নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব সময় হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো বা কমানো হয়। দাম বাড়া-কমার আগাম খবরে কেউ যাতে বিশেষ সুবিধা নিতে না পারেন সে জন্য এভাবে দাম বাড়ায় সরকার। এবার একই পদ্ধতিতে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর ডিজেলচালিত যাত্রী পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ব্যক্তিদের গাফিলতি ছিল। আর পরিবহন মালিক-শ্রমিকনেতারা সেই সুযোগ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে বেশি ভাড়া বাড়াতে ধর্মঘট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনিছুর রহমান মনে করেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর এটি সমন্বয়ের দায়িত্ব যাঁদের ওপর ছিল, তাঁরা সেই উদ্যোগ নেননি। তাঁদের পক্ষ থেকে অন্তত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরিবহন ধর্মঘট হতো না। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার দাবি করেছেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর তাঁরা বৈঠকে বসার চেষ্টা করলেও পরিবহন মালিকেরা সময় না দেওয়ায় সেই বৈঠক হয়নি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৩ নভেম্বর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার কথা জানায়। পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এর ব্যাখ্যায় বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে তার প্রতিফলন ঘটবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা এভাবে ধর্মঘটে যাবেন, তা আমাদের ভাবনায় ছিল না। আমরা মনে করেছিলাম পরিবহন খাতের নেতারা ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানালে আমরা আলোচনায় বসব। কিন্তু এবার তাঁরা সেই সুযোগ দেননি। ফলে তিন দিন জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।’
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর এটি সমন্বয়ের দায়িত্ব যাঁদের ওপর ছিল, তাঁরা সেই উদ্যোগ নেননি। তাঁদের পক্ষ থেকে অন্তত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরিবহন ধর্মঘট হতো না।
মো. আনিছুর রহমান জ্যেষ্ঠ সচিব
জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনিছুর রহমান মনে করেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর এটি সমন্বয়ে যাঁদের উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল, ঠিক সময় তাঁরা তা করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, যাঁদের দায়িত্ব ছিল তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিতে পারতেন। বুধবার রাতে ডিজেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর যাঁদের দায়িত্ব ছিল তাঁরা সময় পেয়েছেন।
তাঁরা চাইলে বৃহস্পতিবারই উদ্যোগ নিতে পারতেন। সেটি করতে না পারলে পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ের আশ্বাস দিতে পারতেন। কেন সেটি হয়নি, সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন।
আনিছুর রহমান বলেন, গত ৫০ বছরে এভাবেই জ্বালানির দাম বাড়ানো বা কমানো হয়েছে। যখন দাম বাড়ানো বা কমানো হয়, তখনই এটি কার্যকরে তারিখও বলে দেওয়া হয়। নইলে এর সুফল পাওয়া যায় না। অনেকে স্টক করে বা পাচারের আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই জানান দিয়ে কখনোই জ্বালানির দাম বাড়ানো বা কমানো হয় না।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে প্রস্তাব তৈরি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে পাঠাই। এই বিভাগ থেকে তা অনুমোদন দেওয়ার পর সার্কুলার ইস্যু করা হয়। ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়লে অবশ্যই পরিবহনের ভাড়া বাড়াতে হবে। এই সহজ সমীকরণ সময়মতো আমলে না নেওয়ায় পরিবহন খাতের নেতারা সেটি লুফে নিয়েছেন। সমন্বয়ের উদ্যোগটা আরও সময়মতো নিলে মানুষের ভোগান্তি হতো না।’
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন মালিকেরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে জনদুর্ভোগের ধর্মঘট কর্মসূচি দিয়েছেন। পরিবহনের ভাড়া বেশি করতেই তাঁরা এভাবে ধর্মঘট করেছেন। করোনা মহামারির মধ্যে মানুষ এমনিতেই বেশ বিপাকে আছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর সরকার সময়মতো উদ্যোগ নিয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সরকারের গাফিলতির জন্যই সাধারণ মানুষকে তিন দিন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
সব সময় হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো বা কমানো হয়। দাম বাড়া-কমার আগাম খবরে কেউ যাতে বিশেষ সুবিধা নিতে না পারেন সে জন্য এভাবে দাম বাড়ায় সরকার। এবার একই পদ্ধতিতে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর ডিজেলচালিত যাত্রী পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ব্যক্তিদের গাফিলতি ছিল। আর পরিবহন মালিক-শ্রমিকনেতারা সেই সুযোগ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে বেশি ভাড়া বাড়াতে ধর্মঘট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনিছুর রহমান মনে করেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর এটি সমন্বয়ের দায়িত্ব যাঁদের ওপর ছিল, তাঁরা সেই উদ্যোগ নেননি। তাঁদের পক্ষ থেকে অন্তত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরিবহন ধর্মঘট হতো না। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার দাবি করেছেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর তাঁরা বৈঠকে বসার চেষ্টা করলেও পরিবহন মালিকেরা সময় না দেওয়ায় সেই বৈঠক হয়নি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৩ নভেম্বর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার কথা জানায়। পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এর ব্যাখ্যায় বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে তার প্রতিফলন ঘটবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা এভাবে ধর্মঘটে যাবেন, তা আমাদের ভাবনায় ছিল না। আমরা মনে করেছিলাম পরিবহন খাতের নেতারা ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানালে আমরা আলোচনায় বসব। কিন্তু এবার তাঁরা সেই সুযোগ দেননি। ফলে তিন দিন জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।’
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর এটি সমন্বয়ের দায়িত্ব যাঁদের ওপর ছিল, তাঁরা সেই উদ্যোগ নেননি। তাঁদের পক্ষ থেকে অন্তত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরিবহন ধর্মঘট হতো না।
মো. আনিছুর রহমান জ্যেষ্ঠ সচিব
জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনিছুর রহমান মনে করেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর এটি সমন্বয়ে যাঁদের উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল, ঠিক সময় তাঁরা তা করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, যাঁদের দায়িত্ব ছিল তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিতে পারতেন। বুধবার রাতে ডিজেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর যাঁদের দায়িত্ব ছিল তাঁরা সময় পেয়েছেন।
তাঁরা চাইলে বৃহস্পতিবারই উদ্যোগ নিতে পারতেন। সেটি করতে না পারলে পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ের আশ্বাস দিতে পারতেন। কেন সেটি হয়নি, সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন।
আনিছুর রহমান বলেন, গত ৫০ বছরে এভাবেই জ্বালানির দাম বাড়ানো বা কমানো হয়েছে। যখন দাম বাড়ানো বা কমানো হয়, তখনই এটি কার্যকরে তারিখও বলে দেওয়া হয়। নইলে এর সুফল পাওয়া যায় না। অনেকে স্টক করে বা পাচারের আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই জানান দিয়ে কখনোই জ্বালানির দাম বাড়ানো বা কমানো হয় না।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে প্রস্তাব তৈরি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে পাঠাই। এই বিভাগ থেকে তা অনুমোদন দেওয়ার পর সার্কুলার ইস্যু করা হয়। ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়লে অবশ্যই পরিবহনের ভাড়া বাড়াতে হবে। এই সহজ সমীকরণ সময়মতো আমলে না নেওয়ায় পরিবহন খাতের নেতারা সেটি লুফে নিয়েছেন। সমন্বয়ের উদ্যোগটা আরও সময়মতো নিলে মানুষের ভোগান্তি হতো না।’
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন মালিকেরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে জনদুর্ভোগের ধর্মঘট কর্মসূচি দিয়েছেন। পরিবহনের ভাড়া বেশি করতেই তাঁরা এভাবে ধর্মঘট করেছেন। করোনা মহামারির মধ্যে মানুষ এমনিতেই বেশ বিপাকে আছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর সরকার সময়মতো উদ্যোগ নিয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সরকারের গাফিলতির জন্যই সাধারণ মানুষকে তিন দিন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ১২ তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এছাড়াও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেআইএসপিআর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘Let’s Move’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই র্যালির মূল লক্ষ্য ছিল ক্রীড়াবিদ ও সর্বস্তরের মানুষকে শরীরচর্চা ও ক্রীড়ায় উৎসাহিত করা এবং অন্যদেরও এতে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করা।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে সারাদেশে চালানো গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন ও কাতার গতকাল সোমবার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে এসব গন্তব্যে পরিচালিত বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সময়সূচি ও রুটে হঠাৎ পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলো।
৩ ঘণ্টা আগে