Ajker Patrika

ঢাকা সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ, সম্পর্ককে নতুন গতি দেবে: ইসহাক দার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ১৪
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার তাঁর ৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরকে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই সফর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে এবং উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন।

সফর শেষে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে ইসহাক দার তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গত শনিবার দুপুরে তিনি ঢাকা এসেছিলেন।

সফরের সময় ইসহাক দার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হলো—কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল (সরকারি) পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা না লাগার চুক্তি, সংস্কৃতি বিনিময়, দুই দেশের সংবাদ সংস্থা, ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা এবং বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা স্মারক।

রাজনৈতিক যোগাযোগের অংশ হিসেবে ইসহাক দার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেন। একইসঙ্গে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের বাসায় যান।

সফরের প্রথম দিনেই ইসহাক দার আলাদা ভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।

ইসহাক দার তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক ও মতবিনিময় করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পূর্ণ মিল ছিল। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল উচ্চ পর্যায়ের সফরবিনিময়, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন। তিনি আরও জানান, আলোচনায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়, বিশেষ করে সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত