জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
বিভুদা এভাবে চলে যাবেন, সেটা আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি। আজকের পত্রিকা পরিবার গত বৃহস্পতিবার থেকেই ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিল। সেদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর ফেরেননি। বউদি উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন, থানায় জিডি করা হয়েছিল। বিভুদা ফোন নিয়ে বের হননি, তাই কেউ খুঁজে পাচ্ছিল না তাঁকে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসানসহ আমরা যখন বিভুদার বাড়িতে যাই, তখনো মনে আশা, কোথাও হয়তো আছেন তিনি।
যখন ইচ্ছা বেরিয়ে আসবেন। দুশ্চিন্তা কাটবে সবার। কিন্তু বিভুদার অনুজ চিররঞ্জন সরকার যখন বিকেল ৫টার দিকে জানালেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে একটি লাশ পাওয়া গেছে, ছবি দেখে মনে হচ্ছে বিভুদারই, তখন থেকেই বিষণ্নতায় আমাদের বসবাস।
কত স্মৃতিই না আছে বিভুদাকে ঘিরে। ১৯৯৬ সালে যখন পিএইচডি করে দেশে ফিরি, তখন দৈনিক সংবাদের পাশাপাশি বিভুদার চলতিপত্রে লেখালেখি করেছি। এরপর মৃদুভাষণেও লিখেছি দীর্ঘদিন। আজকের পত্রিকায় একসঙ্গে কাজ শুরু করেছি আমরা।
বিভুদা মাঝে মাঝে হতাশ হতেন। জীবনে কিছুই করতে পারলেন না বলে আক্ষেপ করতেন। মূলত তিনি যে মাপের সাংবাদিক, তাতে তাঁর আর্থিক সংগতি হলো না, এটাই ছিল আক্ষেপের বিষয়। কিন্তু এ কথা সত্যি, আজকের পত্রিকার বিভিন্ন ফ্লোরে গিয়ে তরুণদের সঙ্গে গল্প করতেন তিনি। সম্পাদনা সহকারীদের পাশে বসে লেখা সম্পাদনায় সহযোগিতা করতেন। আজকের পত্রিকার একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো, সবার সঙ্গে সব বিষয়ে কথা বলা যায়। বিভুদার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কতটা প্রাণবন্ত ছিলেন, আমুদে ছিলেন, আড্ডাবাজ ছিলেন, সে কথা বলতে গিয়ে স্থবির হয়ে যেতে চাইছে মন।
কখনো কখনো বলতেন, চাকরি ছেড়ে দেবেন। কামরুল ভাই তাঁকে ডেকে নিতেন। গল্প করতেন। তারপর তাঁর মন শান্ত হতো।
কলাম লেখক হিসেবে বিভুদার সুনাম ছিল সেই আশির দশক থেকেই। ক্ষুরধার ছিল তাঁর লেখনী। সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে তারিখ ইব্রাহিম নামে লিখতেন। তাতে তিনি তারকা সাংবাদিকের তকমা পেয়েছিলেন। এই বিষয়ে অনেক মজার ঘটনা বলতেন আসর করে।
একজন অভিভাবক হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম। চাকরিতে নিয়োগের আগেই তাঁকে বলে নিয়েছিলাম, লেখালেখিতে তাঁর স্বাধীনতা থাকবে। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক। সেভাবেই চলছিল আমাদের চারজনের সম্পাদকীয় পরিবার।
সাংবাদিকের কাজ সত্য বলা। চ্যালেঞ্জ করা। সে কাজটি করেছেন তিনি তাঁর লেখায়। যথাসম্ভব বস্তুনিষ্ঠ থাকতে চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাঁর অবস্থান ছিল পরিষ্কার। মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা দেখলে তিনি সুস্থির থাকতে পারতেন না।
আজকের পত্রিকার জন্য এ এক বড় আঘাত। অভিমান যে এত প্রগাঢ় হয়ে যুক্তিকে হারিয়ে দেবে, সে কথা আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি। তাঁর নাতি পরমকে কী গভীর ভালোই না বাসতেন। শুক্রবার পরমকে কাছে থেকে দেখে এলাম। অবোধ শিশুটি জানে না, তাঁর পরমপ্রিয় দাদু আর ফিরবেন না। তাঁর পরিবারের পক্ষে এই শোক সহ্য করা কঠিন।
বিভুদাকে এত তাড়াতাড়ি বিদায় বলতে হবে, তা ভাবিনি কখনো। আশা করেছিলাম, তাঁর চিন্তাক্লিষ্ট মুখে হাসি ফুটবে নিশ্চয়ই। কিন্তু তা আর হলো কই? বরং শোকের রঙে রাঙিয়ে দিলেন দিনটি।
বিদায় বিভুদা। আপনাকে নিয়ে এ রকম একটি বিষণ্ন লেখাও লিখতে হবে, কে জানত!
বিভুদা এভাবে চলে যাবেন, সেটা আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি। আজকের পত্রিকা পরিবার গত বৃহস্পতিবার থেকেই ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিল। সেদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর ফেরেননি। বউদি উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন, থানায় জিডি করা হয়েছিল। বিভুদা ফোন নিয়ে বের হননি, তাই কেউ খুঁজে পাচ্ছিল না তাঁকে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসানসহ আমরা যখন বিভুদার বাড়িতে যাই, তখনো মনে আশা, কোথাও হয়তো আছেন তিনি।
যখন ইচ্ছা বেরিয়ে আসবেন। দুশ্চিন্তা কাটবে সবার। কিন্তু বিভুদার অনুজ চিররঞ্জন সরকার যখন বিকেল ৫টার দিকে জানালেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে একটি লাশ পাওয়া গেছে, ছবি দেখে মনে হচ্ছে বিভুদারই, তখন থেকেই বিষণ্নতায় আমাদের বসবাস।
কত স্মৃতিই না আছে বিভুদাকে ঘিরে। ১৯৯৬ সালে যখন পিএইচডি করে দেশে ফিরি, তখন দৈনিক সংবাদের পাশাপাশি বিভুদার চলতিপত্রে লেখালেখি করেছি। এরপর মৃদুভাষণেও লিখেছি দীর্ঘদিন। আজকের পত্রিকায় একসঙ্গে কাজ শুরু করেছি আমরা।
বিভুদা মাঝে মাঝে হতাশ হতেন। জীবনে কিছুই করতে পারলেন না বলে আক্ষেপ করতেন। মূলত তিনি যে মাপের সাংবাদিক, তাতে তাঁর আর্থিক সংগতি হলো না, এটাই ছিল আক্ষেপের বিষয়। কিন্তু এ কথা সত্যি, আজকের পত্রিকার বিভিন্ন ফ্লোরে গিয়ে তরুণদের সঙ্গে গল্প করতেন তিনি। সম্পাদনা সহকারীদের পাশে বসে লেখা সম্পাদনায় সহযোগিতা করতেন। আজকের পত্রিকার একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো, সবার সঙ্গে সব বিষয়ে কথা বলা যায়। বিভুদার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কতটা প্রাণবন্ত ছিলেন, আমুদে ছিলেন, আড্ডাবাজ ছিলেন, সে কথা বলতে গিয়ে স্থবির হয়ে যেতে চাইছে মন।
কখনো কখনো বলতেন, চাকরি ছেড়ে দেবেন। কামরুল ভাই তাঁকে ডেকে নিতেন। গল্প করতেন। তারপর তাঁর মন শান্ত হতো।
কলাম লেখক হিসেবে বিভুদার সুনাম ছিল সেই আশির দশক থেকেই। ক্ষুরধার ছিল তাঁর লেখনী। সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে তারিখ ইব্রাহিম নামে লিখতেন। তাতে তিনি তারকা সাংবাদিকের তকমা পেয়েছিলেন। এই বিষয়ে অনেক মজার ঘটনা বলতেন আসর করে।
একজন অভিভাবক হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম। চাকরিতে নিয়োগের আগেই তাঁকে বলে নিয়েছিলাম, লেখালেখিতে তাঁর স্বাধীনতা থাকবে। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক। সেভাবেই চলছিল আমাদের চারজনের সম্পাদকীয় পরিবার।
সাংবাদিকের কাজ সত্য বলা। চ্যালেঞ্জ করা। সে কাজটি করেছেন তিনি তাঁর লেখায়। যথাসম্ভব বস্তুনিষ্ঠ থাকতে চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাঁর অবস্থান ছিল পরিষ্কার। মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা দেখলে তিনি সুস্থির থাকতে পারতেন না।
আজকের পত্রিকার জন্য এ এক বড় আঘাত। অভিমান যে এত প্রগাঢ় হয়ে যুক্তিকে হারিয়ে দেবে, সে কথা আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি। তাঁর নাতি পরমকে কী গভীর ভালোই না বাসতেন। শুক্রবার পরমকে কাছে থেকে দেখে এলাম। অবোধ শিশুটি জানে না, তাঁর পরমপ্রিয় দাদু আর ফিরবেন না। তাঁর পরিবারের পক্ষে এই শোক সহ্য করা কঠিন।
বিভুদাকে এত তাড়াতাড়ি বিদায় বলতে হবে, তা ভাবিনি কখনো। আশা করেছিলাম, তাঁর চিন্তাক্লিষ্ট মুখে হাসি ফুটবে নিশ্চয়ই। কিন্তু তা আর হলো কই? বরং শোকের রঙে রাঙিয়ে দিলেন দিনটি।
বিদায় বিভুদা। আপনাকে নিয়ে এ রকম একটি বিষণ্ন লেখাও লিখতে হবে, কে জানত!
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। আজ শনিবার দুপুরে বিশেষ একটি ফ্লাইটে করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
২৬ মিনিট আগেআসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোন ধরনের অস্ত্র ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগেময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, `লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচনশীল ছিল। আমরা যতদুর দেখেছি শরীরের বাহিরে ও ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পেলাম না। তার পরেও শরীরের কিছু অংশ (দাত, চুল, লিভার, কিডনি, পাকস্থলীর) নিয়েছি। এগুলো ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার লক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে