এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে