মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতসহ নানান করণে কমিশন ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাদা কোনো উদ্যম নেই। ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন নির্বাচনী কেনাকাটার কার্যক্রম শেষ মানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এমনটা ভাবছে। তবে কেনাকাটা নির্বাচনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র। কেনাকাটা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেক কাজ থাকে। শুধু রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই হয় না। কোন কাজ কখন বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার একটি চেকলিস্ট করতে হয়। চেকলিস্ট দেখেই বোঝা যাবে যে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কোনটি হয়নি, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই চেকলিস্ট এখনো নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে নেই।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি, করব। কতটুকু উত্তরণ করা গেলো তা নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, শুধু স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু করে মালামাল আসতেও শুরু করেছে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব মালামাল পেয়ে যাব।
ব্যালট পেপারের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপারের জন্য ইতিমধ্যে বিজি প্রেসকে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজি প্রেস দেখছে।
রোডে নেই রোডম্যাপ
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল কমিশন। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হবে বুধবার। তবে এই সময়ে রোডম্যাপে ঘোষিত বেশির ভাগ কাজই সময় মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কারের কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিটি এখনো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগস্টের মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ করতে পারেনি।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগস্টের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে। নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। বিতর্ক এড়াতে সেই কাজ বাদ দিয়েছে ইসি। জুনের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও সময় মতো তা করতে পারেনি। এই কার্যক্রম শেষ করেছে আগস্টে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের এক নম্বরে ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারের ওপরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ ৮৬টি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ইসির এই অভিজ্ঞতা কাজে আসছে না। আর ‘ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব’ রোডম্যাপে এমন ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যালটের ভোটে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং তা উত্তরণে করণীয় কি সেই বিষয়ে এখনো ইসির বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুতির নীতিমালার কারণে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ আটকে আছে। প্রায় ১০ লাখের মতো জনবল এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। ইসি প্রথমে এটিতে ডিসি-এসপিসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে বিতর্ক এড়াতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কমিশন। যার কারণে কাজ শুরু করতে পারছে না কর্মকর্তারা। আগের নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তফসিল ঘোষণা করার আগে রেডি করে রাখত। পরে তফসিল ঘোষণা করা হলে সেটির তথ্য হালনাগাদ করত। প্রায় ১০ লাখ লোকের এই তালিকার প্রাথমিক তালিকা করতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। তাই তফসিল ঘোষণার পর এই অল্প সময়ে সেই তালিকা করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
এখনো পূর্ণ হয়নি ইসির শূন্য পদ
জানা যায়, বর্তমানে ইসির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। আর শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬০৪টি পদ। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৬৬ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫২৫ টি, ৭৫৬টি তৃতীয় শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের ৮২০টি পদ রয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণি ও আউটসোর্সিং পদে নিয়োগ সম্পন্নের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদনের প্রায় চার বছরেও নানা কারণে এখনো পূরণ হয়নি দ্বিতীয় শ্রেণির পাঁচ শতাধিক সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ। যদিও সম্প্রতি ইসি সচিব এক সমন্বয় সভায় এসব পদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসির যেসব কাজ চলমান রয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের খসড়ার কাজ চলমান রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০০ আসনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানা ইত্যাদি সুবিধা সংবলিত নির্বাচনী অ্যাপস তৈরি করছে ইসি। এটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নভেম্বরে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতসহ নানান করণে কমিশন ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাদা কোনো উদ্যম নেই। ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন নির্বাচনী কেনাকাটার কার্যক্রম শেষ মানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এমনটা ভাবছে। তবে কেনাকাটা নির্বাচনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র। কেনাকাটা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেক কাজ থাকে। শুধু রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই হয় না। কোন কাজ কখন বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার একটি চেকলিস্ট করতে হয়। চেকলিস্ট দেখেই বোঝা যাবে যে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কোনটি হয়নি, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই চেকলিস্ট এখনো নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে নেই।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি, করব। কতটুকু উত্তরণ করা গেলো তা নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, শুধু স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু করে মালামাল আসতেও শুরু করেছে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব মালামাল পেয়ে যাব।
ব্যালট পেপারের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপারের জন্য ইতিমধ্যে বিজি প্রেসকে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজি প্রেস দেখছে।
রোডে নেই রোডম্যাপ
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল কমিশন। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হবে বুধবার। তবে এই সময়ে রোডম্যাপে ঘোষিত বেশির ভাগ কাজই সময় মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কারের কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিটি এখনো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগস্টের মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ করতে পারেনি।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগস্টের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে। নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। বিতর্ক এড়াতে সেই কাজ বাদ দিয়েছে ইসি। জুনের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও সময় মতো তা করতে পারেনি। এই কার্যক্রম শেষ করেছে আগস্টে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের এক নম্বরে ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারের ওপরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ ৮৬টি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ইসির এই অভিজ্ঞতা কাজে আসছে না। আর ‘ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব’ রোডম্যাপে এমন ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যালটের ভোটে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং তা উত্তরণে করণীয় কি সেই বিষয়ে এখনো ইসির বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুতির নীতিমালার কারণে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ আটকে আছে। প্রায় ১০ লাখের মতো জনবল এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। ইসি প্রথমে এটিতে ডিসি-এসপিসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে বিতর্ক এড়াতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কমিশন। যার কারণে কাজ শুরু করতে পারছে না কর্মকর্তারা। আগের নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তফসিল ঘোষণা করার আগে রেডি করে রাখত। পরে তফসিল ঘোষণা করা হলে সেটির তথ্য হালনাগাদ করত। প্রায় ১০ লাখ লোকের এই তালিকার প্রাথমিক তালিকা করতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। তাই তফসিল ঘোষণার পর এই অল্প সময়ে সেই তালিকা করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
এখনো পূর্ণ হয়নি ইসির শূন্য পদ
জানা যায়, বর্তমানে ইসির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। আর শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬০৪টি পদ। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৬৬ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫২৫ টি, ৭৫৬টি তৃতীয় শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের ৮২০টি পদ রয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণি ও আউটসোর্সিং পদে নিয়োগ সম্পন্নের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদনের প্রায় চার বছরেও নানা কারণে এখনো পূরণ হয়নি দ্বিতীয় শ্রেণির পাঁচ শতাধিক সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ। যদিও সম্প্রতি ইসি সচিব এক সমন্বয় সভায় এসব পদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসির যেসব কাজ চলমান রয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের খসড়ার কাজ চলমান রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০০ আসনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানা ইত্যাদি সুবিধা সংবলিত নির্বাচনী অ্যাপস তৈরি করছে ইসি। এটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নভেম্বরে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতসহ নানান করণে কমিশন ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাদা কোনো উদ্যম নেই। ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন নির্বাচনী কেনাকাটার কার্যক্রম শেষ মানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এমনটা ভাবছে। তবে কেনাকাটা নির্বাচনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র। কেনাকাটা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেক কাজ থাকে। শুধু রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই হয় না। কোন কাজ কখন বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার একটি চেকলিস্ট করতে হয়। চেকলিস্ট দেখেই বোঝা যাবে যে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কোনটি হয়নি, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই চেকলিস্ট এখনো নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে নেই।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি, করব। কতটুকু উত্তরণ করা গেলো তা নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, শুধু স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু করে মালামাল আসতেও শুরু করেছে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব মালামাল পেয়ে যাব।
ব্যালট পেপারের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপারের জন্য ইতিমধ্যে বিজি প্রেসকে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজি প্রেস দেখছে।
রোডে নেই রোডম্যাপ
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল কমিশন। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হবে বুধবার। তবে এই সময়ে রোডম্যাপে ঘোষিত বেশির ভাগ কাজই সময় মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কারের কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিটি এখনো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগস্টের মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ করতে পারেনি।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগস্টের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে। নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। বিতর্ক এড়াতে সেই কাজ বাদ দিয়েছে ইসি। জুনের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও সময় মতো তা করতে পারেনি। এই কার্যক্রম শেষ করেছে আগস্টে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের এক নম্বরে ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারের ওপরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ ৮৬টি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ইসির এই অভিজ্ঞতা কাজে আসছে না। আর ‘ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব’ রোডম্যাপে এমন ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যালটের ভোটে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং তা উত্তরণে করণীয় কি সেই বিষয়ে এখনো ইসির বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুতির নীতিমালার কারণে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ আটকে আছে। প্রায় ১০ লাখের মতো জনবল এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। ইসি প্রথমে এটিতে ডিসি-এসপিসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে বিতর্ক এড়াতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কমিশন। যার কারণে কাজ শুরু করতে পারছে না কর্মকর্তারা। আগের নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তফসিল ঘোষণা করার আগে রেডি করে রাখত। পরে তফসিল ঘোষণা করা হলে সেটির তথ্য হালনাগাদ করত। প্রায় ১০ লাখ লোকের এই তালিকার প্রাথমিক তালিকা করতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। তাই তফসিল ঘোষণার পর এই অল্প সময়ে সেই তালিকা করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
এখনো পূর্ণ হয়নি ইসির শূন্য পদ
জানা যায়, বর্তমানে ইসির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। আর শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬০৪টি পদ। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৬৬ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫২৫ টি, ৭৫৬টি তৃতীয় শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের ৮২০টি পদ রয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণি ও আউটসোর্সিং পদে নিয়োগ সম্পন্নের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদনের প্রায় চার বছরেও নানা কারণে এখনো পূরণ হয়নি দ্বিতীয় শ্রেণির পাঁচ শতাধিক সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ। যদিও সম্প্রতি ইসি সচিব এক সমন্বয় সভায় এসব পদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসির যেসব কাজ চলমান রয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের খসড়ার কাজ চলমান রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০০ আসনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানা ইত্যাদি সুবিধা সংবলিত নির্বাচনী অ্যাপস তৈরি করছে ইসি। এটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নভেম্বরে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতসহ নানান করণে কমিশন ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাদা কোনো উদ্যম নেই। ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন নির্বাচনী কেনাকাটার কার্যক্রম শেষ মানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এমনটা ভাবছে। তবে কেনাকাটা নির্বাচনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র। কেনাকাটা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেক কাজ থাকে। শুধু রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই হয় না। কোন কাজ কখন বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার একটি চেকলিস্ট করতে হয়। চেকলিস্ট দেখেই বোঝা যাবে যে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কোনটি হয়নি, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই চেকলিস্ট এখনো নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে নেই।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি, করব। কতটুকু উত্তরণ করা গেলো তা নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, শুধু স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু করে মালামাল আসতেও শুরু করেছে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব মালামাল পেয়ে যাব।
ব্যালট পেপারের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপারের জন্য ইতিমধ্যে বিজি প্রেসকে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজি প্রেস দেখছে।
রোডে নেই রোডম্যাপ
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল কমিশন। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হবে বুধবার। তবে এই সময়ে রোডম্যাপে ঘোষিত বেশির ভাগ কাজই সময় মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কারের কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিটি এখনো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগস্টের মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ করতে পারেনি।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগস্টের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে। নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। বিতর্ক এড়াতে সেই কাজ বাদ দিয়েছে ইসি। জুনের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও সময় মতো তা করতে পারেনি। এই কার্যক্রম শেষ করেছে আগস্টে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের এক নম্বরে ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারের ওপরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ ৮৬টি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ইসির এই অভিজ্ঞতা কাজে আসছে না। আর ‘ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব’ রোডম্যাপে এমন ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যালটের ভোটে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং তা উত্তরণে করণীয় কি সেই বিষয়ে এখনো ইসির বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুতির নীতিমালার কারণে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ আটকে আছে। প্রায় ১০ লাখের মতো জনবল এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। ইসি প্রথমে এটিতে ডিসি-এসপিসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে বিতর্ক এড়াতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কমিশন। যার কারণে কাজ শুরু করতে পারছে না কর্মকর্তারা। আগের নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তফসিল ঘোষণা করার আগে রেডি করে রাখত। পরে তফসিল ঘোষণা করা হলে সেটির তথ্য হালনাগাদ করত। প্রায় ১০ লাখ লোকের এই তালিকার প্রাথমিক তালিকা করতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। তাই তফসিল ঘোষণার পর এই অল্প সময়ে সেই তালিকা করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
এখনো পূর্ণ হয়নি ইসির শূন্য পদ
জানা যায়, বর্তমানে ইসির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। আর শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬০৪টি পদ। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৬৬ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫২৫ টি, ৭৫৬টি তৃতীয় শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের ৮২০টি পদ রয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণি ও আউটসোর্সিং পদে নিয়োগ সম্পন্নের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদনের প্রায় চার বছরেও নানা কারণে এখনো পূরণ হয়নি দ্বিতীয় শ্রেণির পাঁচ শতাধিক সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ। যদিও সম্প্রতি ইসি সচিব এক সমন্বয় সভায় এসব পদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসির যেসব কাজ চলমান রয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের খসড়ার কাজ চলমান রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০০ আসনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানা ইত্যাদি সুবিধা সংবলিত নির্বাচনী অ্যাপস তৈরি করছে ইসি। এটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নভেম্বরে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ,
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ,
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ,
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ,
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে