আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রমজানে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, বিদেশি কিছু ফল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগিসহ ১২ থেকে ১৫ ধরনের পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। বাড়তি চাহিদার সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরই রোজার আগে সরবরাহের সংকট দেখিয়ে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন তাঁরা। এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানিতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি আগেই ছিল। এখন এই ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি, বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোসহ বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না ভোক্তার।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে। আর তদারকিতেও দুর্বলতা রয়েছে। যার কারণে ভোজ্যতেলের বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তবে তদারকি জোরদার এবং কর্মসূচিগুলোর আওতা বাড়াতে পারলে এবার রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হবে। এবার রমজানে বাজার স্থির রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাল, তেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছে। এতে আমদানি অনেকটাই বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আলু, পেঁয়াজ, ডিম, চিনি ও খেজুরের দাম বাড়েনি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তিনটি দল গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার থেকে এই টিম বাজার তদারকি শুরু করেছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ৬টি দল কাজ করলেও রমজানে কাজ করবে ১০টি দল।
জানতে চাইলে তদারকি টিমের দলনেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বুধবার সারা দিন বিভিন্ন বাজারে তদারকি করে ভোজ্যতেল ছাড়া বাকি সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক দেখেছি। এসব পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়কে আমরা তেলের বিষয়ে রিপোর্ট করেছি। আশা করছি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি পরিস্থিতি ভালো। সে হিসেবে আগামী রমজানে সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করছি আমরা।’
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী রমজানে ভালো থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যসচিব (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রহিম খানও।
গতকাল তদারকির বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, বাজারের সমস্যাগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আরও নেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পূর্ণাঙ্গ করা, হিমাগারের ভাড়াবৃদ্ধির সমস্যা নিরসন, সয়াবিন তেলের সংকট দূর করা, পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে টিসিবির পণ্য পরিবহনে সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে রমজানে সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ৬০ হাজার পিস ডিম, ৬ হাজার লিটার দুধ, ২ হাজার কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস এবং ২ থেকে আড়াই হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ঢাকা শহরে ২৫টি জায়গায় এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়া রমজানে প্রতি কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস ২৫০ টাকা, প্রতি লিটার পাস্তুরিত দুধ ৮০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১১৪ টাকা ও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এসব পণ্য বিক্রির জন্য বস্তি এলাকার পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব জায়গাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গত সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান।
এদিকে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে আট বিভাগের ৬১টি জেলার ৩৬৪ উপজেলায় ৩৭৭টি পয়েন্টে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলছে, যা রমজানেও চলবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৩ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে ৫০ লাখ পরিবারকে। পাশাপাশি ঈদের সময় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্য সুলভ মূল্যে এবং বিনা মূল্যে বিতরণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, রোজার মাসে প্রায় ৭ লাখ টন খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ হাজার টন করে দুই মাসে ১ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন করে বিতরণ করা হবে আরও ১ লাখ টন চাল। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২২টি কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাক থাকবে, যা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নিয়ে তদারক করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
তবে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া যথাযথ কার্যকর মনিটরিংয়েরও ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় সরকারের ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি খুবই অপ্রতুল বলেও মনে করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, সরকার মূল জায়গায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। আগের সরকারের চেয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এগুলো সবই শহরকেন্দ্রিক। পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়াতে হবে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, এ বছর সেসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এমনকি ভোজ্যতেলের মজুতও পর্যাপ্ত। কিন্তু সমস্যা হলো কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি। রোজার সময় ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তোলে। আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান আগের সরকারের দুর্বল দিকগুলো নজরে রেখে এবার বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু গতানুগতিকের বাইরে যেতে পারেনি তারাও।’
নাজের হোসেন বলেন, তেলের বাজারে সমস্যাগুলো সমাধান হয়নি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বারবার বলছে এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক করার পদক্ষেপ দেখছি না। ব্যবসায়ীরা যখন চাইবেন, এই সমস্যা শেষ হবে। কিন্তু ততক্ষণে তাঁদের বাড়তি মুনাফা করা হয়ে যাবে।
গত বছর রোজার সময় ১ কোটি পরিবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারলেও এবার পাচ্ছে ৫৭ লাখ কার্ডধারী। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ৭০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার মানুষের জন্য পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।

রমজানে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, বিদেশি কিছু ফল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগিসহ ১২ থেকে ১৫ ধরনের পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। বাড়তি চাহিদার সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরই রোজার আগে সরবরাহের সংকট দেখিয়ে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন তাঁরা। এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানিতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি আগেই ছিল। এখন এই ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি, বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোসহ বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না ভোক্তার।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে। আর তদারকিতেও দুর্বলতা রয়েছে। যার কারণে ভোজ্যতেলের বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তবে তদারকি জোরদার এবং কর্মসূচিগুলোর আওতা বাড়াতে পারলে এবার রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হবে। এবার রমজানে বাজার স্থির রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাল, তেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছে। এতে আমদানি অনেকটাই বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আলু, পেঁয়াজ, ডিম, চিনি ও খেজুরের দাম বাড়েনি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তিনটি দল গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার থেকে এই টিম বাজার তদারকি শুরু করেছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ৬টি দল কাজ করলেও রমজানে কাজ করবে ১০টি দল।
জানতে চাইলে তদারকি টিমের দলনেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বুধবার সারা দিন বিভিন্ন বাজারে তদারকি করে ভোজ্যতেল ছাড়া বাকি সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক দেখেছি। এসব পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়কে আমরা তেলের বিষয়ে রিপোর্ট করেছি। আশা করছি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি পরিস্থিতি ভালো। সে হিসেবে আগামী রমজানে সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করছি আমরা।’
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী রমজানে ভালো থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যসচিব (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রহিম খানও।
গতকাল তদারকির বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, বাজারের সমস্যাগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আরও নেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পূর্ণাঙ্গ করা, হিমাগারের ভাড়াবৃদ্ধির সমস্যা নিরসন, সয়াবিন তেলের সংকট দূর করা, পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে টিসিবির পণ্য পরিবহনে সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে রমজানে সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ৬০ হাজার পিস ডিম, ৬ হাজার লিটার দুধ, ২ হাজার কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস এবং ২ থেকে আড়াই হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ঢাকা শহরে ২৫টি জায়গায় এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়া রমজানে প্রতি কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস ২৫০ টাকা, প্রতি লিটার পাস্তুরিত দুধ ৮০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১১৪ টাকা ও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এসব পণ্য বিক্রির জন্য বস্তি এলাকার পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব জায়গাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গত সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান।
এদিকে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে আট বিভাগের ৬১টি জেলার ৩৬৪ উপজেলায় ৩৭৭টি পয়েন্টে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলছে, যা রমজানেও চলবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৩ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে ৫০ লাখ পরিবারকে। পাশাপাশি ঈদের সময় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্য সুলভ মূল্যে এবং বিনা মূল্যে বিতরণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, রোজার মাসে প্রায় ৭ লাখ টন খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ হাজার টন করে দুই মাসে ১ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন করে বিতরণ করা হবে আরও ১ লাখ টন চাল। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২২টি কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাক থাকবে, যা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নিয়ে তদারক করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
তবে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া যথাযথ কার্যকর মনিটরিংয়েরও ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় সরকারের ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি খুবই অপ্রতুল বলেও মনে করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, সরকার মূল জায়গায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। আগের সরকারের চেয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এগুলো সবই শহরকেন্দ্রিক। পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়াতে হবে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, এ বছর সেসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এমনকি ভোজ্যতেলের মজুতও পর্যাপ্ত। কিন্তু সমস্যা হলো কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি। রোজার সময় ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তোলে। আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান আগের সরকারের দুর্বল দিকগুলো নজরে রেখে এবার বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু গতানুগতিকের বাইরে যেতে পারেনি তারাও।’
নাজের হোসেন বলেন, তেলের বাজারে সমস্যাগুলো সমাধান হয়নি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বারবার বলছে এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক করার পদক্ষেপ দেখছি না। ব্যবসায়ীরা যখন চাইবেন, এই সমস্যা শেষ হবে। কিন্তু ততক্ষণে তাঁদের বাড়তি মুনাফা করা হয়ে যাবে।
গত বছর রোজার সময় ১ কোটি পরিবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারলেও এবার পাচ্ছে ৫৭ লাখ কার্ডধারী। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ৭০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার মানুষের জন্য পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রমজানে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, বিদেশি কিছু ফল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগিসহ ১২ থেকে ১৫ ধরনের পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। বাড়তি চাহিদার সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরই রোজার আগে সরবরাহের সংকট দেখিয়ে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন তাঁরা। এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানিতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি আগেই ছিল। এখন এই ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি, বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোসহ বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না ভোক্তার।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে। আর তদারকিতেও দুর্বলতা রয়েছে। যার কারণে ভোজ্যতেলের বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তবে তদারকি জোরদার এবং কর্মসূচিগুলোর আওতা বাড়াতে পারলে এবার রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হবে। এবার রমজানে বাজার স্থির রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাল, তেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছে। এতে আমদানি অনেকটাই বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আলু, পেঁয়াজ, ডিম, চিনি ও খেজুরের দাম বাড়েনি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তিনটি দল গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার থেকে এই টিম বাজার তদারকি শুরু করেছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ৬টি দল কাজ করলেও রমজানে কাজ করবে ১০টি দল।
জানতে চাইলে তদারকি টিমের দলনেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বুধবার সারা দিন বিভিন্ন বাজারে তদারকি করে ভোজ্যতেল ছাড়া বাকি সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক দেখেছি। এসব পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়কে আমরা তেলের বিষয়ে রিপোর্ট করেছি। আশা করছি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি পরিস্থিতি ভালো। সে হিসেবে আগামী রমজানে সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করছি আমরা।’
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী রমজানে ভালো থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যসচিব (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রহিম খানও।
গতকাল তদারকির বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, বাজারের সমস্যাগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আরও নেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পূর্ণাঙ্গ করা, হিমাগারের ভাড়াবৃদ্ধির সমস্যা নিরসন, সয়াবিন তেলের সংকট দূর করা, পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে টিসিবির পণ্য পরিবহনে সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে রমজানে সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ৬০ হাজার পিস ডিম, ৬ হাজার লিটার দুধ, ২ হাজার কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস এবং ২ থেকে আড়াই হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ঢাকা শহরে ২৫টি জায়গায় এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়া রমজানে প্রতি কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস ২৫০ টাকা, প্রতি লিটার পাস্তুরিত দুধ ৮০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১১৪ টাকা ও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এসব পণ্য বিক্রির জন্য বস্তি এলাকার পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব জায়গাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গত সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান।
এদিকে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে আট বিভাগের ৬১টি জেলার ৩৬৪ উপজেলায় ৩৭৭টি পয়েন্টে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলছে, যা রমজানেও চলবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৩ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে ৫০ লাখ পরিবারকে। পাশাপাশি ঈদের সময় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্য সুলভ মূল্যে এবং বিনা মূল্যে বিতরণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, রোজার মাসে প্রায় ৭ লাখ টন খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ হাজার টন করে দুই মাসে ১ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন করে বিতরণ করা হবে আরও ১ লাখ টন চাল। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২২টি কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাক থাকবে, যা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নিয়ে তদারক করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
তবে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া যথাযথ কার্যকর মনিটরিংয়েরও ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় সরকারের ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি খুবই অপ্রতুল বলেও মনে করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, সরকার মূল জায়গায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। আগের সরকারের চেয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এগুলো সবই শহরকেন্দ্রিক। পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়াতে হবে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, এ বছর সেসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এমনকি ভোজ্যতেলের মজুতও পর্যাপ্ত। কিন্তু সমস্যা হলো কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি। রোজার সময় ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তোলে। আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান আগের সরকারের দুর্বল দিকগুলো নজরে রেখে এবার বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু গতানুগতিকের বাইরে যেতে পারেনি তারাও।’
নাজের হোসেন বলেন, তেলের বাজারে সমস্যাগুলো সমাধান হয়নি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বারবার বলছে এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক করার পদক্ষেপ দেখছি না। ব্যবসায়ীরা যখন চাইবেন, এই সমস্যা শেষ হবে। কিন্তু ততক্ষণে তাঁদের বাড়তি মুনাফা করা হয়ে যাবে।
গত বছর রোজার সময় ১ কোটি পরিবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারলেও এবার পাচ্ছে ৫৭ লাখ কার্ডধারী। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ৭০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার মানুষের জন্য পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।

রমজানে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, বিদেশি কিছু ফল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগিসহ ১২ থেকে ১৫ ধরনের পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। বাড়তি চাহিদার সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরই রোজার আগে সরবরাহের সংকট দেখিয়ে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন তাঁরা। এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানিতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি আগেই ছিল। এখন এই ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি, বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোসহ বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না ভোক্তার।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে। আর তদারকিতেও দুর্বলতা রয়েছে। যার কারণে ভোজ্যতেলের বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তবে তদারকি জোরদার এবং কর্মসূচিগুলোর আওতা বাড়াতে পারলে এবার রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হবে। এবার রমজানে বাজার স্থির রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাল, তেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছে। এতে আমদানি অনেকটাই বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আলু, পেঁয়াজ, ডিম, চিনি ও খেজুরের দাম বাড়েনি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তিনটি দল গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার থেকে এই টিম বাজার তদারকি শুরু করেছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ৬টি দল কাজ করলেও রমজানে কাজ করবে ১০টি দল।
জানতে চাইলে তদারকি টিমের দলনেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বুধবার সারা দিন বিভিন্ন বাজারে তদারকি করে ভোজ্যতেল ছাড়া বাকি সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক দেখেছি। এসব পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়কে আমরা তেলের বিষয়ে রিপোর্ট করেছি। আশা করছি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি পরিস্থিতি ভালো। সে হিসেবে আগামী রমজানে সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করছি আমরা।’
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী রমজানে ভালো থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যসচিব (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রহিম খানও।
গতকাল তদারকির বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, বাজারের সমস্যাগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আরও নেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পূর্ণাঙ্গ করা, হিমাগারের ভাড়াবৃদ্ধির সমস্যা নিরসন, সয়াবিন তেলের সংকট দূর করা, পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে টিসিবির পণ্য পরিবহনে সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে রমজানে সাধারণ ভোক্তা ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ৬০ হাজার পিস ডিম, ৬ হাজার লিটার দুধ, ২ হাজার কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস এবং ২ থেকে আড়াই হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ঢাকা শহরে ২৫টি জায়গায় এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়া রমজানে প্রতি কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির মাংস ২৫০ টাকা, প্রতি লিটার পাস্তুরিত দুধ ৮০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১১৪ টাকা ও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এসব পণ্য বিক্রির জন্য বস্তি এলাকার পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব জায়গাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গত সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান।
এদিকে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে আট বিভাগের ৬১টি জেলার ৩৬৪ উপজেলায় ৩৭৭টি পয়েন্টে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলছে, যা রমজানেও চলবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৩ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে ৫০ লাখ পরিবারকে। পাশাপাশি ঈদের সময় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্য সুলভ মূল্যে এবং বিনা মূল্যে বিতরণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, রোজার মাসে প্রায় ৭ লাখ টন খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ হাজার টন করে দুই মাসে ১ লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন করে বিতরণ করা হবে আরও ১ লাখ টন চাল। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২২টি কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাক থাকবে, যা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নিয়ে তদারক করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
তবে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া যথাযথ কার্যকর মনিটরিংয়েরও ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় সরকারের ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি খুবই অপ্রতুল বলেও মনে করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, সরকার মূল জায়গায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। আগের সরকারের চেয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এগুলো সবই শহরকেন্দ্রিক। পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়াতে হবে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, এ বছর সেসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এমনকি ভোজ্যতেলের মজুতও পর্যাপ্ত। কিন্তু সমস্যা হলো কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি। রোজার সময় ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তোলে। আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান আগের সরকারের দুর্বল দিকগুলো নজরে রেখে এবার বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু গতানুগতিকের বাইরে যেতে পারেনি তারাও।’
নাজের হোসেন বলেন, তেলের বাজারে সমস্যাগুলো সমাধান হয়নি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বারবার বলছে এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক করার পদক্ষেপ দেখছি না। ব্যবসায়ীরা যখন চাইবেন, এই সমস্যা শেষ হবে। কিন্তু ততক্ষণে তাঁদের বাড়তি মুনাফা করা হয়ে যাবে।
গত বছর রোজার সময় ১ কোটি পরিবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারলেও এবার পাচ্ছে ৫৭ লাখ কার্ডধারী। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ৭০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার মানুষের জন্য পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা গতানুগতিক। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তা ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা অপ্রতুল। এবার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ রমজানের পণ্য পাবেন না প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার। তাই সরকারিভাবে এসব পণ্যের জোগান বাড়াতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৪ ঘণ্টা আগে