ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস আজ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ লাখের বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। প্রতিদিন এই বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন গাড়ি। একই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও; অথচ সড়ক বাড়েনি। শহরের মোট ভূমির মাত্র ৭ শতাংশ রাস্তাঘাট। এর মধ্যে গণপরিবহন উপযোগী সড়ক মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি অল্প যাত্রী বহন করলেও সড়কের বড় অংশ দখল করছে। এর ফলে যানজটের পাশাপাশি বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মানুষকে আধুনিক গণপরিবহনব্যবস্থা এবং হাঁটার জন্য ফুটপাত দিতে হবে; যাতে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনে আকৃষ্ট হয় এবং সহজে হাঁটতে পারে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেট কার (ব্যক্তিগত গাড়ি) আছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩টি। ২০১০ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। অর্থাৎ গত প্রায় ১৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে প্রাইভেট কার। এদিকে সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বর্তমানে ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৮টি, যেখানে ২০১০ সালের আগে তা ছিল মাত্র ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। অর্থাৎ ৬ গুণের বেশি বেড়েছে মোটরসাইকেল। নিবন্ধিত প্রাইভেট কারের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২২৬টিই ঢাকায়। রাজধানীতে মোটরসাইকেল রয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৪টি।
ঢাকার বেশ কিছু পরিবারে প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি বা তারও বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার কথা জানা যায়। কোনো কোনো বাড়িতে কাজের লোকের জন্যও পৃথক গাড়ি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ির এই ধরনের অপব্যবহারই রাজধানীতে বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে রিকশার কারণে ৬৪ শতাংশ যানজট সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে ২৯ শতাংশ, বাসের কারণে ৫ শতাংশ এবং তিন চাকার গাড়ির কারণে ২ শতাংশ যানজট হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালের জাতীয় পরিবহন নীতিমালায় ব্যক্তিগত গাড়ি কমানো এবং গণপরিবহন বাড়ানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে হাঁটা, সাইকেল কিংবা গণপরিবহন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছিল। ২০১৬ সাল থেকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমাজ ও স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, রিকশায় ৪০ শতাংশ, বাসে ৩০ শতাংশ, প্রাইভেট কার ও থ্রি-হুইলারে ৫ শতাংশ করে যাত্রী চলাচল করে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি কমালে গণপরিবহনের দরকার হবে। কিন্তু এখনো আমরা উন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। একই সঙ্গে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করা যেতে পারে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘সরকার অনেকবার বলেছে, একটি পরিবারে দুটির বেশি গাড়ি অনুমোদন দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা কখনোই কার্যকর হয়নি। বরং সরকারি পর্যায়ে কর্মকর্তাদের গাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ না করে প্রণোদনামূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সড়কে কতসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কত গণপরিবহন চলবে, এ ব্যাপারেও কোনো সুস্পষ্ট নীতি সরকার নির্ধারণ করতে পারেনি।’

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ লাখের বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। প্রতিদিন এই বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন গাড়ি। একই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও; অথচ সড়ক বাড়েনি। শহরের মোট ভূমির মাত্র ৭ শতাংশ রাস্তাঘাট। এর মধ্যে গণপরিবহন উপযোগী সড়ক মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি অল্প যাত্রী বহন করলেও সড়কের বড় অংশ দখল করছে। এর ফলে যানজটের পাশাপাশি বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মানুষকে আধুনিক গণপরিবহনব্যবস্থা এবং হাঁটার জন্য ফুটপাত দিতে হবে; যাতে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনে আকৃষ্ট হয় এবং সহজে হাঁটতে পারে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেট কার (ব্যক্তিগত গাড়ি) আছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩টি। ২০১০ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। অর্থাৎ গত প্রায় ১৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে প্রাইভেট কার। এদিকে সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বর্তমানে ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৮টি, যেখানে ২০১০ সালের আগে তা ছিল মাত্র ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। অর্থাৎ ৬ গুণের বেশি বেড়েছে মোটরসাইকেল। নিবন্ধিত প্রাইভেট কারের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২২৬টিই ঢাকায়। রাজধানীতে মোটরসাইকেল রয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৪টি।
ঢাকার বেশ কিছু পরিবারে প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি বা তারও বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার কথা জানা যায়। কোনো কোনো বাড়িতে কাজের লোকের জন্যও পৃথক গাড়ি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ির এই ধরনের অপব্যবহারই রাজধানীতে বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে রিকশার কারণে ৬৪ শতাংশ যানজট সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে ২৯ শতাংশ, বাসের কারণে ৫ শতাংশ এবং তিন চাকার গাড়ির কারণে ২ শতাংশ যানজট হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালের জাতীয় পরিবহন নীতিমালায় ব্যক্তিগত গাড়ি কমানো এবং গণপরিবহন বাড়ানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে হাঁটা, সাইকেল কিংবা গণপরিবহন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছিল। ২০১৬ সাল থেকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমাজ ও স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, রিকশায় ৪০ শতাংশ, বাসে ৩০ শতাংশ, প্রাইভেট কার ও থ্রি-হুইলারে ৫ শতাংশ করে যাত্রী চলাচল করে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি কমালে গণপরিবহনের দরকার হবে। কিন্তু এখনো আমরা উন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। একই সঙ্গে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করা যেতে পারে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘সরকার অনেকবার বলেছে, একটি পরিবারে দুটির বেশি গাড়ি অনুমোদন দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা কখনোই কার্যকর হয়নি। বরং সরকারি পর্যায়ে কর্মকর্তাদের গাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ না করে প্রণোদনামূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সড়কে কতসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কত গণপরিবহন চলবে, এ ব্যাপারেও কোনো সুস্পষ্ট নীতি সরকার নির্ধারণ করতে পারেনি।’
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস আজ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ লাখের বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। প্রতিদিন এই বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন গাড়ি। একই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও; অথচ সড়ক বাড়েনি। শহরের মোট ভূমির মাত্র ৭ শতাংশ রাস্তাঘাট। এর মধ্যে গণপরিবহন উপযোগী সড়ক মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি অল্প যাত্রী বহন করলেও সড়কের বড় অংশ দখল করছে। এর ফলে যানজটের পাশাপাশি বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মানুষকে আধুনিক গণপরিবহনব্যবস্থা এবং হাঁটার জন্য ফুটপাত দিতে হবে; যাতে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনে আকৃষ্ট হয় এবং সহজে হাঁটতে পারে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেট কার (ব্যক্তিগত গাড়ি) আছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩টি। ২০১০ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। অর্থাৎ গত প্রায় ১৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে প্রাইভেট কার। এদিকে সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বর্তমানে ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৮টি, যেখানে ২০১০ সালের আগে তা ছিল মাত্র ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। অর্থাৎ ৬ গুণের বেশি বেড়েছে মোটরসাইকেল। নিবন্ধিত প্রাইভেট কারের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২২৬টিই ঢাকায়। রাজধানীতে মোটরসাইকেল রয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৪টি।
ঢাকার বেশ কিছু পরিবারে প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি বা তারও বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার কথা জানা যায়। কোনো কোনো বাড়িতে কাজের লোকের জন্যও পৃথক গাড়ি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ির এই ধরনের অপব্যবহারই রাজধানীতে বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে রিকশার কারণে ৬৪ শতাংশ যানজট সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে ২৯ শতাংশ, বাসের কারণে ৫ শতাংশ এবং তিন চাকার গাড়ির কারণে ২ শতাংশ যানজট হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালের জাতীয় পরিবহন নীতিমালায় ব্যক্তিগত গাড়ি কমানো এবং গণপরিবহন বাড়ানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে হাঁটা, সাইকেল কিংবা গণপরিবহন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছিল। ২০১৬ সাল থেকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমাজ ও স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, রিকশায় ৪০ শতাংশ, বাসে ৩০ শতাংশ, প্রাইভেট কার ও থ্রি-হুইলারে ৫ শতাংশ করে যাত্রী চলাচল করে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি কমালে গণপরিবহনের দরকার হবে। কিন্তু এখনো আমরা উন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। একই সঙ্গে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করা যেতে পারে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘সরকার অনেকবার বলেছে, একটি পরিবারে দুটির বেশি গাড়ি অনুমোদন দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা কখনোই কার্যকর হয়নি। বরং সরকারি পর্যায়ে কর্মকর্তাদের গাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ না করে প্রণোদনামূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সড়কে কতসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কত গণপরিবহন চলবে, এ ব্যাপারেও কোনো সুস্পষ্ট নীতি সরকার নির্ধারণ করতে পারেনি।’

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ লাখের বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। প্রতিদিন এই বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন গাড়ি। একই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও; অথচ সড়ক বাড়েনি। শহরের মোট ভূমির মাত্র ৭ শতাংশ রাস্তাঘাট। এর মধ্যে গণপরিবহন উপযোগী সড়ক মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি অল্প যাত্রী বহন করলেও সড়কের বড় অংশ দখল করছে। এর ফলে যানজটের পাশাপাশি বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মানুষকে আধুনিক গণপরিবহনব্যবস্থা এবং হাঁটার জন্য ফুটপাত দিতে হবে; যাতে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনে আকৃষ্ট হয় এবং সহজে হাঁটতে পারে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেট কার (ব্যক্তিগত গাড়ি) আছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩টি। ২০১০ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। অর্থাৎ গত প্রায় ১৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে প্রাইভেট কার। এদিকে সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বর্তমানে ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৮টি, যেখানে ২০১০ সালের আগে তা ছিল মাত্র ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। অর্থাৎ ৬ গুণের বেশি বেড়েছে মোটরসাইকেল। নিবন্ধিত প্রাইভেট কারের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২২৬টিই ঢাকায়। রাজধানীতে মোটরসাইকেল রয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৪টি।
ঢাকার বেশ কিছু পরিবারে প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি বা তারও বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার কথা জানা যায়। কোনো কোনো বাড়িতে কাজের লোকের জন্যও পৃথক গাড়ি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ির এই ধরনের অপব্যবহারই রাজধানীতে বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে রিকশার কারণে ৬৪ শতাংশ যানজট সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে ২৯ শতাংশ, বাসের কারণে ৫ শতাংশ এবং তিন চাকার গাড়ির কারণে ২ শতাংশ যানজট হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালের জাতীয় পরিবহন নীতিমালায় ব্যক্তিগত গাড়ি কমানো এবং গণপরিবহন বাড়ানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে হাঁটা, সাইকেল কিংবা গণপরিবহন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছিল। ২০১৬ সাল থেকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমাজ ও স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’।
বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, রিকশায় ৪০ শতাংশ, বাসে ৩০ শতাংশ, প্রাইভেট কার ও থ্রি-হুইলারে ৫ শতাংশ করে যাত্রী চলাচল করে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি কমালে গণপরিবহনের দরকার হবে। কিন্তু এখনো আমরা উন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। একই সঙ্গে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করা যেতে পারে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘সরকার অনেকবার বলেছে, একটি পরিবারে দুটির বেশি গাড়ি অনুমোদন দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা কখনোই কার্যকর হয়নি। বরং সরকারি পর্যায়ে কর্মকর্তাদের গাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ না করে প্রণোদনামূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সড়কে কতসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কত গণপরিবহন চলবে, এ ব্যাপারেও কোনো সুস্পষ্ট নীতি সরকার নির্ধারণ করতে পারেনি।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৪২ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৪২ মিনিট আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের কর্মচারী নন, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করতে পারেন। এখানে কোনো অ্যাম্বিগুইটির (অস্পষ্টতা) কিছু নেই। এটা সেটেল ল।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, ততক্ষণ রাষ্ট্রের আইনজীবী। দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করেছি। এর বাইরে না, এর ওপরে-নিচে কোনো জায়গায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মনে করে, সরকারের কোনো অ্যাকশন ডিফেন্ডেবল না, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর; আমি সেই সরকারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারি—দ্যাট ইজ ল।’
এর আগে গতকাল বুধবার পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের কর্মচারী নন, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করতে পারেন। এখানে কোনো অ্যাম্বিগুইটির (অস্পষ্টতা) কিছু নেই। এটা সেটেল ল।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, ততক্ষণ রাষ্ট্রের আইনজীবী। দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করেছি। এর বাইরে না, এর ওপরে-নিচে কোনো জায়গায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মনে করে, সরকারের কোনো অ্যাকশন ডিফেন্ডেবল না, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর; আমি সেই সরকারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারি—দ্যাট ইজ ল।’
এর আগে গতকাল বুধবার পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৪২ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পুলিশ সদর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো আইডিতে পরিচিত ব্যক্তির ছবি থাকলেই সেটি তাঁর নিজের নম্বর—এমন ধারণা করা ঠিক নয়। এ ধরনের বার্তায় প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। এ ধরনের প্রতারণায় কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পুলিশ সদর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো আইডিতে পরিচিত ব্যক্তির ছবি থাকলেই সেটি তাঁর নিজের নম্বর—এমন ধারণা করা ঠিক নয়। এ ধরনের বার্তায় প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। এ ধরনের প্রতারণায় কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যক্তিগত গাড়ি কমানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৪২ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে