অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার খুবই অযৌক্তিক কাজ করেছে। এটা ৯০ শতাংশ মানুষের জন্য বড় আঘাত হবে। কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এমনিতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষকদের যে উৎপাদন ব্যয় হয়, কৃষকেরা সঠিকভাবে তা পান না। এতে কৃষিপণ্যের দামও বাড়বে। তেলের দামের প্রভাব পড়বে পরিবহন খাতেও।
যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহনে ব্যয় বাড়বে।
কিছুদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম বেশি। বেশি আয়ের মানুষ ছাড়া বাকি সবাই জিনিসপত্রের বাড়তি দামে এমনিতে কাহিল। তা ছাড়া, গত দেড়-দুই বছরে করোনার
কারণে অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারের আয় কমেছে। অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। করোনার মধ্যে মানুষের সংকট নিরসনেও সরকারের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। সরকার প্রণোদনার প্যাকেজ দিয়েছে, এটা পেয়েছে দেশের বড় ব্যবসায়ীরা। সাধারণভাবে যে মানুষেরা কর্মহীন, আয়হীন, তাঁরা পাননি। সেই সংকটকে মোকাবিলা করে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন ডিজেল, কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সরকার বড় ধরনের আঘাত করেছে। এটা সামাল দিয়ে মানুষের পক্ষে জীবনধারণ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
বাস-ট্রাক মালিকেরা ধর্মঘট করছেন; তাঁদের দাবি ভাড়া বাড়াতে হবে, নইলে তেলের দাম কমাতে হবে। ডিজেলের দাম প্রত্যাহার না করে সরকার ভাড়া বাড়াবে। ভাড়া বাড়ানোর যতটা অনুমতি পাবে, তার চেয়ে বেশি ভাড়া বাড়াবে। উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় যতটা বাড়বে তার চেয়ে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকারের যে আয় বাড়বে, তার চেয়ে বহু গুণ বেশি বোঝা মানুষের ঘাড়ে এসে পড়বে। মানুষের ভালোমন্দ দেখার ইচ্ছা যদি সরকারের থাকত, তাহলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল, তখন সরকার দাম কমায়নি। এখন তেলের দাম একটু বাড়তির দিকে, তবে এমন অবস্থা না যে তেলের দাম বাড়াতেই হবে। সরকার অনেক শুল্ক পায়, শুল্ক একটু কমালেই সমন্বয় করা সম্ভব হতো।
তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার খুবই অযৌক্তিক কাজ করেছে। এটা ৯০ শতাংশ মানুষের জন্য বড় আঘাত হবে। কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এমনিতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষকদের যে উৎপাদন ব্যয় হয়, কৃষকেরা সঠিকভাবে তা পান না। এতে কৃষিপণ্যের দামও বাড়বে। তেলের দামের প্রভাব পড়বে পরিবহন খাতেও।
যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহনে ব্যয় বাড়বে।
কিছুদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম বেশি। বেশি আয়ের মানুষ ছাড়া বাকি সবাই জিনিসপত্রের বাড়তি দামে এমনিতে কাহিল। তা ছাড়া, গত দেড়-দুই বছরে করোনার
কারণে অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারের আয় কমেছে। অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। করোনার মধ্যে মানুষের সংকট নিরসনেও সরকারের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। সরকার প্রণোদনার প্যাকেজ দিয়েছে, এটা পেয়েছে দেশের বড় ব্যবসায়ীরা। সাধারণভাবে যে মানুষেরা কর্মহীন, আয়হীন, তাঁরা পাননি। সেই সংকটকে মোকাবিলা করে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন ডিজেল, কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সরকার বড় ধরনের আঘাত করেছে। এটা সামাল দিয়ে মানুষের পক্ষে জীবনধারণ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
বাস-ট্রাক মালিকেরা ধর্মঘট করছেন; তাঁদের দাবি ভাড়া বাড়াতে হবে, নইলে তেলের দাম কমাতে হবে। ডিজেলের দাম প্রত্যাহার না করে সরকার ভাড়া বাড়াবে। ভাড়া বাড়ানোর যতটা অনুমতি পাবে, তার চেয়ে বেশি ভাড়া বাড়াবে। উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় যতটা বাড়বে তার চেয়ে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকারের যে আয় বাড়বে, তার চেয়ে বহু গুণ বেশি বোঝা মানুষের ঘাড়ে এসে পড়বে। মানুষের ভালোমন্দ দেখার ইচ্ছা যদি সরকারের থাকত, তাহলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল, তখন সরকার দাম কমায়নি। এখন তেলের দাম একটু বাড়তির দিকে, তবে এমন অবস্থা না যে তেলের দাম বাড়াতেই হবে। সরকার অনেক শুল্ক পায়, শুল্ক একটু কমালেই সমন্বয় করা সম্ভব হতো।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচিত সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনা করবে—এ রকম বিশ্বাস নানা কারণেই দোদুল্যমান হয়ে উঠছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন শর্ত আরোপ করায় নির্বাচন নিয়ে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেকয়েক সপ্তাহ থেকে ফেসবুক খুললে কম বয়সী দুটি ছেলের গান শুনতে পাচ্ছি। একজন গাইছে আর একজন তবলা বাজাচ্ছে। তারা দুই ভাই হবে—চেহারা দেখে সেটা অনুমান করা যায়। বড় ভাই গাইছে। কী অসম্ভব ভালো গলা! ভালো মানে, কণ্ঠে যেমন সুর আছে, তেমনি কণ্ঠের চর্চা আছে।
১৫ ঘণ্টা আগেকারাগারে বন্দীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও সেখানে সেই কারাবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এই অবৈধ লেনদেন দেশের কারাগারে অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে।
১৫ ঘণ্টা আগেড. কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি করেছেন। হামবোল্ট রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২ দিন আগে