ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হজ পারমিট বা অনুমোদন ছাড়া হজ পালন করলে গুনতে হবে বিশাল অঙ্কের জরিমানা। শুধু তাই নয়, এভাবে হজ পালনে যাঁরা সহায়তা করবেন, তাঁদের গুনতে হবে কয়েক গুণ জরিমানা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় দেশে ও সৌদিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুমোদন ছাড়া হজ পালন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এর আগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, আসন্ন হজ মৌসুমে হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলে তাঁকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা গুনতে হবে। আর এ কাজে সহায়তা করলে ১ লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭২ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু জরিমানাই নয়, অপরাধ প্রমাণিত হলে আদালতের রায় অনুসারে এরূপ সহায়তাকারীর নিজস্ব যানবাহন বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সৌদি সরকার আরও জানিয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে কিংবা বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের চেষ্টা করে, তাহলে তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর তাঁকে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত এই বিধান কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজের অনুমতি ছাড়া পবিত্র মক্কা নগরী বা আশপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে কেউ প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবেন না। বিশেষ করে যাঁরা ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ওপর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নজরদারি থাকবে।
এই ঘোষণার আলোকে চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা সে দেশের পবিত্র স্থানগুলোতে অবস্থান না করতে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, হজ বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, পরিবহন করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা এবং তাদের হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদের অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশ সুগম করা, অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সৌদি সরকার। এই বিধিমালা অনুসারে সে দেশের পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতিপত্র, মক্কায় নিবন্ধিত বসবাসের প্রমাণপত্র (ইকামা) এবং সরকারিভাবে ইস্যু করা হজ পারমিট থাকলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করা যাবে।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় আইনকানুন কঠোরভাবে প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, হজের সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকার ঘোষিত আইনকানুন ও বিধিনিষেধ অনুসরণ করা আবশ্যক। মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠু ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অননুমোদিত হজ পালন থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক বলেন, হজ একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও টিমওয়ার্ক। সৌদি আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় হজ পরিচালিত হয়। তবে হজ-সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সৌদি আরব মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সুপরিকল্পিত কর্মসূচি, আইনকানুনের যথাযথ প্রয়োগ ও অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।
হজ পারমিট বা অনুমোদন ছাড়া হজ পালন করলে গুনতে হবে বিশাল অঙ্কের জরিমানা। শুধু তাই নয়, এভাবে হজ পালনে যাঁরা সহায়তা করবেন, তাঁদের গুনতে হবে কয়েক গুণ জরিমানা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় দেশে ও সৌদিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুমোদন ছাড়া হজ পালন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এর আগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, আসন্ন হজ মৌসুমে হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলে তাঁকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা গুনতে হবে। আর এ কাজে সহায়তা করলে ১ লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭২ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু জরিমানাই নয়, অপরাধ প্রমাণিত হলে আদালতের রায় অনুসারে এরূপ সহায়তাকারীর নিজস্ব যানবাহন বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সৌদি সরকার আরও জানিয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে কিংবা বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের চেষ্টা করে, তাহলে তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর তাঁকে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত এই বিধান কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজের অনুমতি ছাড়া পবিত্র মক্কা নগরী বা আশপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে কেউ প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবেন না। বিশেষ করে যাঁরা ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ওপর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নজরদারি থাকবে।
এই ঘোষণার আলোকে চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা সে দেশের পবিত্র স্থানগুলোতে অবস্থান না করতে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, হজ বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, পরিবহন করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা এবং তাদের হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদের অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশ সুগম করা, অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সৌদি সরকার। এই বিধিমালা অনুসারে সে দেশের পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতিপত্র, মক্কায় নিবন্ধিত বসবাসের প্রমাণপত্র (ইকামা) এবং সরকারিভাবে ইস্যু করা হজ পারমিট থাকলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করা যাবে।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় আইনকানুন কঠোরভাবে প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, হজের সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকার ঘোষিত আইনকানুন ও বিধিনিষেধ অনুসরণ করা আবশ্যক। মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠু ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অননুমোদিত হজ পালন থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক বলেন, হজ একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও টিমওয়ার্ক। সৌদি আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় হজ পরিচালিত হয়। তবে হজ-সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সৌদি আরব মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সুপরিকল্পিত কর্মসূচি, আইনকানুনের যথাযথ প্রয়োগ ও অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।
বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
৭ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে এ বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৮ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে