Ajker Patrika

ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, আমরাও ব্যবসা করি, অংশীদার চাই: ড. ইউনূস

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯: ২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্মাণ করতে চান।

তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, আমরাও ব্যবসা করি। আমরা কোনো দানের অর্থ চাই না, আমরা চাই একজন ব্যবসায়িক অংশীদার।’

টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতা দখল করা অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রাখা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক এই সমর্থনের প্রতীকী উদাহরণ।

তবে আগামী জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ, নির্বাচনে মাত্র ছয়দিন আগে গত ৩১ অক্টোবর ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লেখেন, ‘হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর বর্বর হামলা এবং লুটপাট চলছে, যা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মন্তব্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আওয়ামী লীগ ও ভারতীয়-আমেরিকান প্রভাবশালী গোষ্ঠী বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে লবিং করছে।

এমন প্রেক্ষাপটে অতীত অবস্থান থেকে সরে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন। তবে তবে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ফিরে আসা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সুখকর নাও হতে পারে। তা সময়ই বলে দেবে। প্রথম মেয়াদে ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয় ও বন্ধু হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় আমাদের এতটাই আঘাত করেছে যে সকালে আমি কথা বলতে পারছিলাম না।’

গুঞ্জন উঠেছে, নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কারণ, আগেরবার ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বন্ধু হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার তিনি সরকারপ্রধান হওয়ার পর বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করছেন ট্রাম্প।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণায় টাকা ঢালার অভিযোগ উঠেছিল। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন গ্রামীণ আমেরিকা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ১ লাখ থেকে ২ দশমিক ৫ লাখ ডলার এবং গ্রামীণ রিসার্চ ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার দান করেছিল।

ওই প্রসঙ্গ তুলে ধরে ট্রাম্পও ড. ইউনূসকে কটাক্ষ করেছিলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতার সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। তাতে দাবি করা হয়, বিজয়ের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল। তখন ট্রাম্প তাঁদের বলেন, ‘ঢাকার ক্ষুদ্রঋণের লোকটি কোথায়? শুনেছি আমার হারের জন্য টাকা ঢেলেছেন তিনি।’ (Where is the micro-finance guy from Dhaka... I heard he donated to see me lose.) এই মন্তব্যের পর বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা বিস্মিত হন বলে জানা যায়।

ইউনূসের ট্রাম্প-বিরোধী বক্তব্য এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে ট্রাম্পের প্রকাশ্য নিন্দা ইউনূসের জন্য ওয়াশিংটনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বেড়েছে, যেটাকে ইউনূস রাজনৈতিক ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ট্রাম্প এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকলে এটি ঘটত না।’ তিনি আমেরিকা ও বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইউনূসের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা। ট্রাম্পের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংকট থেকে বের হতে সাহায্যের জন্য অর্থ চাইছি না; আমরা চাই সমানভাবে ব্যবসা করার সুযোগ।’

এদিকে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য একটি আর্থিক অনুদান চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ও নির্বাচনের আগে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। এতে বিএনপি ক্ষুব্ধ হয়েছিল, কারণ দলটি দ্রুত নির্বাচন চায়। এখন সেই আর্থিক অনুদান বাংলাদেশ পায় কিনা সেটি দেখার বিষয়। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশা প্রকাশ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে টাকা আত্মসাৎ, ৬ এজেন্সির মালিক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে টাকা আত্মসাৎ, ৬ এজেন্সির মালিক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থেকেও নির্বাচন করতে পারেন: আসাদুজ্জামান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২০
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি

ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের কর্মচারী নন, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করতে পারেন। এখানে কোনো অ্যাম্বিগুইটির (অস্পষ্টতা) কিছু নেই। এটা সেটেল ল।

মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, ততক্ষণ রাষ্ট্রের আইনজীবী। দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করেছি। এর বাইরে না, এর ওপরে-নিচে কোনো জায়গায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মনে করে, সরকারের কোনো অ্যাকশন ডিফেন্ডেবল না, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর; আমি সেই সরকারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারি—দ্যাট ইজ ল।’

এর আগে গতকাল বুধবার পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’

গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতারক চক্র জনপ্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছবি প্রোফাইল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পুলিশ সদর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো আইডিতে পরিচিত ব্যক্তির ছবি থাকলেই সেটি তাঁর নিজের নম্বর—এমন ধারণা করা ঠিক নয়। এ ধরনের বার্তায় প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। এ ধরনের প্রতারণায় কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।

প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।

বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।

সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত