নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে বেসরকারি খাতে। এতে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নতুন অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ২০২২-২৩ ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আর সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বিদায়ী অর্থবছরের জুন পর্যন্ত ছিল ৩২ দশমিক ৬ শতাংশ।
এতে নতুন বিনিয়োগের দরজা সংকুচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বিনিয়োগ কমলে বেসরকারি খাতে উৎপাদনে টান পড়তে পারে, যা এ খাতে কর্মসংস্থান হ্রাসের আশঙ্কা সৃষ্টি করবে। এর ফলে বেকারদের জন্য নতুন চাকরি সৃষ্টির সুযোগ সংকুচিত হবে, যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর।
মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহ ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ, যা কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সীমার সমষ্টির তুলনায় খানিকটা কম। এটি ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৫ শতাংশ।’ তিনি বলেন, করোনার বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে অর্থপ্রবাহ টানা দুই বছর কমলেও ২০২২-এ বেড়েছে। সেই সঙ্গে দেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা থাকলেও এগুলোর প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের তুলনায় কম হতে পারে। অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর আমদানি ব্যয়ের ভিত্তি এরই মধ্যে অনেকটা বড় বলে সার্বিক লেনদেনের স্থিতি ঋণাত্মক হওয়ায় ব্যাংকিং খাতের নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফজলে কবির বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হবে টাকার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক মান; অর্থাৎ, মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখা। একই সঙ্গে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখাও আসন্ন মুদ্রানীতির জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনো আপস করবে না। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হচ্ছে।’ এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ, পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নতুন করোনা প্রাদুর্ভাব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত চাপ ইত্যাদি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণে মনোযোগ দিতে হবে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ থাকা উচিত। এ জন্য বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি করা দরকার, যাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় এবং বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।’
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে বেসরকারি খাতে। এতে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নতুন অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ২০২২-২৩ ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আর সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বিদায়ী অর্থবছরের জুন পর্যন্ত ছিল ৩২ দশমিক ৬ শতাংশ।
এতে নতুন বিনিয়োগের দরজা সংকুচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বিনিয়োগ কমলে বেসরকারি খাতে উৎপাদনে টান পড়তে পারে, যা এ খাতে কর্মসংস্থান হ্রাসের আশঙ্কা সৃষ্টি করবে। এর ফলে বেকারদের জন্য নতুন চাকরি সৃষ্টির সুযোগ সংকুচিত হবে, যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর।
মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহ ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ, যা কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সীমার সমষ্টির তুলনায় খানিকটা কম। এটি ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৫ শতাংশ।’ তিনি বলেন, করোনার বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে অর্থপ্রবাহ টানা দুই বছর কমলেও ২০২২-এ বেড়েছে। সেই সঙ্গে দেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা থাকলেও এগুলোর প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের তুলনায় কম হতে পারে। অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর আমদানি ব্যয়ের ভিত্তি এরই মধ্যে অনেকটা বড় বলে সার্বিক লেনদেনের স্থিতি ঋণাত্মক হওয়ায় ব্যাংকিং খাতের নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফজলে কবির বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হবে টাকার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক মান; অর্থাৎ, মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখা। একই সঙ্গে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখাও আসন্ন মুদ্রানীতির জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনো আপস করবে না। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হচ্ছে।’ এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ, পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নতুন করোনা প্রাদুর্ভাব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত চাপ ইত্যাদি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণে মনোযোগ দিতে হবে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ থাকা উচিত। এ জন্য বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি করা দরকার, যাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় এবং বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।’
দেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
১ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
১ ঘণ্টা আগেদেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ আইনে অপরাধের বিচারে আদালত রয়েছে মাত্র ১৯টি। সব জেলায় আদালত না থাকায় এক জেলার গ্রাহকদের মামলাসংক্রান্ত কাজে যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। আদালতের সংখ্যা কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে মামলাজটে। সমস্যার সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আইন...
২ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়া সহজ করতে ১০-১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। মূল তালিকা থেকে কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর কেউ চাকরি ছাড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ
২ ঘণ্টা আগে