্যেককে সঠিকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে দেশে একটা কঠোর আইন এখন সময়ের দাবি।
স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নাই। এটা আমাদের বুঝতে হবে। দেশে নতুন করে টিকাও আসছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা নিয়ে নিতে হবে। অনেকেই ভাবছেন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, টিকা নেওয়ার আর দরকার নেই। অনেকে আবার টিকা নিতে ভয় পান। টিকা নিয়ে অনেকের নানা সন্দেহও আছে। কিন্তু এগুলো সব ভ্রান্ত ধারণা। যত দ্রুত পারা যায় সবার টিকা নেওয়া উচিত, সেটা যে দেশের টিকাই হোক না কেন।
ঈদের এই সময়ে করোনা নিয়ে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি কোরবানির মাংস খাওয়া নিয়েও সতর্ক হতে হবে। যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, তারা কোরবানির মাংস খেতে পারেন, তবে খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক হবে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে এবার কোরবানি হচ্ছে একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। বহু মানুষ এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। এই বাস্তবতায় কোরবানির মাধ্যমে মানবতার সেবা করা যেতে পারে। আমরা ফ্রিজে মাংস জমা না রেখে যদি মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিই, তাহলে কিছুটা হলেও তাদের দুর্দশা লাঘব হবে।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু আমরা এমন একটা সময় পার করছি, যখন অনেকের জীবন থেকেই এই আনন্দ শব্দটা বিদায় নিয়েছে। করোনায় বহু মানুষ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। অনেকেই নানা দুঃখ–দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমি অনুরোধ করব, যারা কোরবানি দিচ্ছেন, তাঁরা মাংস গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বেশি করে বিতরণ করুন।
করোনা সংকটে এখন জনজীবন বিপর্যস্ত। বহু মানুষ অভাব অনটনে আছে। এই মাংস তাদের জন্য একটা বড় আশীর্বাদ হবে এবং করোনাকালে তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারবে। পশু কোরবানি এবং মাংস বিতরণ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ঈদের আনন্দে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ঢিলেমি করলে চলবে না। অনেকেই ঈদে গ্রামে গেছেন। সবাইকে আমি বলব—যথাযথভাবে মাস্ক পরতে। এই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে আমাদের দেশে একটা কঠোর আইন দরকার।
আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেকে সচেতনতা থেকেই মাস্ক পরছেন। আবার অনেকে মাস্ক পরা নিয়ে হাসি–ঠাট্টা করছেন। এগুলো করে তাঁরা নিজে তো বিপদে পড়ছেনই, অন্যকেও বিপদে ফেলছেন। প্রত্যেককে সঠিকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে দেশে একটা কঠোর আইন এখন সময়ের দাবি।
স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নাই। এটা আমাদের বুঝতে হবে। দেশে নতুন করে টিকাও আসছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা নিয়ে নিতে হবে। অনেকেই ভাবছেন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, টিকা নেওয়ার আর দরকার নেই। অনেকে আবার টিকা নিতে ভয় পান। টিকা নিয়ে অনেকের নানা সন্দেহও আছে। কিন্তু এগুলো সব ভ্রান্ত ধারণা। যত দ্রুত পারা যায় সবার টিকা নেওয়া উচিত, সেটা যে দেশের টিকাই হোক না কেন।
ঈদের এই সময়ে করোনা নিয়ে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি কোরবানির মাংস খাওয়া নিয়েও সতর্ক হতে হবে। যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, তারা কোরবানির মাংস খেতে পারেন, তবে খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক হবে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে এবার কোরবানি হচ্ছে একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। বহু মানুষ এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। এই বাস্তবতায় কোরবানির মাধ্যমে মানবতার সেবা করা যেতে পারে। আমরা ফ্রিজে মাংস জমা না রেখে যদি মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিই, তাহলে কিছুটা হলেও তাদের দুর্দশা লাঘব হবে।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক গভীর রূপান্তরের ভেতর দিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলের পরিণতিতে যখন দেশে একধরনের দমন-পীড়ন ও এককেন্দ্রিক ক্ষমতার গঠন স্পষ্ট হয়ে উঠছিল, তখন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ মিলে গড়ে তোলে এক অভাবিত প্রতিরোধ,
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে আমাদের অর্জন কী, সে প্রশ্ন আজ সবার। জুলাই আন্দোলনের সময় কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য না থাকলেও শেখ হাসিনার পতনের পর মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল—রাষ্ট্রের যে পদ্ধতি শাসককে কর্তৃত্বপরায়ণ, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্টে পরিণত করে, সেই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত সোমবার বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে
১৮ ঘণ্টা আগেলুটপাটের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর দলবল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়েছিলেন সম্পদ লুণ্ঠনের অধিকার। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে রয়ে গেছে লুটেরা সিন্ডিকেট। গণমাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখল
১ দিন আগে