সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঁচ দশকের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই চড়াই-উতরাইয়ের। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এ সম্পর্ক টিকে ছিল সুতোর ওপর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নিলে দেশটির চিরবৈরী পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে সক্রিয় হয়। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানের দুজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। এরপর শিগগিরই আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আসতে চান, এমনটা জানিয়ে রেখেছে দেশটি।
তবে পাকিস্তান দ্রুত সম্পর্ক জোরদার করতে চাইলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটু রয়েসয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চাইছে। সরকারের ভেতর-বাইরের বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশকে নিজস্ব সীমান্ত, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই চলতে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়। এ সম্পর্ক অস্বাভাবিকভাবে উচ্চতর স্তরে যাবে না।’ তবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। সেই অবস্থান থেকে সরকার বের হয়ে এসেছে।
সম্পর্কে গতি আনতে গত এপ্রিলে ঢাকা ঘুরে গেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। এরপর জুলাইয়ে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে ঢাকায় এলেও একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সম্পর্ক ঝালাইয়ে তৎপর ছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি। এবার ২১ আগস্ট চার দিনের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এর দুই দিনের মধ্যে ২৩ আগস্ট আসবেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
ইসহাক দার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ও জাম কামাল খান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। তাঁদের আলাদাভাবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সরকারি সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইসহাক দারের সফরে অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করতে চায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা বিলোপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিন-চারটি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই হতে পারে।
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। এ সম্পর্ক অস্বাভাবিকভাবে উচ্চতর স্তরে যাবে না। মো. তৌহিদ হোসেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এই আগস্টেই দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবের। বাংলাদেশ প্রস্তুত না থাকায় এ সফরটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে আসা বিকল্প প্রস্তাবে সায় দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরে এ বৈঠকটি হতে পারে। সর্বশেষ এ বৈঠকটি হয়েছিল ২০০৫ সালে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের দুজন ঊর্ধ্বতন মন্ত্রীর একই সময়ে একই রাজধানীতে অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে পাকিস্তানের এমন তৎপরতা নতুন নয়। ঢাকার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখাকে ইসলামাবাদের সকল মহল সব সময়ই একটি ভালো সুযোগ হিসেবে দেখে থাকে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সংস্থা ওআইসির সদস্য হয়। এই সংস্থার প্রভাবশালী সদস্যরাষ্ট্র সৌদি আরব, মিসর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, ইরান ও তুরস্কের মাধ্যমে পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। দেশটি ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের সূচনা করে। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের লাহোরে নামার ঠিক আগে আগে এ স্বীকৃতি আসে। এর চার মাসের মধ্যেই শেখ মুজিবের আমন্ত্রণে জুনে ঢাকা সফর করেন পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। এরপর থেকে ভালো-মন্দের মিশেলে সম্পর্ক এগিয়ে চলে তিন দশকের বেশি সময়। অবশ্য ২০০৯ সাল থেকে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের বিকল্প উৎস হতে পারে পাকিস্তান। এমনটা আগেও ছিল।
ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের অনেকে মনে করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশে তুলা, কাপড়, সামরিক সরঞ্জাম, চিনি ও রাসায়নিক সামগ্রী রপ্তানি বাড়াতে চাইবে। এর বাইরে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাতেও দেশটি থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন সুবিধা নিতে পারবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলারের মতো।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চিরবৈরী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৬ বছর ‘সোনালি অধ্যায়’ থাকলেও শেখ হাসিনার অবর্তমানে এ সম্পর্ক বছরখানেক প্রায় নিশ্চল অবস্থা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে গতি আনার জন্য কী কী করে, তার ওপর ভারত ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর নজর থাকবে, এমনটা মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে গতকাল শুক্রবার বলেন, সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারতের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবহার করতে না পারে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্থল ও সমুদ্র সীমানা থাকা, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর উল্লেখ করে পাকিস্তানকে সরাসরি বলতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না—এ নিশ্চয়তা পাকিস্তান সরকারকে দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন যেসব দায়দেনা বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের আছে, সেই প্রসঙ্গগুলোও সরকারকে জোরালোভাবে তুলতে হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় থাকবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঁচ দশকের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই চড়াই-উতরাইয়ের। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এ সম্পর্ক টিকে ছিল সুতোর ওপর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নিলে দেশটির চিরবৈরী পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে সক্রিয় হয়। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানের দুজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। এরপর শিগগিরই আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আসতে চান, এমনটা জানিয়ে রেখেছে দেশটি।
তবে পাকিস্তান দ্রুত সম্পর্ক জোরদার করতে চাইলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটু রয়েসয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চাইছে। সরকারের ভেতর-বাইরের বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশকে নিজস্ব সীমান্ত, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই চলতে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়। এ সম্পর্ক অস্বাভাবিকভাবে উচ্চতর স্তরে যাবে না।’ তবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। সেই অবস্থান থেকে সরকার বের হয়ে এসেছে।
সম্পর্কে গতি আনতে গত এপ্রিলে ঢাকা ঘুরে গেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। এরপর জুলাইয়ে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে ঢাকায় এলেও একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সম্পর্ক ঝালাইয়ে তৎপর ছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি। এবার ২১ আগস্ট চার দিনের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এর দুই দিনের মধ্যে ২৩ আগস্ট আসবেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
ইসহাক দার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ও জাম কামাল খান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। তাঁদের আলাদাভাবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সরকারি সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইসহাক দারের সফরে অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করতে চায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা বিলোপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিন-চারটি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই হতে পারে।
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। এ সম্পর্ক অস্বাভাবিকভাবে উচ্চতর স্তরে যাবে না। মো. তৌহিদ হোসেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এই আগস্টেই দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবের। বাংলাদেশ প্রস্তুত না থাকায় এ সফরটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে আসা বিকল্প প্রস্তাবে সায় দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরে এ বৈঠকটি হতে পারে। সর্বশেষ এ বৈঠকটি হয়েছিল ২০০৫ সালে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের দুজন ঊর্ধ্বতন মন্ত্রীর একই সময়ে একই রাজধানীতে অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে পাকিস্তানের এমন তৎপরতা নতুন নয়। ঢাকার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখাকে ইসলামাবাদের সকল মহল সব সময়ই একটি ভালো সুযোগ হিসেবে দেখে থাকে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সংস্থা ওআইসির সদস্য হয়। এই সংস্থার প্রভাবশালী সদস্যরাষ্ট্র সৌদি আরব, মিসর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, ইরান ও তুরস্কের মাধ্যমে পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। দেশটি ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের সূচনা করে। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের লাহোরে নামার ঠিক আগে আগে এ স্বীকৃতি আসে। এর চার মাসের মধ্যেই শেখ মুজিবের আমন্ত্রণে জুনে ঢাকা সফর করেন পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। এরপর থেকে ভালো-মন্দের মিশেলে সম্পর্ক এগিয়ে চলে তিন দশকের বেশি সময়। অবশ্য ২০০৯ সাল থেকে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের বিকল্প উৎস হতে পারে পাকিস্তান। এমনটা আগেও ছিল।
ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের অনেকে মনে করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশে তুলা, কাপড়, সামরিক সরঞ্জাম, চিনি ও রাসায়নিক সামগ্রী রপ্তানি বাড়াতে চাইবে। এর বাইরে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাতেও দেশটি থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন সুবিধা নিতে পারবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলারের মতো।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চিরবৈরী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৬ বছর ‘সোনালি অধ্যায়’ থাকলেও শেখ হাসিনার অবর্তমানে এ সম্পর্ক বছরখানেক প্রায় নিশ্চল অবস্থা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে গতি আনার জন্য কী কী করে, তার ওপর ভারত ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর নজর থাকবে, এমনটা মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে গতকাল শুক্রবার বলেন, সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারতের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবহার করতে না পারে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্থল ও সমুদ্র সীমানা থাকা, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর উল্লেখ করে পাকিস্তানকে সরাসরি বলতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না—এ নিশ্চয়তা পাকিস্তান সরকারকে দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন যেসব দায়দেনা বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের আছে, সেই প্রসঙ্গগুলোও সরকারকে জোরালোভাবে তুলতে হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় থাকবে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার। উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন প্রকল্পের (সিডিপিএল) পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হক বলেন, তেল পরিবহনে শতাধিক
৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
১৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
১৮ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
১৯ ঘণ্টা আগে