নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সৌদি সরকার ওমরাহ বিষয় বন্ধ করেনি বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি ওমরাহ ভিসা বন্ধ দাবি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিন যাবৎ দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ‘হঠাৎ ওমরাহ ভিসা বন্ধ: বিপাকে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীরা’ কিংবা ‘ওমরাহ ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তা: ক্ষতির মুখে হজ এজেন্সি’— এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ভিসা বন্ধ হয়নি। দেশের হজ এজেন্সিগুলোকে উড়োজাহাজের ভাড়ার বুকিং ও হোটেলের রিজার্ভেশনসহ সৌদি হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর রমজান মাসে আনুমানিক এক লাখ বাংলাদেশি ওমরাহ পালন করেন। চলতি বছর সৌদি কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজার ওমরাহযাত্রী এ বছর রমজান মাসে ওমরাহ পালনে যেতে পারছে না বলে হাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, এ দেশের ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা প্রদান করা হচ্ছে না—এ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিও পত্র পাঠান।
উপদেষ্টা বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের হজ বা ওমরাহ এজেন্সির প্রতিনিধিদের ওমরাহ পালনে হোটেল বুকিং বা রিজার্ভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সৌদি ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানি যদি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, জেদ্দায় বাংলাদেশের হজ অফিস জানিয়েছে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় চার শতাধিক সৌদি ওমরাহ কোম্পানিকে বিভিন্ন দেশের এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। এই কোম্পানিগুলোর নির্ধারিত কোটা শেষ হলে ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশে অনুমোদিত ওমরাহ এজেন্সির পাশাপাশি সৌদি আরবের নুসুক অ্যাপ আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, রমজান মাসে অনেকে বিমানের টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ভিসা না হওয়ায় ওমরাহ পালন করতে যেতে পারেননি বা যেতে পারছেন না। অনেকে টিকিট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে ওমরাহ যাত্রী ও হজ এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের অর্থ ফেরতের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সাউদিয়া এয়ারলাইনসের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করেছেন এমন ওমরাহ যাত্রীরা যাতে রমজান মাসেই ওমরাহ পালন করতে যেতে পারেন সেলক্ষ্যে কাজ চলছে।
সৌদি সরকার ওমরাহ বিষয় বন্ধ করেনি বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি ওমরাহ ভিসা বন্ধ দাবি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিন যাবৎ দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ‘হঠাৎ ওমরাহ ভিসা বন্ধ: বিপাকে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীরা’ কিংবা ‘ওমরাহ ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তা: ক্ষতির মুখে হজ এজেন্সি’— এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ভিসা বন্ধ হয়নি। দেশের হজ এজেন্সিগুলোকে উড়োজাহাজের ভাড়ার বুকিং ও হোটেলের রিজার্ভেশনসহ সৌদি হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর রমজান মাসে আনুমানিক এক লাখ বাংলাদেশি ওমরাহ পালন করেন। চলতি বছর সৌদি কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজার ওমরাহযাত্রী এ বছর রমজান মাসে ওমরাহ পালনে যেতে পারছে না বলে হাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, এ দেশের ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা প্রদান করা হচ্ছে না—এ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিও পত্র পাঠান।
উপদেষ্টা বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের হজ বা ওমরাহ এজেন্সির প্রতিনিধিদের ওমরাহ পালনে হোটেল বুকিং বা রিজার্ভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সৌদি ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানি যদি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, জেদ্দায় বাংলাদেশের হজ অফিস জানিয়েছে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় চার শতাধিক সৌদি ওমরাহ কোম্পানিকে বিভিন্ন দেশের এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। এই কোম্পানিগুলোর নির্ধারিত কোটা শেষ হলে ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশে অনুমোদিত ওমরাহ এজেন্সির পাশাপাশি সৌদি আরবের নুসুক অ্যাপ আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, রমজান মাসে অনেকে বিমানের টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ভিসা না হওয়ায় ওমরাহ পালন করতে যেতে পারেননি বা যেতে পারছেন না। অনেকে টিকিট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে ওমরাহ যাত্রী ও হজ এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের অর্থ ফেরতের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সাউদিয়া এয়ারলাইনসের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করেছেন এমন ওমরাহ যাত্রীরা যাতে রমজান মাসেই ওমরাহ পালন করতে যেতে পারেন সেলক্ষ্যে কাজ চলছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৩২ মিনিট আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরে ১১ আগস্ট মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের এটি ফিরতি সফর। আনোয়ার ইব্রাহিম গত অক্টোবরে মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ ও কল্যাণকর উদ্যোগের জন্য চীনের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, চীন সব সময় বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দ
৪ ঘণ্টা আগে