Ajker Patrika

ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে বিদ্যুৎ, খাবার ফুরিয়ে আসছে, শঙ্কায় নাবিকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে বিদ্যুৎ, খাবার ফুরিয়ে আসছে, শঙ্কায় নাবিকেরা

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি-তে রকেট হামলার পর পরিস্থিতি ক্রমেই বাজে দিকে যাচ্ছে। জাহাজটির মূল জেনারেটর অকেজো হয়ে গেছে। ইমার্জেন্সি জেনারেটর দিয়ে কাজ চলছে। রকেট হামলায় জাহাজের রেফ্রিজারেটর অকেজো হয়ে গেছে। দু-একদিনের মধ্যে খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে ভীষণ শঙ্কায় থাকা নাবিকেরা যেকোনো মূল্যে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে চাইছেন। 

জাহাজটিতে থাকা একজন নাবিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা জাহাজে আর থাকতে চান না। যেকোনো মূল্যে তাঁরা বাংকারে যেতে চান। ওই নাবিক বলেন, ‘রকেট হামলায় পাওয়ার জেনারেটর অকেজো হয়ে পড়ায় জাহাজের রেফ্রিজারেটর কাজ করছে না। এতে দু-এক দিনের মধ্যেই জাহাজে থাকা খাবারগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন খাবারের সংকট তৈরি হবে।’ 

 ‘আমাদের এখনো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়নি। আমরা নিরাপদ জায়গায় যেতে চাই।’ ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি-এর প্রধান প্রকৌশলী ওমর ফারুক তুহিন এই আকুতি জানান। 

গতকাল বুধবার রাতে জাহাজটিতে রকেট হামলায় একজন নিহত হন। আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সেই জাহাজে রয়েছেন ২৮ বাংলাদেশি নাবিক। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ বৃহস্পতিবার এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জাহাজটির প্রধান প্রকৌশলী ওমর ফারুক তুহিন বলেন, ‘রকেট হামলায় জাহাজের মেইন পাওয়ার জেনারেটর কাজ করছে না। এখন ইমার্জেন্সি জেনারেটর দিয়ে কাজ করছি। তাই দ্রুত আমাদের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’ 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ওমর ফারুকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ভালো আছি। তবে কখন আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে সেই অপেক্ষায় আছি।’ তিনি বলেন, ‘যদি ইমার্জেন্সি পাওয়ার জেনারেটর অফ হয়ে যায়, তাহলে জাহাজে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। পাওয়ার না থাকলে জাহাজে থাকা খাবারও নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আমাদের দ্রুত এখান থেকে সরি নেওয়া হোক।’ 

এর আগে ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি কার্গো লোড করতে তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে জাহাজটির ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লেগে যাওয়ায় জাহাজে থাকা ২৯ নাবিক সেখান থেকে কোথাও যেতে পারেননি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাতে রকেট হামলায় ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর জাহাজে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাকি ২৮ নাবিক। তাঁদের এখন একটাই দাবি, তাঁদের জাহাজ থেকে নিরাপদ কোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়া হোক।

আরো পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত