বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠন করে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং বাকি ক্যাডারগুলোর কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সব সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ‘এসইএসে’ নিয়োগ পেতে পারবেন।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটির নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব সার্ভিস থেকে মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সচিবালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে একটি ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) ’ গঠনের সুপারিশ করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সচিবালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে বিভিন্ন সার্ভিস কর্মকর্তাদের নিয়োগ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে। সিভিল সার্ভিস কাঠামো পিরামিডের মতো, তাই শীর্ষ পদে সবার যাওয়ার সুযোগ রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে উচ্চতর পদগুলোতে আরোহণের সুযোগ দেওয়ায় যুক্তিসংগত। বিশ্বের বহু দেশেই এ নীতি অনুসরণ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠিত হতে পারে। সব সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ভিত্তিতে এসইএস এ নিয়োগ করা হলে একদিকে মেধার প্রাধান্য নিশ্চিত হবে অপরদিকে আন্তসার্ভিস অসমতা দূর হবে।
বর্তমানে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব সার্ভিসের সমতা বজায় রাখার স্বার্থে এবং জনপ্রশাসনের উচ্চতর পদে মেধাবীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন প্রশাসনিক সার্ভিসের ৭৫ শতাংশ কোটা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার বিষয়টি অধিকতর যৌক্তিক মনে করছে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ পদ অন্যান্য সার্ভিসের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলার রায় ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির আইনগত দিক পরীক্ষা করে দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
কোনো কর্মকর্তা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৫০ শতাংশ কোটার কোনো একটি গ্রুপের পদ পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে কোনো গ্রুপের প্রার্থীকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে প্রতি বছর একবার করে আলাদাভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা dear সুপারিশ করে কমিশন বলেছে, প্রশ্নপত্র ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রতিভা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে কেউ একবার উত্তীর্ণ না হতে পারলে তিনি পরের ব্যাচে পরীক্ষা আরেকবার দিতে পারবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যে কোনো সার্ভিসের সিনিয়র স্কেলপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসইএস-এর উপসচিব পদের জন্য আবেদন করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষায় পাস মার্ক ৭০ শতাংশ, বার্ষিক পারফরমেন্স প্রতিবেদন ১৫ শতাংশ এবং বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ ১৫ শতাংশ মার্ক নির্ধারণ করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)-এ প্রবেশের পর সিনিয়রিটি নির্ধারিত হবে সম্মিলিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম অনুসারে। কোনো বিশেষায়িত সার্ভিসের কোনো কর্মকর্তা একবার ‘সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস’ এ প্রবেশের পর তিনি আর তাঁর পূর্বতন সার্ভিসে ফেরত যেতে পারবেন না। এসইএস পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে সব সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মিলিত মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, কোনো কর্মকর্তা এসইএস-এ প্রবেশের পরীক্ষায় উপর্যুপরি দুবার অকৃতকার্য হলে তিনি আর পুনরায় কোনো সুযোগ পাবেন না। কোনো কর্মকর্তা কোনো কারণে পদোন্নতি না পেলে তাঁকে তাঁর কারণ লিখিতভাবে জানাতে হবে। তাঁকে তাঁর ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
যে সব কর্মকর্তা বর্তমানে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে কর্মরত আছেন তারা সবাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএস-এ অন্তর্ভুক্ত হবেন। সচিব, মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএস-এর সদস্য হবেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠন করে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং বাকি ক্যাডারগুলোর কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সব সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ‘এসইএসে’ নিয়োগ পেতে পারবেন।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটির নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব সার্ভিস থেকে মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সচিবালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে একটি ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) ’ গঠনের সুপারিশ করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সচিবালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে বিভিন্ন সার্ভিস কর্মকর্তাদের নিয়োগ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে। সিভিল সার্ভিস কাঠামো পিরামিডের মতো, তাই শীর্ষ পদে সবার যাওয়ার সুযোগ রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে উচ্চতর পদগুলোতে আরোহণের সুযোগ দেওয়ায় যুক্তিসংগত। বিশ্বের বহু দেশেই এ নীতি অনুসরণ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠিত হতে পারে। সব সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ভিত্তিতে এসইএস এ নিয়োগ করা হলে একদিকে মেধার প্রাধান্য নিশ্চিত হবে অপরদিকে আন্তসার্ভিস অসমতা দূর হবে।
বর্তমানে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব সার্ভিসের সমতা বজায় রাখার স্বার্থে এবং জনপ্রশাসনের উচ্চতর পদে মেধাবীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন প্রশাসনিক সার্ভিসের ৭৫ শতাংশ কোটা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার বিষয়টি অধিকতর যৌক্তিক মনে করছে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ পদ অন্যান্য সার্ভিসের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলার রায় ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির আইনগত দিক পরীক্ষা করে দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
কোনো কর্মকর্তা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৫০ শতাংশ কোটার কোনো একটি গ্রুপের পদ পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে কোনো গ্রুপের প্রার্থীকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে প্রতি বছর একবার করে আলাদাভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা dear সুপারিশ করে কমিশন বলেছে, প্রশ্নপত্র ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রতিভা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে কেউ একবার উত্তীর্ণ না হতে পারলে তিনি পরের ব্যাচে পরীক্ষা আরেকবার দিতে পারবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যে কোনো সার্ভিসের সিনিয়র স্কেলপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসইএস-এর উপসচিব পদের জন্য আবেদন করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষায় পাস মার্ক ৭০ শতাংশ, বার্ষিক পারফরমেন্স প্রতিবেদন ১৫ শতাংশ এবং বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ ১৫ শতাংশ মার্ক নির্ধারণ করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)-এ প্রবেশের পর সিনিয়রিটি নির্ধারিত হবে সম্মিলিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম অনুসারে। কোনো বিশেষায়িত সার্ভিসের কোনো কর্মকর্তা একবার ‘সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস’ এ প্রবেশের পর তিনি আর তাঁর পূর্বতন সার্ভিসে ফেরত যেতে পারবেন না। এসইএস পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে সব সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মিলিত মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, কোনো কর্মকর্তা এসইএস-এ প্রবেশের পরীক্ষায় উপর্যুপরি দুবার অকৃতকার্য হলে তিনি আর পুনরায় কোনো সুযোগ পাবেন না। কোনো কর্মকর্তা কোনো কারণে পদোন্নতি না পেলে তাঁকে তাঁর কারণ লিখিতভাবে জানাতে হবে। তাঁকে তাঁর ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
যে সব কর্মকর্তা বর্তমানে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে কর্মরত আছেন তারা সবাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএস-এ অন্তর্ভুক্ত হবেন। সচিব, মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএস-এর সদস্য হবেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শাকসবজি ও ফল সংরক্ষণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশবান্ধব সৌর প্রযুক্তির সহায়তায় ১০০টি ‘ফারমার্স মিনি কোল্ডস্টোরেজ’ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। চলতি বছরে এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের র্যাপিড পাস কার্ড এবার থেকে অনলাইনেই রিচার্জ করতে পারবে যাত্রীরা। তারা ঘরে বসেই র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে সহজে রিচার্জ করতে পারবে। ফলে যাত্রীদের আর স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করার ধকল পোহাতে হবে না।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি...
৫ ঘণ্টা আগেপ্রকাশ্যে জোর করে এক বৃদ্ধের চুল ও চুলের জট কেটে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এ ধরনের আচরণ ‘বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ এবং ‘ব্যক্তির মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
৭ ঘণ্টা আগে