Ajker Patrika

বাংলা ফন্টে যুক্ত হলো একগুচ্ছ প্রযুক্তিসেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ০১
বাংলা ফন্টে যুক্ত হলো একগুচ্ছ প্রযুক্তিসেবা

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তিনটি সফটওয়্যার (বাংলা টেক্সট টু স্পিচ—উচ্চারণ, বাংলা স্পিচ টু টেক্সট—কথা ও বাংলা ওসিআর-বর্ণ), একটি বাংলা ফন্ট (পূর্ণ), বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জিপনের দুটি (সুলভ ও ভাষা) ইন্টারনেট সেবা প্যাকেজ ও টেলিটকের ই-সিম উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এই সেবাগুলো উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রদর্শনীতে নিজেদের ভাষায় ভাষাকে ভালোবাসার কথা শোনায় দেশের ৪০টি নৃগোষ্ঠী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উচ্চারণ হচ্ছে বাংলা টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যার কম্পিউটারে বা ওয়েবসাইটের লেখা উচ্চারণ করে পড়ে দেয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বাংলা লেখা পড়ার জন্য সফটওয়্যার। এটি ব্যবহারের ওয়েব অ্যাড্রেস www.voice.bangla.gov.bd; কথা হচ্ছে কম্পিউটারে বাংলায় কথা বলে লেখা বা রেকর্ডেড অডিও ট্রানস্ক্রিপশনের সফটওয়্যার। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ভয়েস টাইটিং ও সাবটাইটেল তৈরির জন্য শক্তিশালী অ্যাপ্লিকেশন। এটি ব্যবহারের ওয়েব অ্যাড্রেস www.read.bangla.gov.bd; বর্ণ হচ্ছে ছবি থেকে লেখায় রূপান্তরের সফটওয়্যার। www.ocr.bangla.gov.bd—এই ওয়েবসাইটে বর্ণ ব্যবহার করা যাবে; পূর্ণ ফন্ট একটি অনন্য সাধারণ বাংলা ইউনিকোড ফন্ট; যা ফন্ট-সংক্রান্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পর ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা প্রকাশনায় প্রয়োজনীয় সব টাইপোগ্রাফিক ফিচার। একই সঙ্গে বাংলা ভাষার বৈশিষ্ট্যকেও যথাযথভাবে প্রকাশ করছে এই ফন্ট। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহার ছাড়াও এই ফন্ট মুদ্রণকাজে এবং ওয়েবে ব্যবহার উপযোগী। ফন্টে স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, বিরাম চিহ্ন, ইংরেজি বর্ণ, গাণিতিক চিহ্ন, অসমীয়া স্বতন্ত্র সেট, ইন্ডিক-বাংলা সমর্থনকারী গ্লিফ, হোমোগ্রাফ, জনপ্রিয় আইকন বা লোগোসহ প্রয়োজনীয় সব গ্লিফ রয়েছে। ফন্টটি https://bangla.gov.bd/fonts/ ঠিকানা থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নতুন সেবার সঙ্গে গুগল জি-বোর্ডের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে এর অ্যাকিউরিসি রেট। উচ্চারণ, কথা, বর্ণমালা, পূর্ণ, অনুভব, ধ্বনি, গুরু—সবকিছুই বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের গবেষক ও উদ্ভাবকেরাই এসব প্রযুক্তিসেবা তৈরি করেছেন। তাঁরা নিজেদের নকশায় ১৬ ধরনের কম্পোনেন্ট ও ৪০ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করেছেন।

পলক বলেন, ‘জিপন-আধুনিক উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা গ্রামীণ প্রান্তিকে আমরা বিটিসিএলের মাধ্যমে দিতে চাই। বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ জিপনের বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজের আওতায় ৫ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্যে ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের আওতায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়। ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের বিদ্যমান মূল্য ৮০০ টাকা। এখন থেকে ১৫ এমবিপিএস পাওয়া যাবে ৮০০ টাকায়। ১৫ এমবিপিএস বিদ্যমান মূল্য ১ হাজার ৫০ টাকা, এখন থেকে সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ১ হাজার ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ২০ এমবিপিএস। বিদ্যমান মূল্যে ২০ এমবিপিএসের দাম ছিল ১ হাজার ২৫০ টাকা। বিদ্যমান মূল্যে ২৫ এমবিপিএসের দাম ১ হাজার ৪৫০ টাকা। ২৫ এমবিপিএসের পরিবর্তিত প্যাকেজ মূল্য ১ হাজার ৩০০ টাকা। ৩০ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা। পরিবর্তিত মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। ৪০ এমবিপিএসের মূল্য ২ হাজার ৫০ টাকা, পরিবর্তিত মূল্য ২ হাজার টাকা। ৫০ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্য ২ হাজার ৪৫০ টাকা, পরিবর্তিত দাম রাখা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। এ সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য হবে। বিটিসিএল থেকে বিটিসিএলে কল ফ্রি থাকবে। ৫ থেকে ১০ এমবিপিএস হলে রাউটারটা ফ্রি দেওয়া হবে। গ্রাহক একটি রাউটার ফ্রি পাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে শুধু টেলিটক ছাড়া অন্য কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে বাধ্য হয়ে মানুষ কিনছে। টেলিটকের সেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাংলালিংকের যে নেটওয়ার্ক আছে, সেই অ্যাকটিভ নেটওয়ার্ক শেয়ার করার প্রস্তাব দিয়েছি। টেলিটক, বাংলালিংক ও বিটিআরসির প্রযুক্তিবিদেরা এটি টেস্ট করে সফল হয়েছেন। অ্যাকটিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারও টেলিটকের ব্যবহারকারীদের অল্পদিনের মধ্যে উপহার দিতে পারব। এটি হলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক না থাকলেও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক থাকলেই হবে। এর জন্য একটি চার্জ বিটিআরসি নির্ধারণ করে দেবে।’

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক দলগুলো অপরের বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে: আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আজ সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।

আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’

আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই জাতীয় সনদ: আদেশ জারি হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে

তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ২৭
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।

সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।

সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।

জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।

সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।

গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: ইচ্ছেমতো ফি চলবে না

  • বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সংশোধনীর খসড়া তৈরি
  • খসড়াটি চূড়ান্ত করার পর পাঠানো হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে
  • উপাচার্যসহ তিন পদে নিয়োগে সার্চ কমিটি করার প্রস্তাব
  • ট্রাস্টি বোর্ডে একই পরিবারের পাঁচজনের বেশি সদস্য নয়
রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: ইচ্ছেমতো ফি চলবে না

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি আদায় বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির পর টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়ানো যাবে না। টিউশন ফি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে। অন্য কোনো নামেও ফি আদায় করা যাবে না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৫ (সংশোধিত)-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি করার বিধান রাখা হয়েছে।

বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করে কেবল ইউজিসিকে জানায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এ ফি নির্ধারণে ইউজিসির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পর হঠাৎ করে টিউশন ও অন্যান্য ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় লিখিত নোটিশও দেয় না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সংশোধিত নতুন আইন কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইচ্ছেমতো’ টিউশন ফি নির্ধারণ ও আদায় করতে পারবে না। এতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। ভোগান্তিরও অবসান হবে।

জানতে চাইলে গত বুধবার ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংশোধিত আইনের খসড়াটি শিগগির চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় তা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

ইউজিসির সূত্র বলছে, গত ২৩ অক্টোবর ইউজিসির ৫৭তম মাসিক সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৫-এর সংশোধনীর খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়। ওই সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে একটি কমিটি করার এবং অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।

সংশোধিত আইনের খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানো, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়ে ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ, একাডেমিক প্রোগ্রাম অনুমোদনে বাধ্যবাধকতা, ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন, যৌন হয়রানি নিরোধ ও সাইবার নিরাপত্তা কমিটি করাসহ বেশ কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৬টি। এগুলোর মধ্যে ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে। ৪টির কার্যক্রম নানা কারণে বন্ধ রয়েছে। আর বাকি ৫টির একাডেমিক কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন।

সংশোধিত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি মো. সবুর খান বলেন, ইউজিসি এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য ডাকলে তাঁরা মতামত দেবেন।

সংশোধিত আইনের খসড়ায় টিউশন ফির বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফি কাঠামো তৈরি করে কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নেবে এবং সরকারকে জানাবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফির হার ৫০ শতাংশ বেশি হবে। একজন শিক্ষার্থী যে ফি কাঠামোয় ভর্তি হবেন, প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনোক্রমেই তা বাড়ানো যাবে না। অন্য কোনো নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি আদায় করা যাবে না।

খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিধান লঙ্ঘনে অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। এর আগে ছিল ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। সার্টিফিকেট (সনদ) জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম ন্যূনতম দুই বছর বন্ধের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খসড়ায় তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে, এই সময়সীমা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনক্রমে আরও ৩০ দিন বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া কমিশনের তদন্ত, তল্লাশি ও গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ক্ষমতাও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাল সনদ তৈরি বা অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনার ক্ষেত্রে কমিশনের টিমকে তাৎক্ষণিক তল্লাশি, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, দলিল ও দ্রব্যাদি জব্দ এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে।

খসড়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য ইউজিসির সদস্যের (চেয়ারম্যান) নেতৃত্বে সাত সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই কমিটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করে চ্যান্সেলরের কাছে প্রতিটি পদের বিপরীতে তিনজন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করবে।

সংশোধিত আইনের খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া বাড়ির কথা বলা হয়েছে। ২০১০ সালের আইনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভবনের প্রয়োজনীয় আয়তন ছিল ২৫ হাজার বর্গফুট। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ১ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতার স্থলে ৫ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ সালের আগে অনুমোদন পেয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে জমির পরিমাণের এই বাধ্যবাধকতা শিথিল থাকবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে সরকার থেকে সনদ নিতে হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে সাময়িক সনদ দেওয়া হয়। বর্তমান আইনে সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী সনদ না নিলে কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনের খসড়ায় এতে পরিবর্তন এনে সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী সনদের জন্য আবেদন এবং ১২ বছরের মধ্যে সনদ না পেলে ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, মহাসড়ক ও বাইপাসের কাছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া বার্ষিক বাজেটের ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ গবেষণা খাতে বরাদ্দ করে কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী খরচ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে শহর, জেলা, বিভাগ, দেশের নাম, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শব্দ ব্যবহার না করা, অভিন্ন গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার উন্মুক্ত রাখা, প্রোগ্রামের আসনসংখ্যা ইউজিসির অনুমোদনে নির্ধারণ, ন্যূনতম ৯ শতাংশ আসনে মেধাবী অথচ দরিদ্র/প্রত্যন্ত অঞ্চলের/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইত্যাদি এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধিত আইনের খসড়ায়। এতে বলা হয়েছে, অনধিক ১৫ সদস্য কিন্তু অন্যূন ৯ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে হবে। তবে একই পরিবার থেকে পাঁচজনের বেশি বোর্ড সদস্য হতে পারবেন না। খসড়ায় জমি বা ভবন সম্প্রসারণে বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ভূমি বা ভবন না পাওয়া গেলে কমিশনের সুপারিশ ও সরকারের অনুমোদন নিয়ে এক বর্গকিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ভূমি বা ভবন কেনা যেতে পারে। তবে এক বা একাধিক পূর্ণাঙ্গ ফ্যাকাল্টি ভিন্ন স্থানে পরিচালনা করা যাবে না।

সংশোধিত আইনের খসড়ার বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের যে অভিযোগ ছিল, এ আইন কার্যকরের ফলে তা লাঘব হবে বলে আশা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ জেলায় নতুন ডিসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ১২
১৫ জেলায় নতুন ডিসি

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত