প্রতিনিধি, জাবি (সাভার)

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনাভীতিতে বেশি ভুগছেন। করোনাভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধ্যয়নরত মানুষের মাঝেও বিষণ্নতা বেশি।
গত ২৪ জুন ‘ফেয়ার অ্যান্ড ডিপ্রেসিভ সিমটমস এইমড কোভিড–১৯ : এ ক্রস সেকশনাল পাইলট স্টাডি অ্যামং এডাল্ট পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি বিশ্বখ্যাত এলসেভিয়ারের (ELSEVIER) হিলিয়ন নামের সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় অংশ নেন জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা ও আবিদ হাসান খান। তত্ত্বাবধান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের তাসদিক হাসান ও চীনের সাংহাই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জেযহি লি এ গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সাহাদাত হোসেন বলেন, 'সমীক্ষাটি বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে ভয় ও বিষণ্নতার স্তর এবং এর পেছনের কারণগুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ২০ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এক মাস সময় ধরে করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। যাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী।'
সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি ও বিষণ্নতা নিরূপণের জন্য যথাক্রমে বাংলা ফেয়ার অব কোভিড–১৯ স্কেল অ্যান্ড বাংলা পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চিনারি (পিএইচকিউ–৯ স্কেল) ব্যবহার করা হয় এবং নিখুঁত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন।'
সমীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, 'পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে করোনাভীতি ১ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি ছড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ গুণ বিষণ্নতা বেশি। এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার মধ্যে রয়েছেন।'
গবেষণায় বলা হয়েছে, 'সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় জটিল রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি এবং তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। এদিকে যাঁরা মহামারিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করেন, তাঁদের মধ্যে মহামারি–সম্পর্কিত ভীতি বেশি। বিপরীতে মহামারিকে হালকাভাবে দেখছেন এমন মানুষের মাঝে বিষণ্নতা কম।'
গবেষণার বিষয়ে জাবি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে–বিশ্বাসী লোকদের মাঝে এবং যাঁরা নিজেদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ মনে করেন না, তাঁদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি।'
গবেষকেরা বলেন, 'যাঁরা নিজেদের হাত সাবান, পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখেন, তাঁদের মাঝে করোনার ভীতি কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে উদাসীন মানুষের ভীতি অন্যদের তুলনায় কম।'
গবেষণার অন্যতম সহযোগী সাদিয়া সুলতানা বলেন, 'কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভীতি ও বিষণ্নতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে জনসাধারণের করোনাভীতি ও বিষণ্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'
গবেষক ও শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের কোভিড-১৯–এর ভীতি ও বিষণ্নতার লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে এর প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা পাবে; যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ ঢেউগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।'

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনাভীতিতে বেশি ভুগছেন। করোনাভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধ্যয়নরত মানুষের মাঝেও বিষণ্নতা বেশি।
গত ২৪ জুন ‘ফেয়ার অ্যান্ড ডিপ্রেসিভ সিমটমস এইমড কোভিড–১৯ : এ ক্রস সেকশনাল পাইলট স্টাডি অ্যামং এডাল্ট পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি বিশ্বখ্যাত এলসেভিয়ারের (ELSEVIER) হিলিয়ন নামের সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় অংশ নেন জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা ও আবিদ হাসান খান। তত্ত্বাবধান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের তাসদিক হাসান ও চীনের সাংহাই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জেযহি লি এ গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সাহাদাত হোসেন বলেন, 'সমীক্ষাটি বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে ভয় ও বিষণ্নতার স্তর এবং এর পেছনের কারণগুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ২০ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এক মাস সময় ধরে করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। যাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী।'
সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি ও বিষণ্নতা নিরূপণের জন্য যথাক্রমে বাংলা ফেয়ার অব কোভিড–১৯ স্কেল অ্যান্ড বাংলা পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চিনারি (পিএইচকিউ–৯ স্কেল) ব্যবহার করা হয় এবং নিখুঁত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন।'
সমীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, 'পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে করোনাভীতি ১ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি ছড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ গুণ বিষণ্নতা বেশি। এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার মধ্যে রয়েছেন।'
গবেষণায় বলা হয়েছে, 'সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় জটিল রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি এবং তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। এদিকে যাঁরা মহামারিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করেন, তাঁদের মধ্যে মহামারি–সম্পর্কিত ভীতি বেশি। বিপরীতে মহামারিকে হালকাভাবে দেখছেন এমন মানুষের মাঝে বিষণ্নতা কম।'
গবেষণার বিষয়ে জাবি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে–বিশ্বাসী লোকদের মাঝে এবং যাঁরা নিজেদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ মনে করেন না, তাঁদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি।'
গবেষকেরা বলেন, 'যাঁরা নিজেদের হাত সাবান, পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখেন, তাঁদের মাঝে করোনার ভীতি কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে উদাসীন মানুষের ভীতি অন্যদের তুলনায় কম।'
গবেষণার অন্যতম সহযোগী সাদিয়া সুলতানা বলেন, 'কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভীতি ও বিষণ্নতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে জনসাধারণের করোনাভীতি ও বিষণ্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'
গবেষক ও শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের কোভিড-১৯–এর ভীতি ও বিষণ্নতার লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে এর প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা পাবে; যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ ঢেউগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।'
প্রতিনিধি, জাবি (সাভার)

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনাভীতিতে বেশি ভুগছেন। করোনাভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধ্যয়নরত মানুষের মাঝেও বিষণ্নতা বেশি।
গত ২৪ জুন ‘ফেয়ার অ্যান্ড ডিপ্রেসিভ সিমটমস এইমড কোভিড–১৯ : এ ক্রস সেকশনাল পাইলট স্টাডি অ্যামং এডাল্ট পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি বিশ্বখ্যাত এলসেভিয়ারের (ELSEVIER) হিলিয়ন নামের সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় অংশ নেন জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা ও আবিদ হাসান খান। তত্ত্বাবধান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের তাসদিক হাসান ও চীনের সাংহাই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জেযহি লি এ গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সাহাদাত হোসেন বলেন, 'সমীক্ষাটি বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে ভয় ও বিষণ্নতার স্তর এবং এর পেছনের কারণগুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ২০ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এক মাস সময় ধরে করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। যাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী।'
সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি ও বিষণ্নতা নিরূপণের জন্য যথাক্রমে বাংলা ফেয়ার অব কোভিড–১৯ স্কেল অ্যান্ড বাংলা পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চিনারি (পিএইচকিউ–৯ স্কেল) ব্যবহার করা হয় এবং নিখুঁত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন।'
সমীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, 'পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে করোনাভীতি ১ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি ছড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ গুণ বিষণ্নতা বেশি। এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার মধ্যে রয়েছেন।'
গবেষণায় বলা হয়েছে, 'সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় জটিল রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি এবং তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। এদিকে যাঁরা মহামারিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করেন, তাঁদের মধ্যে মহামারি–সম্পর্কিত ভীতি বেশি। বিপরীতে মহামারিকে হালকাভাবে দেখছেন এমন মানুষের মাঝে বিষণ্নতা কম।'
গবেষণার বিষয়ে জাবি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে–বিশ্বাসী লোকদের মাঝে এবং যাঁরা নিজেদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ মনে করেন না, তাঁদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি।'
গবেষকেরা বলেন, 'যাঁরা নিজেদের হাত সাবান, পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখেন, তাঁদের মাঝে করোনার ভীতি কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে উদাসীন মানুষের ভীতি অন্যদের তুলনায় কম।'
গবেষণার অন্যতম সহযোগী সাদিয়া সুলতানা বলেন, 'কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভীতি ও বিষণ্নতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে জনসাধারণের করোনাভীতি ও বিষণ্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'
গবেষক ও শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের কোভিড-১৯–এর ভীতি ও বিষণ্নতার লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে এর প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা পাবে; যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ ঢেউগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।'

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনাভীতিতে বেশি ভুগছেন। করোনাভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধ্যয়নরত মানুষের মাঝেও বিষণ্নতা বেশি।
গত ২৪ জুন ‘ফেয়ার অ্যান্ড ডিপ্রেসিভ সিমটমস এইমড কোভিড–১৯ : এ ক্রস সেকশনাল পাইলট স্টাডি অ্যামং এডাল্ট পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি বিশ্বখ্যাত এলসেভিয়ারের (ELSEVIER) হিলিয়ন নামের সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় অংশ নেন জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা ও আবিদ হাসান খান। তত্ত্বাবধান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাহাদাত হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের তাসদিক হাসান ও চীনের সাংহাই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জেযহি লি এ গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সাহাদাত হোসেন বলেন, 'সমীক্ষাটি বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিতে ভয় ও বিষণ্নতার স্তর এবং এর পেছনের কারণগুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ২০ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এক মাস সময় ধরে করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন। যাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী।'
সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি ও বিষণ্নতা নিরূপণের জন্য যথাক্রমে বাংলা ফেয়ার অব কোভিড–১৯ স্কেল অ্যান্ড বাংলা পেশেন্ট হেলথ কোয়েশ্চিনারি (পিএইচকিউ–৯ স্কেল) ব্যবহার করা হয় এবং নিখুঁত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন।'
সমীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, 'পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে করোনাভীতি ১ দশমিক ৮৪ গুণ বেশি ছড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে ১ দশমিক ৯০ গুণ বিষণ্নতা বেশি। এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার মধ্যে রয়েছেন।'
গবেষণায় বলা হয়েছে, 'সুস্থ ব্যক্তিদের তুলনায় জটিল রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি এবং তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। এদিকে যাঁরা মহামারিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করেন, তাঁদের মধ্যে মহামারি–সম্পর্কিত ভীতি বেশি। বিপরীতে মহামারিকে হালকাভাবে দেখছেন এমন মানুষের মাঝে বিষণ্নতা কম।'
গবেষণার বিষয়ে জাবি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে–বিশ্বাসী লোকদের মাঝে এবং যাঁরা নিজেদের করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ মনে করেন না, তাঁদের মধ্যে করোনাভীতি বেশি।'
গবেষকেরা বলেন, 'যাঁরা নিজেদের হাত সাবান, পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখেন, তাঁদের মাঝে করোনার ভীতি কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে উদাসীন মানুষের ভীতি অন্যদের তুলনায় কম।'
গবেষণার অন্যতম সহযোগী সাদিয়া সুলতানা বলেন, 'কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিশেষ জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভীতি ও বিষণ্নতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে জনসাধারণের করোনাভীতি ও বিষণ্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'
গবেষক ও শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের কোভিড-১৯–এর ভীতি ও বিষণ্নতার লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে এর প্রতিরোধ কার্যক্রম সফলতা পাবে; যা করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ ঢেউগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।'

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
৩৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৪ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করা হবে। ওই দিন আবার ঢাকা লকডাউনের হুমকি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ককটেল-আগুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক আরও বাড়ল।
পরিস্থিতি যে উদ্বেগের, তা মনে করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমও। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে।’
রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরিস্থিতি একটু উন্নত হতো মন্তব্য করে আইজিপি আরও বলেন, ‘কিন্তু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য নেই। তারপরও পুলিশ চেষ্টা করছে, যেসব জায়গায় ত্রুটি রয়েছে সেগুলো ঠিক করার। আগামী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাব। কারণ, জনপ্রতিনিধি ও জনগণই বড় শক্তি।’
ককটেল বিস্ফোরণ
গতকাল ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, খিলগাঁও এবং বাংলামোটর এলাকায় ১৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সীমানার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া ভোরের আলো ফোটার আগেই দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সব জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে আসা ব্যক্তিরা ককটেল ছোড়ে এবং বাসে আগুন দেয়। তাদের মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেটগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, তিনজন নিরাপত্তাকর্মী এবং একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশমুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগের নমুনা এবং বিস্ফোরিত অংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে। এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুরে মেরে মিরপুর ১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর আরেকটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যায়। ঘটনার পর আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা এবং বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গতকাল ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ৯/এ সড়কে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল পৌনে সাতটা থেকে সাতটার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুটি জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসে ককটেল ছোড়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাইডাস সেন্টারের সামনে একটি মোটরসাইকেলে করে দু-তিনজন এসে দুটি ককটেল ছোড়ে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাতটার দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও একইভাবে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভারব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আর রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনটি বাসে আগুন
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়াও গতকাল ভোরে রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ বলেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী ভিক্টর পরিবহনে এবং মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর সড়কে ল্যাবএইডের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে বের হয়ে যায় তারা।
রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রাতদিন পুলিশের টহলে থাকে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তবে একযোগে রাজধানীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কাউকে শনাক্তও করতে পারেনি তারা।
ঢাকার বাইরে দুই জায়গায় আগুন
রাজধানীর বাইরে দুই জায়গায় নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশের নজরদারি জোরদার
এসব নাশকতার ঘটনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কারণে সারা দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ের সব ইউনিটকে বাড়তি নিরাপত্তা, টহল ও নজরদারি জোরদারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সরকারি স্থাপনা, পরিবহন টার্মিনাল, দলীয় কার্যালয় ও কৌশলগত মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে নতুন চেকপোস্ট। সাইবার ইউনিটকেও সক্রিয় করা হয়েছে; যাতে সামাজিক মাধ্যমে গুজব, উসকানি বা অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের হোস্টেল, মেস, বাসাবাড়ি এবং আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো হবে। ঝটিকা মিছিল কিংবা আকস্মিক সমাবেশ দেখলে তাৎক্ষণিক ছত্রভঙ্গ এবং অংশগ্রহণকারীদের আটক করার নির্দেশনা রয়েছে। গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করা হবে। ওই দিন আবার ঢাকা লকডাউনের হুমকি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ককটেল-আগুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক আরও বাড়ল।
পরিস্থিতি যে উদ্বেগের, তা মনে করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমও। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে।’
রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরিস্থিতি একটু উন্নত হতো মন্তব্য করে আইজিপি আরও বলেন, ‘কিন্তু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য নেই। তারপরও পুলিশ চেষ্টা করছে, যেসব জায়গায় ত্রুটি রয়েছে সেগুলো ঠিক করার। আগামী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাব। কারণ, জনপ্রতিনিধি ও জনগণই বড় শক্তি।’
ককটেল বিস্ফোরণ
গতকাল ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, খিলগাঁও এবং বাংলামোটর এলাকায় ১৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সীমানার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া ভোরের আলো ফোটার আগেই দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সব জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে আসা ব্যক্তিরা ককটেল ছোড়ে এবং বাসে আগুন দেয়। তাদের মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেটগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, তিনজন নিরাপত্তাকর্মী এবং একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশমুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগের নমুনা এবং বিস্ফোরিত অংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে। এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুরে মেরে মিরপুর ১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর আরেকটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যায়। ঘটনার পর আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা এবং বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গতকাল ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ৯/এ সড়কে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল পৌনে সাতটা থেকে সাতটার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুটি জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসে ককটেল ছোড়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাইডাস সেন্টারের সামনে একটি মোটরসাইকেলে করে দু-তিনজন এসে দুটি ককটেল ছোড়ে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাতটার দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও একইভাবে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভারব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আর রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনটি বাসে আগুন
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়াও গতকাল ভোরে রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ বলেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী ভিক্টর পরিবহনে এবং মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর সড়কে ল্যাবএইডের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে বের হয়ে যায় তারা।
রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রাতদিন পুলিশের টহলে থাকে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তবে একযোগে রাজধানীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কাউকে শনাক্তও করতে পারেনি তারা।
ঢাকার বাইরে দুই জায়গায় আগুন
রাজধানীর বাইরে দুই জায়গায় নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশের নজরদারি জোরদার
এসব নাশকতার ঘটনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কারণে সারা দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ের সব ইউনিটকে বাড়তি নিরাপত্তা, টহল ও নজরদারি জোরদারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সরকারি স্থাপনা, পরিবহন টার্মিনাল, দলীয় কার্যালয় ও কৌশলগত মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে নতুন চেকপোস্ট। সাইবার ইউনিটকেও সক্রিয় করা হয়েছে; যাতে সামাজিক মাধ্যমে গুজব, উসকানি বা অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের হোস্টেল, মেস, বাসাবাড়ি এবং আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো হবে। ঝটিকা মিছিল কিংবা আকস্মিক সমাবেশ দেখলে তাৎক্ষণিক ছত্রভঙ্গ এবং অংশগ্রহণকারীদের আটক করার নির্দেশনা রয়েছে। গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনা ভীতিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি।
০৫ জুলাই ২০২১
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘গত ৩১ জুলাই থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্ব পালন করছি। সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে বিবাদী গোপালপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান (৫২), সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন মিয়া (৫০), যুগ্ম সম্পাদক মো. মহির উদ্দিন (৫৬), যুবদল নেতা/কর্মী কামরুল ইসলাম (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জন নেতা-কর্মীসহ অফিস কক্ষে যায়। তখন আমি খালিদ হাসানকে কী সেবা দিতে পারি জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আমি কেন তাদের মূল্যায়ন/মান্য করি না এবং কেন তাদের কথামতো কাজ করি না। আমি সরকারি বিধি মোতাবেক সকল সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি জানালে উল্লিখিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমাকে আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছি মর্মে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করে আওয়ামী লীগের কী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছি, তার প্রমাণ দিতে বলি। এতে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।
‘এই ঘটনা শুরু থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানা তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকে। ভিডিও করার বিষয়টি দেখতে পেয়ে খালিদ হাসান অন্যান্য বিবাদীকে হুকুম দিয়ে বলে, ‘শালার ভিডিও করার সাধ মিটাইয়া দে।’ হুকুম পাওয়া মাত্রই ৩-৫ নম্বর বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা মো. সুমন রানাকে ধরে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
‘তখন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. আমজাদ হোসেন বিবাদীদের কবল থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ৩ নম্বর বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমজাদ হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং অফিসের সার্ভার রুমের কাচের গ্লাস ভাঙচুর করে। কাচের থাই গ্লাস ভেঙে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের একটু ওপরে পড়ে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। আমি স্ক্যানিং অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ১ ও ২ নম্বর বিবাদী আমার পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে জখম করে। তখন সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু রায়হান বিবাদীদের কবল থেকে আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারা হয়।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ওই সময় অফিস কক্ষে থাকা একজন সেবাগ্রহীতাকে বিবাদীরা একইভাবে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। বিবাদীরা অফিসের অন্যান্য কক্ষের কাচের থাই গ্লাস, বারান্দায় রাখা ফুলের টবসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হেল্প ডেস্কে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ছিঁড়ে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমাকেসহ আমার অফিসের সহকর্মীদের নানা রকম ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
‘আমার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী আহত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মূল গেটের সামনে বিবাদী গোপালপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পুনরায় আমজাদ হোসেনকে মারপিট করে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের সহায়তায় আমজাদ হোসেনকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
‘ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিক গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। পরবর্তীতে বিবাদীরা আমার ও স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানার কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন দুটি ইউএনওর মাধ্যমে ফেরত দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘গত ৩১ জুলাই থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্ব পালন করছি। সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে বিবাদী গোপালপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান (৫২), সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন মিয়া (৫০), যুগ্ম সম্পাদক মো. মহির উদ্দিন (৫৬), যুবদল নেতা/কর্মী কামরুল ইসলাম (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জন নেতা-কর্মীসহ অফিস কক্ষে যায়। তখন আমি খালিদ হাসানকে কী সেবা দিতে পারি জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আমি কেন তাদের মূল্যায়ন/মান্য করি না এবং কেন তাদের কথামতো কাজ করি না। আমি সরকারি বিধি মোতাবেক সকল সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি জানালে উল্লিখিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমাকে আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছি মর্মে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করে আওয়ামী লীগের কী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছি, তার প্রমাণ দিতে বলি। এতে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।
‘এই ঘটনা শুরু থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানা তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকে। ভিডিও করার বিষয়টি দেখতে পেয়ে খালিদ হাসান অন্যান্য বিবাদীকে হুকুম দিয়ে বলে, ‘শালার ভিডিও করার সাধ মিটাইয়া দে।’ হুকুম পাওয়া মাত্রই ৩-৫ নম্বর বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা মো. সুমন রানাকে ধরে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
‘তখন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. আমজাদ হোসেন বিবাদীদের কবল থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ৩ নম্বর বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমজাদ হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং অফিসের সার্ভার রুমের কাচের গ্লাস ভাঙচুর করে। কাচের থাই গ্লাস ভেঙে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের একটু ওপরে পড়ে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। আমি স্ক্যানিং অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ১ ও ২ নম্বর বিবাদী আমার পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে জখম করে। তখন সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু রায়হান বিবাদীদের কবল থেকে আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারা হয়।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ওই সময় অফিস কক্ষে থাকা একজন সেবাগ্রহীতাকে বিবাদীরা একইভাবে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। বিবাদীরা অফিসের অন্যান্য কক্ষের কাচের থাই গ্লাস, বারান্দায় রাখা ফুলের টবসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হেল্প ডেস্কে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ছিঁড়ে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমাকেসহ আমার অফিসের সহকর্মীদের নানা রকম ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
‘আমার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী আহত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মূল গেটের সামনে বিবাদী গোপালপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পুনরায় আমজাদ হোসেনকে মারপিট করে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের সহায়তায় আমজাদ হোসেনকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
‘ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিক গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। পরবর্তীতে বিবাদীরা আমার ও স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানার কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন দুটি ইউএনওর মাধ্যমে ফেরত দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনা ভীতিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি।
০৫ জুলাই ২০২১
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
৩৩ মিনিট আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনা ভীতিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি।
০৫ জুলাই ২০২১
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
৩৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

মহামারিতে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা করোনা ভীতিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ভীতির কারণে ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। মহামারিতে অন্যান্য পেশাজীবীর চেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিষণ্নতায় ভুগছে বেশি।
০৫ জুলাই ২০২১
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
৩৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে