অনলাইন ডেস্ক
গত এক বছরে খানা জরিপে সেবা খাতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিন খাত চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে এই সময়ে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানটির খানা জরিপে একই সঙ্গে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাত সর্বোচ্চ গড় ঘুষ গ্রহণকারী হিসেবে উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। ১৭টি খাত ও সেবার ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
টিআইবির খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবা খাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এই সময়ে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা এবং ঘুষের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ খানা; সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই পরিমাণ অর্থ দেশের মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেবা পেতে পরিবার বা খানাপ্রতি সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমিসেবা ও ব্যাংকিং খাতে। সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে। আর ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুষের শিকার হয়েছে। সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচারিক সেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুষের উচ্চ হার অব্যাহত রয়েছে, যা সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা; অন্যদিকে ভূমি সেবা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএর মতো সেবায় উচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষ বিদ্যমান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এই সময়ে বিআরটিএতে সেব নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৮৬ শতাংশ, আর প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৭১ শতাংশ সেবা গ্রহীতাকে, পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি শিকার হয়েছেন ৮৬ শতাংশ সেবা গ্রহীতা, ঘুষ ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ঘুষ দিতে হয়েছে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ সেবা গ্রহীতাকে। বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ, ঘুষের শিকার ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া ভূমিসেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি শিকার ৫১ শতাংশ, ঘুষ দিতে হয়েছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশকে।
উল্লেখ্য, ৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
গত এক বছরে খানা জরিপে সেবা খাতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিন খাত চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে এই সময়ে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানটির খানা জরিপে একই সঙ্গে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাত সর্বোচ্চ গড় ঘুষ গ্রহণকারী হিসেবে উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। ১৭টি খাত ও সেবার ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
টিআইবির খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবা খাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এই সময়ে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা এবং ঘুষের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ খানা; সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই পরিমাণ অর্থ দেশের মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেবা পেতে পরিবার বা খানাপ্রতি সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমিসেবা ও ব্যাংকিং খাতে। সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে। আর ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুষের শিকার হয়েছে। সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচারিক সেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুষের উচ্চ হার অব্যাহত রয়েছে, যা সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা; অন্যদিকে ভূমি সেবা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএর মতো সেবায় উচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষ বিদ্যমান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এই সময়ে বিআরটিএতে সেব নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৮৬ শতাংশ, আর প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৭১ শতাংশ সেবা গ্রহীতাকে, পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি শিকার হয়েছেন ৮৬ শতাংশ সেবা গ্রহীতা, ঘুষ ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ঘুষ দিতে হয়েছে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ সেবা গ্রহীতাকে। বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ, ঘুষের শিকার ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া ভূমিসেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি শিকার ৫১ শতাংশ, ঘুষ দিতে হয়েছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশকে।
উল্লেখ্য, ৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
৫ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৫ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
৭ ঘণ্টা আগে